হায়দরাবাদ, 5 মার্চ: একাধিক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, অনেক ভারতীয় মহিলাই বিনিয়োগ করার সময় টাকা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করেন। তাই, সোনা এবং স্থায়ী আমানত (FDs) এর মত বিনিয়োগ স্কিমগুলিকে বেছে নেন তাঁরা । তবে দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ তৈরির জন্য এগুলি যথেষ্ট নয় । এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভয় কাটিয়ে টাকা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা জেনে নেওয়া ভালো (Tips for women to ensure financial freedom) ৷
পরিকল্পনার জন্য আর্থিক সচেতনার দরকার
পরিকল্পনার জন্য আর্থিকভাবে সচেতন হওয়া জরুরি (Financial literacy is essential for planning) । এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মাত্র 21 শতাংশ নারী আর্থিকভাবে সচেতন । তাই তারা সঠিক বিনিয়োগ বেছে নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে । সবকিছু আমাদের নখদর্পণে পাওয়া যায় বলে আগের তুলনায় এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে । বাজারে উপলব্ধ বিনিয়োগ স্কিমগুলি সম্পর্কে জানতে নিউজলেটার, ওয়েবসাইট, বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স, ভিডিয়ো এবং পডকাস্টের মতো অনেক সুবিধা রয়েছে ।
বিনিয়োগের বিকল্পগুলি সম্পর্কে কোনও সন্দেহ থাকলে, তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সহায়তা ডেস্কগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায় ৷ এগুলি আর্থিক সচেতনতা তৈরি করতে সহায়ক ৷ যেমন কীভাবে অর্থ পরিচালনা করতে হয়, একটি পরিবারের বাজেট পরিকল্পনা করা যায়, কীভাবে নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনার টাকা বিনিয়োগ করতে হয় ৷ আপনি সহজেই সবকিছু শিখতে পারেন ।
সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তর করতে হবে
ক্ষতির ঝুঁকি নেই বলে নিরাপদ স্কিমগুলিতে অর্থ সংরক্ষণ করা যেতে পারে (Savings should be converted into investments) । কিন্তু, তা দিয়ে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না । লক্ষ্য অর্জন এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ তৈরির জন্য বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এটি আর্থিক স্বাধীনতার দিকে মহিলাদের অগ্রসরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । এমন অনেক বিনিয়োগ স্কিম উপলব্ধ রয়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে হারাতে রিটার্ন দেয় । তারা আপনার টাকাকেই আপনার কাজে ব্যবহার করতে সাহায্য করে ৷ এই ধরনের স্কিমগুলিতে সঞ্চয়গুলিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন । একটি সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP) শুরু করুন - কম ঝুঁকি-সহ আরও ভাল রিটার্ন প্রদানের জন্য বাজার-ভিত্তিক নিরাপত্তা স্কিম এবং মিউচুয়াল ফান্ডে নিয়মিত অল্প পরিমাণে বিনিয়োগ করা শুরু করুন ।
সাম্প্রতিক সময়ে, মহিলারা গৃহস্থালির আর্থিক বাজেট সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । কিন্তু, বিমার ক্ষেত্রে তাদের এখনও পর্যাপ্ত অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না । নারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্য বিমা এবং জীবন বিমা পলিসি নিতে হবে । একটি অপ্রত্যাশিত অসুস্থতা আপনার সম্পূর্ণ সঞ্চয় নষ্ট করতে পারে । ফলস্বরূপ, আপনি মারাত্মক সমস্যায় পড়বেন । এটি এড়াতে, আপনার স্বাস্থ্য বিমা থাকতে হবে । জীবন বিমা অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে পরিবারের বাকি সদস্যদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে । আপনার আর্থিক পরিকল্পনায় বিমা পলিসি অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য । উপলব্ধ বিমা পলিসিগুলি একবার দেখুন এবং আপনার প্রয়োজন অনুসারে একটি পলিসি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন ৷ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের আর্থিক পরিকল্পনার পরামর্শ নিন ।
অবসর পরিকল্পনা সম্পর্কে চিন্তা করুন
বেশিরভাগ মানুষ অবসরের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবেন না । বিশেষ করে, কর্মজীবী নারীদের শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক পারিবারিক প্রয়োজনেই নয়, অবসর জীবনে আর্থিক অবদানের দিকেও নজর দিতে হবে । চাকরিতে যোগদানের সময় থেকেই এ দিকে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে । 20-30 বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করে বড় তহবিল জমা করার সুযোগ রয়েছে ।
আরও পড়ুন: পড়াশোনার বাড়তি খরচ থেকে সন্তানের আগামিকে রক্ষা করুন