নয়াদিল্লি, 28 জানুয়ারি: এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের নিজেদের পরিবারে স্বাগত জানাল টাটা সন্স (Tata Sons chairman reaches out to AI staff) ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এই বিমান সংস্থাকে টাটা গোষ্ঠীর হাতে তুলে (Air India takeover ) দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের চিঠি দেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন ৷ আগামী দিনে এয়ার ইন্ডিয়ার স্বর্ণযুগ আসছে বলে বিশ্বাস তাঁর ৷
"এয়ার ইন্ডিয়া পরিবারের সদস্যরা" - কর্মীদের উদ্দেশে এই সম্ভাষণ করে চিঠি শুরু করেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান (Tata Sons chairman N Chandrasekharan) ৷ তিনি লেখেন, "আমাদের যাত্রা শুরু হল ৷ স্বাগত এবং ফিরে আসায় স্বাগত ৷ আমি শিখেছি যে, অতীতের সব সেরাগুলি সংরক্ষিত করার জন্য নিয়মিত পরিবর্তন প্রয়োজন ৷ ঐতিহ্যময় ইতিহাসকে মর্যাদা দেওয়ার অর্থ হল বিবর্তন, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও ভবিষ্যৎকে আলিঙ্গন করা...গোটা দেশের নজর আমাদের দিকে ৷ আমরা একসঙ্গে কী করতে পারি, সবাই তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ৷ বিমান সংস্থার পুনর্গঠনের জন্য আমাদের প্রয়োজন ভবিষ্যতের দিকে তাকানো ৷"
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন চন্দ্রশেখরন (Tata Sons chairman N Chandrasekharan reaches out to AI staff) ৷ প্রায় 69 বছর পর ভারত সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে এয়ার ইন্ডিয়াকে তুলে দেয় টাটা গোষ্ঠীর হাতে ৷ টাটাদের হোল্ডিং কোম্পানি টেলেস প্রাইভেট লিমিটেড 18,000 কোটি টাকায় কিনে নেয় এয়ার ইন্ডিয়াকে ৷ 1932 সালে টাটা গোষ্ঠীর হাত ধরেই আকাশে ওড়া শুরু করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া ৷ তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর 1953 সালে এই বিমান সংস্থাকে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায় পরিণত করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ৷ তাই মহারাজা ফের টাটাদের ঘরে ফেরায় চন্দ্রশেখরন এদিন বলেছেন, "ঘোষণার দিন (8 অক্টোবর, 2021) থেকে সবার মুখে একটাই কথা, ঘরে ফেরা ৷ আজ নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হল ৷ আপনাদের আমাদের পরিবারে স্বাগত জানাতে টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে এই চিঠিটি লিখছি ৷"
আরও পড়ুন: 68 বছর পর জন্মদাতা টাটা গোষ্ঠীর কাছে ফেরার অপেক্ষায় মহারাজা
এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর মধুর স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান আরও লিখেছেন, "1986 সালের ডিসেম্বরে আমি প্রথম এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়ি ৷ সে দিনের সেই বিশেষ মুহূর্ত কোনওদিন ভুলব না ৷" চন্দ্রশেখরনের কথায়, সেই স্মৃতিগুলি দারুণ, তবে এখন সময় সামনের দিকে তাকানোর ৷ আগামী দিনে এয়ার ইন্ডিয়ার স্বর্ণযুগ আসতে চলেছে বলে আশাবাদী চন্দ্রশেখরন ৷