কলকাতা, 29 মে : আমফান ইশু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় বিঁধলেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, “শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর । পালাবার পথ পাবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । স্বয়ং প্রশান্ত কিশোরও বাঁচাতে পারবে না তৃণমূল দলকে। 102 বছরের মধ্যে আমফানের মতো এমন প্রবল ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে আসেনি । যদিও 7 দিন আগে থেকেই পূর্বাভাস দেওয়া ছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে । আর নবান্নের 14 তলায় রাত জেগে মুখ্যমন্ত্রী মনে করলেন ঝড়ের গতিবেগ কমিয়ে দেবেন ?"
তিনি আরও বলেন, “ সন্দেশখালি, হাসনাবাদ সহ দুই 24 পরগনা, কলকাতা, নদিয়া, মেদিনীপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । বিধ্বস্ত হয়ে গেছে জেলাগুলি । মুখ্যমন্ত্রী কি জানতেন না ভয়ঙ্কর গতিবেগে ধেয়ে আসা ঝড় শেষ করে দিতে পারে জেলাগুলিকে ? গাছ ভেঙে এখন শহরের বিভিন্ন রাস্তা অবরুদ্ধ ।" CPI(M) এই বিধায়কের কথায়, “ মুখ্যমন্ত্রীর আদরের কানন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা কলকাতা পৌরনিগমকে দোষারোপ করল । শহরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরহাদ হাকিম বললেন, গাছ কাটার লোক নেই । মুখ্যমন্ত্রীর দমকল বিভাগ ব্যর্থ । বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বিপর্যস্ত । শেষ পর্যন্ত ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ডাকতে হল শহরের গাছ সরাতে। সেনাবাহিনীর কাছে মাথা নত করতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী কেন তাহলে 72 ঘণ্টা সময় নিলেন ?" ক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তন্ময় ভট্টাচার্য । “ নবান্নের 14 তলায় রাত জাগলে কি ভেঙে যাওয়া নদীর বাঁধ পুনরায় জোড়া লাগে ? উড়ে যাওয়া চাল মাথার ওপর এসে পড়ে ? মুখ্যমন্ত্রীর গোটা ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ এবং অপদার্থ ।" বলেন তন্ময় বাবু।
আয়লার ঘটনা উল্লেখ করে তণ্ময় ভট্টাচার্য জানান, “ যোগেশগঞ্জ থেকে জল পেরিয়ে পায়ে হেঁটে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করতে যাওয়ার সময় তৎকালীন বাম বিধায়ক গোপাল গায়েনের মুখে এবং গায়ে তৃণমূলের কর্মী বাহিনী কাদা লেপে দেয় । হাতের জুতো নিয়ে ফিরে আসেন বাম বিধায়ক । আজ সেই রাজনীতি ফিরে আসলে কী করবেন মুখ্যমন্ত্রী ? কিন্তু বামপন্থীরা অতটা নিম্ন পর্যায়ে যাবে না ।"
CPI(M) বিধায়ক আরও বলেন, " প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই চলুন, ঝড়ে রাস্তা উড়ে যাওয়ার মত তৃণমূল সরকারটা উড়ে যাবে 2021 সালে । প্রশাসনিক অপদার্থতার কথা দেশের মানুষ জেনে গেছেন । গত 9 বছরে 1 মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি সরকার । বাম সরকারের পরিকল্পনার বাইরে একটিও নতুন ব্রিজ তৈরি করতে পারেনি তৃণমূল সরকার । 66টা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কোথায় বানিয়েছেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ? বিধ্বস্ত সুন্দরবনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুভাষ নস্কর। কোথায় গেল মুখ্যমন্ত্রীর আদরের বিধায়িকা মন্ত্রীরা ? তাঁরা কি চাল চুরি এবং ত্রিপল চুরি করতে ব্যস্ত ? প্রশান্ত কিশোর মুখ্যমন্ত্রীকে বাঁচাতে পারবে না । 2021 সাল আসছে । প্রস্তুত হচ্ছে মানুষ। আপনিও প্রস্তুত থাকুন । কেউ বাঁচাতে পারবে না। আপনার ভালোবাসার BJPও আপনাকে বাঁচাতে পারবে না । মানুষের জনাদেশ আপনাকে রাজ্য ছাড়া করবে ।"