রায়গঞ্জ, 25 জুন : কোরোনা যুদ্ধে জয়ী হলেও চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন রায়গঞ্জ জেলার প্রথম দুই কোরোনা আক্রান্ত । কর্মসংস্থানের আশায় আজ তারা রায়গঞ্জের BDO-র সঙ্গে দেখা করেন।
আনসারুল আলি ও মোজাম্মেল হক রায়গঞ্জের গৌরীপুর ও শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা । তবে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন। আচমকা লকডাউন হয়ে যাওয়ায় 7 মে সাইকেল চালিয়ে কলকাতা থেকে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন তাঁরা । স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ৷ 9 মে জেলায় প্রথম কোরোনা আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত হন এই দুই যুবক ও হেমতাবাদের এক যুবক । রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতাল থেকে গত 19 মে আক্রান্ত দুই যুবক সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
কোরোনা সংক্রমণ ও সুস্থ হয়ে ওঠার পর এক মাস সময় কেটে গেলেও সাহায্য তো দূরের কথা, তাঁদের খোঁজ নিতেও প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ আসেনি বলে জানান ওই দুই যুবক। একে লকডাউন, তার উপর কোরোনা সংক্রমিত হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রোজগার বন্ধ আনসারুল ও মোজাম্মেলের। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রশাসনের কর্মীরা কোনরকম সহযোগিতা না করায় নিরুপায় হয়ে আজ তাঁরা BDO-র দ্বারস্থ হন। 100 দিনের কাজে তাদের নিয়োগ করার অনুরোধ করেন BDO-র কাছে।
ওই দুই যুবক বলেন, " আমরা কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলা করে ঘরে ফিরতে পেরেছি ৷ কিন্তু, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক কোন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না। যার ফলে আমরা আর্থিকভাবে চরম সংকটে পড়েছি । এই সমস্যার কথা আজকে BDO সাহেবকে জানিয়েছি, তিনি আমাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।"
রায়গঞ্জের BDO রাজু লামা বলেন, আমরা সুস্থ হয়ে ওঠা ওই দুই যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। তাদের যথাযথ সাহায্য করা হবে।