দিল্লি, 8জুলাই : চিনা দ্রব্য বয়কটের আবহেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাল একটি জাতীয় বাণিজ্য সংস্থা । চিনা দ্রব্য বয়কটের পক্ষে সম্মতি জানিয়ে তারা জানায়, পরিকল্পনার সঙ্গে বয়কট করতে হবে চিনা দ্রব্য । অন্তত বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত চিনা দ্রব্য বয়কট করা যাবে না ।
অন্যান্য দেশ থেকে সামগ্রী আমদানির জন্য কেন্দ্রের থেকে আর্থিক সাহায্যেরও দাবি জানায় এই বাণিজ্য সংস্থাটি । দ্য ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মণ্ডলের (FAIVM) তরফে জানানো হয়, তারা চিনা দ্রব্য আমদানি বন্ধে তারা একমত । তবে তার জন্য চিনা সামগ্রীর উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে । না হলে অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে । প্রতিবছর ভারতকে 74 বিলিয়ন অ্যামেরিকান ডলারের সামগ্রী চিন দ্রব্য রপ্তানি করে ।
FAIVM-র সাধারণ সম্পাদক ভিকে বনসাল প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এই চিঠিতে উল্লেখ করেন , "যন্ত্রাংশ বা বৈদ্যুতিন সামগ্রীর আমদানি যদি বন্ধ করা হয় , সেক্ষেত্রে স্টকে বড় ঘাটতি তৈরি হবে । যা অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যে ক্ষতি করতে পারে । "
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বনসাল জানান, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বাস্তব তুলে ধরা হয়েছে । তবে আমরা চিনা দ্রব্য সামগ্রীর আমদানি কমানোর পক্ষেই । কিন্তু তা পরিকল্পনা মাফিক হওয়া উচিত । অন্তত বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত । আমাদের সদস্যরা 4জুলাই তাঁদের মতামত জানান । সেই অনুযায়ী আমরা চিঠিতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছি ।
চিনা দ্রব্যে নির্ভরশীল ভারত । সেক্ষেত্রে চিনা দ্রব্যের আমদানি কমানোর আগে ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেই দ্রব্য মজুত রাখতে হবে । অন্যান্য দেশ থেকে সেই দ্রব্যের আমদানি বাড়াতে হবে । সর্বপোরি ভারতে সেই দ্রব্য উৎপাদনের জন্য আর্থিক সাহায্য করতে হবে সরকারকেই ।
কন্ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার এই বিষয়ে বলেন, "একটা দ্রব্য তৈরি করতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগে । যা চিনা দ্রব্যের বিকল্প হতে পারে । তবে এই উৎপাদনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সাহায্য প্রয়োজন । "
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়, চিনা দ্রব্য বয়কট ভারতে সম্ভব নাও হতে পারে । কারণ অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য অনেকাংশেই নির্ভর করে চিনা সামগ্রীর উপর ।