ETV Bharat / briefs

উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ , স্মার্টফোন না পেয়েই আত্মহত্যা ?

author img

By

Published : Sep 10, 2020, 5:28 PM IST

জলপাইগুড়িতে বছর 20-র এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্মার্টফোন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি ।

jalpaiguri
নিজস্ব ছবি

জলপাইগুড়ি, 10 সেপ্টেম্বর : সাররিপুকুড়ির ডাবরিপাড়া গ্রামে উদ্ধার এক যুবতির ঝুলন্ত দেহ । জয়ন্তী বাউলি(20) নামে ওই কলেজ ছাত্রী অবসাদে ছিলেন । লকডাউনে কলেজের ক্লাস বন্ধ হয়ে যায় । তাঁর স্মার্টফোন না থাকায় বন্ধ ছিল ক্লাস । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অবসাদে আত্মহত্যা করেন জয়ন্তী ।

ময়নাগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন জয়ন্তী । তাঁর কোনও স্মার্ট ফোন ছিল না । লকডাউনে তাঁর সহপাঠীরা অনলাইনে ক্লাস করছেন । কিন্তু স্মার্ট ফোন ছিল না জয়ন্তীর । ফলে থমকে যায় পড়াশোনা । সেই নিয়ে অবসাদে ছিলেন । অবসাদেই আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ । তবে শুধু কি এই কারণ না কি অন্য কোনও বিষয় ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে নিজের ঘরেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জয়ন্তী বাউলি । পরিবারের সদস্যরা তাঁর মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন । ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে । জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ।

জয়ন্তীর বাবা অভিরাম বাউলি পেশায় দিন মজুর । তিনি বলেন, “ মেয়ের স্মার্ট ফোনের দরকার ছিল সে জানিয়েছিল । আমি পেশায় দিনমজুর । কোনওরকমে সংসার চালাই । আমার পক্ষে দামি ফোন দেওয়া সম্ভব ছিল না । কিন্তু স্মার্ট ফোনের জন্যই যে সে আত্মহত্যা করবে তা জানলে আগেই কোনওরকম ভাবে ব্যবস্থা করতাম।”

ক্রান্তি ফাঁড়ির OC দিলীপ সরকার বলেন, “ প্রাথমিকভাবে আমরা জয়ন্তীর বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি । স্মার্ট ফোনের জন্য আবদার করেছিলেন জয়ন্তী । হয়ত স্মার্ট ফোনের জন্যই অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন । তাও আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি । গতকালই ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ তাঁর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে । ”

জলপাইগুড়ি, 10 সেপ্টেম্বর : সাররিপুকুড়ির ডাবরিপাড়া গ্রামে উদ্ধার এক যুবতির ঝুলন্ত দেহ । জয়ন্তী বাউলি(20) নামে ওই কলেজ ছাত্রী অবসাদে ছিলেন । লকডাউনে কলেজের ক্লাস বন্ধ হয়ে যায় । তাঁর স্মার্টফোন না থাকায় বন্ধ ছিল ক্লাস । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অবসাদে আত্মহত্যা করেন জয়ন্তী ।

ময়নাগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন জয়ন্তী । তাঁর কোনও স্মার্ট ফোন ছিল না । লকডাউনে তাঁর সহপাঠীরা অনলাইনে ক্লাস করছেন । কিন্তু স্মার্ট ফোন ছিল না জয়ন্তীর । ফলে থমকে যায় পড়াশোনা । সেই নিয়ে অবসাদে ছিলেন । অবসাদেই আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ । তবে শুধু কি এই কারণ না কি অন্য কোনও বিষয় ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে নিজের ঘরেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জয়ন্তী বাউলি । পরিবারের সদস্যরা তাঁর মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন । ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে । জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ।

জয়ন্তীর বাবা অভিরাম বাউলি পেশায় দিন মজুর । তিনি বলেন, “ মেয়ের স্মার্ট ফোনের দরকার ছিল সে জানিয়েছিল । আমি পেশায় দিনমজুর । কোনওরকমে সংসার চালাই । আমার পক্ষে দামি ফোন দেওয়া সম্ভব ছিল না । কিন্তু স্মার্ট ফোনের জন্যই যে সে আত্মহত্যা করবে তা জানলে আগেই কোনওরকম ভাবে ব্যবস্থা করতাম।”

ক্রান্তি ফাঁড়ির OC দিলীপ সরকার বলেন, “ প্রাথমিকভাবে আমরা জয়ন্তীর বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি । স্মার্ট ফোনের জন্য আবদার করেছিলেন জয়ন্তী । হয়ত স্মার্ট ফোনের জন্যই অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন । তাও আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি । গতকালই ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ তাঁর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে । ”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.