ETV Bharat / briefs

এশিয়ানে রূপোতেই থামলেন স্বপ্না - silver

এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের হেপ্টাথেলনে রূপো পেলেন স্বপ্না বর্মণ। দোহায় ওই প্রতিযোগিতায় ৫৯৯৩ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হন স্বপ্না। সোনা জেতেন উজ়বেকিস্তানের একাটেরিনা ভরনিনা।

স্বপ্না বর্মণ
author img

By

Published : Apr 24, 2019, 3:05 AM IST

কলকাতা, 24 এপ্রিলঃ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের হেপ্টাথেলনে রূপো পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল স্বপ্না বর্মণকে। দোহায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৫৯৯৩ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থামেন স্বপ্না। এশিয়াডে হেপ্টাথেলনে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। এশিয়ানে তাঁকে টেক্কা দিয়ে সোনা জেতেন উজ়বেকিস্তানের একাটেরিনা ভরনিনা। তিনি ৬১৯৮ পয়েন্ট পেয়েছেন। এই বিভাগে পঞ্চম হয়েছেন ভারতের পূর্ণিমা হেমব্রম। তিনি ৫৫২৮ স্কোর করেছেন।

গত এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বপ্না ৫৯৪২ পয়েন্ট করে সোনা জিতেছিলেন। এবছর তার চেয়ে বেশি পয়েন্ট করলেও সোনা জয় সম্ভব হয়নি বাংলার ২২ বছরের এই অ্যাথলেটের। গতবছর জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ৬০২৬ পয়েন্ট করে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। কিন্তু এবার পায়ের চোট সারিয়ে প্রতিযোগিতায় নামলেও তিনি সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন না। সোমবার চারটে ইভেন্টের পরে স্বপ্না তিন নম্বরে ছিলেন। এদিন রূপো পাওয়ায় এশিয় মিটে পরপর তিনবছর সোনা জয়ের কীর্তি স্পর্শ করা হল না।

স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার বলছেন, "চোট সারলেও ট্র্যাকে নামার মত তৈরি ছিল না স্বপ্না। কিন্তু মনের জোরকে সম্বল করে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পেরেছে। স্বপ্না রূপো পাওয়ায় এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় দলের পদক সংখ্যা এখন ১১। যার মধ্যে দুটো সোনা, চারটে রুপো ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ। মেয়েদের তিন হাজার মিটার ট্রিপল চেজে পারুল চৌধুরি পঞ্চম হয়েছেন। তিনি সময় করেছেন এক ঘণ্টা তিন মিনিট তেতাল্লিশ সেকেণ্ড। চোটের জন্য ১৫০০ মিটারে জিনসন জনসন সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। ৮০০ মিটারের ফাইনালেও চোটের জন্য নামতে পারেননি। অথচ ৮০০ ও ১৫০০ মিটারে জিনসন জনসনের জাতীয় রেকর্ড রয়েছে।

রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় চোটের কারণে ভারতীয় অ্যাথলেটরা বারবার সরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ৪০০ মিটারে হিমা দাস, জ্যাভলিন থ্রোয়ে নীরজ চোপরা, ৪০০ মিটার হার্ডলসে ধারুন আয়াস্বামী, লং জাম্পার শ্রীশঙ্কর চোটের জন্য আশা জাগিয়েও সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

কলকাতা, 24 এপ্রিলঃ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের হেপ্টাথেলনে রূপো পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল স্বপ্না বর্মণকে। দোহায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৫৯৯৩ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থামেন স্বপ্না। এশিয়াডে হেপ্টাথেলনে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। এশিয়ানে তাঁকে টেক্কা দিয়ে সোনা জেতেন উজ়বেকিস্তানের একাটেরিনা ভরনিনা। তিনি ৬১৯৮ পয়েন্ট পেয়েছেন। এই বিভাগে পঞ্চম হয়েছেন ভারতের পূর্ণিমা হেমব্রম। তিনি ৫৫২৮ স্কোর করেছেন।

গত এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বপ্না ৫৯৪২ পয়েন্ট করে সোনা জিতেছিলেন। এবছর তার চেয়ে বেশি পয়েন্ট করলেও সোনা জয় সম্ভব হয়নি বাংলার ২২ বছরের এই অ্যাথলেটের। গতবছর জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ৬০২৬ পয়েন্ট করে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। কিন্তু এবার পায়ের চোট সারিয়ে প্রতিযোগিতায় নামলেও তিনি সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন না। সোমবার চারটে ইভেন্টের পরে স্বপ্না তিন নম্বরে ছিলেন। এদিন রূপো পাওয়ায় এশিয় মিটে পরপর তিনবছর সোনা জয়ের কীর্তি স্পর্শ করা হল না।

স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার বলছেন, "চোট সারলেও ট্র্যাকে নামার মত তৈরি ছিল না স্বপ্না। কিন্তু মনের জোরকে সম্বল করে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পেরেছে। স্বপ্না রূপো পাওয়ায় এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় দলের পদক সংখ্যা এখন ১১। যার মধ্যে দুটো সোনা, চারটে রুপো ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ। মেয়েদের তিন হাজার মিটার ট্রিপল চেজে পারুল চৌধুরি পঞ্চম হয়েছেন। তিনি সময় করেছেন এক ঘণ্টা তিন মিনিট তেতাল্লিশ সেকেণ্ড। চোটের জন্য ১৫০০ মিটারে জিনসন জনসন সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। ৮০০ মিটারের ফাইনালেও চোটের জন্য নামতে পারেননি। অথচ ৮০০ ও ১৫০০ মিটারে জিনসন জনসনের জাতীয় রেকর্ড রয়েছে।

রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় চোটের কারণে ভারতীয় অ্যাথলেটরা বারবার সরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ৪০০ মিটারে হিমা দাস, জ্যাভলিন থ্রোয়ে নীরজ চোপরা, ৪০০ মিটার হার্ডলসে ধারুন আয়াস্বামী, লং জাম্পার শ্রীশঙ্কর চোটের জন্য আশা জাগিয়েও সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.