আসানসোল, 8 জুন : বেআইনি কয়লা পাচারের রমরমা চলছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে । কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুলিশি উদ্যোগ চোখে পড়লেও অভিযোগ উঠছে চুপিসাড়ে কয়লা পাচার চলছেই । কুলটি, বারাবনি, জামুড়িয়া থেকে কয়লা পাচার চলছে । স্থানীয় থানাগুলির মদতে কয়লা পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ ।
সম্প্রতি কুলটি থানার পুলিশ বড়িরা এলাকা থেকে প্রচুর কয়লা আটক করে । মূলত খোলামুখ খনি, বেআইনি কুয়োখনি মুখ থেকে উত্তোলিত কয়লা সাইকেল, মোটর সাইকেল, গোরুর গাড়িতে পাচার হচ্ছিল ৷ সেই কয়লা বাজেয়াপ্ত করেছে কুলটি থানার পুলিশ । বেশ কয়েকজনকেও পুলিশ আটক করে । যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এ সবই লোক দেখানো । লরিতে ক’রে প্রচুর কয়লা রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছে ।
সুত্র থেকে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়া থেকে কয়লা উত্তোলিত হয়ে আসানসোল উত্তর থানা এলাকা দিয়ে তা জাতীয় সড়ক ধরে ঝাড়খন্ডের দিকে পাচার হচ্ছে । প্রতিদিন গড়ে 30 থেকে 40টি বড় লরিতে কয়লা পাচার হচ্ছে । থানাগুলিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এই কয়লা পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ । যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করছে । আবার নিয়ম বহির্ভূত লরি পুলিশের জালে ধরা পড়ছে এটাও লক্ষণীয় । একদিকে যখন কয়লা আটক করছে পুলিশ, অন্যদিকে কয়লা পাচারও হচ্ছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে যদি কয়লা চুরি না হত, তাহলে পুলিশ এত পরিমাণে কয়লা আটক করছে কীভাবে ।
আরও পড়ুন : বেসুরোদের বাগে আনতে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করল বিজেপি
সিবিআই তদন্তে অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং তার সঙ্গী রত্নেশ ভার্মার নাম আসার পর কয়লার যে সিন্ডিকেট চলত, তা বর্তমানে ভেঙে গিয়েছে বলে সুত্রের খবর । কিন্তু স্থানীয় ভাবে কয়লা পাচারও বন্ধ নেই বলে অভিযোগ ।