ETV Bharat / city

দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছে হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের পুরানো প্রতিবেশীরা - হাথরসের নিপীড়িতার পরিবারের পুরোনো প্রতিবেশীরা

ইস্কো কারখানার স্যানিটাইজ়েশন বিভাগে চাকরি করতেন নিপীড়িতার ঠাকুরদা । চাকুরি জীবনের সঙ্গী নিতাই বাউরি ভোলেননি সে কথা ৷ নির্যাতিতার পরিবারের পুরানো প্রতিবেশীরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছেন ।

old neighbors of oppressed family of Hathras
old neighbors of oppressed family of Hathras
author img

By

Published : Oct 4, 2020, 10:37 PM IST

আসানসোল, 4 অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল ৷ প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে রাজপথ । এরই মধ্যে জানা গেল নিপীড়িতার পরিবারের বঙ্গযোগ ৷ নিপীড়িতার ঠাকুরদা একসময় আসানসোলে ছিলেন । ইস্কো কারখানাতে চাকরি করতেন । তাঁর ছেলে অর্থাৎ নিপীড়িতার বাবারও কিশোর বয়স কেটেছে এই শিল্পাঞ্চলেই । হাথরসের ঘটনা প্রকাশ্য আসার পর নিপীড়িতার ঠাকুরদা ও বাবার প্রতিবেশী, বন্ধুরা গোটা দেশের মতোই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন । তাঁরা চাইছেন কঠোর শাস্তি হোক দোষীদের ।

ইস্কো কারখানার স্যানিটাইজ়েশন বিভাগে চাকরি করতেন নিপীড়িতার ঠাকুরদা । তাঁর সেই সময়কার চাকুরি জীবনের সঙ্গী নিতাই বাউরি ভোলেননি সে কথা ৷ প্রথমে নিউটাউনের সুইপার আবাসন, পরে বার্নপুর থাকতেন হাথরসে নিপীড়িতার ঠাকুরদা । নিপীড়িতার বাবারও কিশোর বয়েস কেটেছে বার্নপুর শিল্প শহরেই । 1999 সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নিপীড়িতার ঠাকুরদা পরিবার সহ উত্তরপ্রদেশে চলে যান । তারপর আর যোগাযোগ নেই পুরোনো সঙ্গীদের সঙ্গে । উত্তরপ্রদেশে ফেরার কয়েকবছর পর মারা যান তিনি । এরপরও নিতাইবাবু তাঁর আরেক চাকুরি জীবনের বন্ধুর কাছ থেকে পুরোনো সঙ্গীর খবর পেতেন ।

নিপীড়িতার পরিবারের পুরোনো প্রতিবেশীরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছেন ।

নিতাইবাবুর ছেলে রাজবংশী বাউরি পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজের নেতা । হাথরসের ঘটনা জানাজানি হতেই নিতাই বাউরি ও তাঁর পরিবার ক্ষোভে ফুঁসছেন । গতকাল রাজবংশী বাউরির নেতৃত্বে বাউরি সমাজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করে । রাজবংশীবাবুর স্ত্রী, কন্যা সবাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন । রাজবংশী বাউরি জানান, আমাদের ঘরের মেয়ে, বোনের সঙ্গে যারা এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের শাস্তি চাই । গোটা দেশে ছড়িয়ে দেব আমরা এই দলিত আন্দোলন । অন্যদিকে হিরাপুরের বড়তোড়িয়া এলাকায় থাকেন জগদীশ বাল্মীকি । জগদীশ বাল্মীকি নিপীড়িতার বাবার ছোটোবেলার বন্ধু । দু'জনেই একই স্কুলে পড়তেন । পরবর্তীকালে নিপীড়িতার বাবা চলে যান দেশের বাড়ি । সেখানেই বিয়ে করেন । কয়েকবছর আগেই বড় মেয়ের বিয়ে দেন । আসানসোল থেকে অনেকেই সেই বিয়েতে গেছিলেন । দু'বছর আগে নিপীড়িতার বাবা ও ঠাকুমা এসেছিলেন ইস্কো কারখানায় নিপীড়িতার ঠাকুরদার বকেয়া টাকা নিতে । সেই সময় বেশ কয়েকদিন জগদীশবাবুর বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা ।

