আসানসোল, 1 অগস্ট: ফের জামিন খারিজ ইসিএলের বর্তমান ও প্রাক্তন আধিকারিকদের । 14 দিন জেল হেফাজতে থাকার পর 8 জন ইসিএলের বর্তমান ও প্রাক্তন আধিকারিককে পুনরায় জেল হেফাজতেই পাঠালেন সিবিআই কোর্টের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী । আগামী 16 অগস্ট ফের তাঁদের আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হবে(Again ECL officers get Judicial custody in Coal scam case) ।
বেআইনি কয়লা কারবারে(Coal Smuggling Case)মদত দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল ইসিএলের 8 জন প্রাক্তন ও বর্তমান আধিকারিককে । তাঁরা হলেন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, তন্ময় দাস, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমার, নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারা । অভিযুক্তদের হয়ে সোমবার সিবিআই কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী আশিস মুখোপাধ্যায়, আশিসচন্দ্র কুমার, অঙ্কিতা সেনগুপ্ত এবং অমিতাভ মুখোপাধ্যায় । অন্যদিকে সরকারী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রাকেশ কুমার ।
দীর্ঘক্ষণ ধরে সওয়াল জবাব হয় এদিন । অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, "অভিযুক্তরা ইসিএলে নিজেদের দায়িত্ব পালনের সময় বেআইনি কয়লা বন্ধে বারবার সচেষ্ট হয়েছেন । তাঁরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে, পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে বেআইনি কয়লা বন্ধের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন । পাশাপাশি সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কিংবা জেল হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্তদের কাছ থেকে তেমন কোনও নথি উদ্ধার করতে পারেনি সিবিআই ।"
সিবিআই আইনজীবী কোর্টে প্রশ্ন তোলেন, অভিযুক্ত ইসিএল আধিকারিকরা বেআইনি কয়লা নিয়ে এফআইআর করলেও সেই এফআইআর-এ কোনও কয়লা মাফিয়ার নাম দেয়নি । অভিযুক্তদের আইনজীবীর পালটা দাবি, বাড়িতে কে চুরি করতে আসছে অভিযোগের সঙ্গে তার নাম কি লিখিতভাবে দেওয়া যায়? কে চোর তাকে চিনবে কি করে? এভাবেই চলতে থাকে দীর্ঘক্ষণ শুনানি । অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেন, ইসিএলের কোন উচ্চপদস্থ কর্তা ব্যক্তিদের সিবিআই এখনও পর্যন্ত জেরা করেনি ৷ নিরাপত্তার উচ্চপদে যারা ছিলেন তাদেরও এখনও পর্যন্ত জেরা করা হয়নি । এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশমাফিক বেআইনি কয়লা বন্ধ করতে যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল, সেই টাস্ক ফোর্সের যিনি উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন রাজা পাল, তাঁকেও এখনও পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে সিবিআই জেরা করেনি । তাহলে এই 8 জন কেন? এদের মধ্যে অনেকেই অবসরকালীন জীবনযাপন করছেন ।
আরও পড়ুন: ইসিএল কর্তাদের টাকা নেওয়ার ভাউচারে সাংকেতিক চিহ্ন! কোড ডিকোডি'এ মিলবে তথ্য, আশা সিবিআিইয়ের
অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের জন্য এদিন আবেদন করেন । সিবিআই আইনজীবী বিরোধিতা করে বলেন,"এরা বাইরে বেরোলে প্রচুর নথিপত্র পালটে যেতে পারে ।" অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি, চার্জশীট হয়ে যাওয়ার পর এমন প্রশ্ন অবান্তর এবং অভিযুক্তদের অনেকেই অবসর নিয়েছেন তাই তাদের পক্ষে নথি পালটে দেওয়া সম্ভব নয় । যদিও সিবিআই কোর্টের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সব কিছু শোনার পর অভিযুক্তদের পুনরায় জেল হেফাজতেই পাঠান । 16 অগস্ট পুনরায় অভিযুক্তদের আসানসোল সিবিআই কোর্টে তোলা হবে ।