জগদীশ বাবু বলেন, "লকডাউনের কারণে যেতে পারছি না । ফোনে খোঁজ রাখছি । দোষীদের ফাঁসির সাজা দাবি করছি ।"

আসানসোল, 4 অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল ৷ প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে রাজপথ । এরই মধ্যে জানা গেল নিপীড়িতার পরিবারের বঙ্গযোগ ৷ নিপীড়িতার ঠাকুরদা একসময় আসানসোলে ছিলেন । ইস্কো কারখানাতে চাকরি করতেন । তাঁর ছেলে অর্থাৎ নিপীড়িতার বাবারও কিশোর বয়স কেটেছে এই শিল্পাঞ্চলেই । হাথরসের ঘটনা প্রকাশ্য আসার পর নিপীড়িতার ঠাকুরদা ও বাবার প্রতিবেশী, বন্ধুরা গোটা দেশের মতোই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন । তাঁরা চাইছেন কঠোর শাস্তি হোক দোষীদের ।

ইস্কো কারখানার স্যানিটাইজ়েশন বিভাগে চাকরি করতেন নিপীড়িতার ঠাকুরদা । তাঁর সেই সময়কার চাকুরি জীবনের সঙ্গী নিতাই বাউরি ভোলেননি সে কথা ৷ প্রথমে নিউটাউনের সুইপার আবাসন, পরে বার্নপুর থাকতেন হাথরসে নিপীড়িতার ঠাকুরদা । নিপীড়িতার বাবারও কিশোর বয়েস কেটেছে বার্নপুর শিল্প শহরেই । 1999 সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নিপীড়িতার ঠাকুরদা পরিবার সহ উত্তরপ্রদেশে চলে যান । তারপর আর যোগাযোগ নেই পুরোনো সঙ্গীদের সঙ্গে । উত্তরপ্রদেশে ফেরার কয়েকবছর পর মারা যান তিনি । এরপরও নিতাইবাবু তাঁর আরেক চাকুরি জীবনের বন্ধুর কাছ থেকে পুরোনো সঙ্গীর খবর পেতেন ।

নিপীড়িতার পরিবারের পুরোনো প্রতিবেশীরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছেন ।

নিতাইবাবুর ছেলে রাজবংশী বাউরি পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজের নেতা । হাথরসের ঘটনা জানাজানি হতেই নিতাই বাউরি ও তাঁর পরিবার ক্ষোভে ফুঁসছেন । গতকাল রাজবংশী বাউরির নেতৃত্বে বাউরি সমাজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করে । রাজবংশীবাবুর স্ত্রী, কন্যা সবাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন । রাজবংশী বাউরি জানান, আমাদের ঘরের মেয়ে, বোনের সঙ্গে যারা এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের শাস্তি চাই । গোটা দেশে ছড়িয়ে দেব আমরা এই দলিত আন্দোলন । অন্যদিকে হিরাপুরের বড়তোড়িয়া এলাকায় থাকেন জগদীশ বাল্মীকি । জগদীশ বাল্মীকি নিপীড়িতার বাবার ছোটোবেলার বন্ধু । দু'জনেই একই স্কুলে পড়তেন । পরবর্তীকালে নিপীড়িতার বাবা চলে যান দেশের বাড়ি । সেখানেই বিয়ে করেন । কয়েকবছর আগেই বড় মেয়ের বিয়ে দেন । আসানসোল থেকে অনেকেই সেই বিয়েতে গেছিলেন । দু'বছর আগে নিপীড়িতার বাবা ও ঠাকুমা এসেছিলেন ইস্কো কারখানায় নিপীড়িতার ঠাকুরদার বকেয়া টাকা নিতে । সেই সময় বেশ কয়েকদিন জগদীশবাবুর বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা ।

জগদীশ বাবু বলেন, "লকডাউনের কারণে যেতে পারছি না । ফোনে খোঁজ রাখছি । দোষীদের ফাঁসির সাজা দাবি করছি ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.