ETV Bharat / briefs

পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়ো কেস দেওয়ার অভিযোগে BJP-র বিক্ষোভ

পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়ো কেস দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাল BJP কর্মীরা।

বিক্ষোভ দেখাচ্ছে BJP নেতা-কর্মীরা
author img

By

Published : Apr 6, 2019, 11:49 PM IST

ময়না, ৬ এপ্রিল: অস্ত্র সহ দুই BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ানশাটার, একটি ৮ mm পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম বুদ্ধদেব মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ ওঝা। তাদের বাড়ি ক্ষিদিরপুর গ্রামে। তাদের আজ তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠায়। তবে BJP-র অভিযোগ ফাঁসানো হয়েছে তাদের কর্মীদের।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশ বাকচায় ঢুকে তল্লাশির নামে BJP কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার চালিয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ BJP নেতৃত্ব আজ দুপুরে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে বাকচার তেওয়ারি মোড়ে ছ’ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ গিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও আজ রাত থেকে বাকচা গ্রামে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় পাহারা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে BJP নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূলকর্মীদের মারধর করেছে BJP-র লোকজন। জখম হন তৃণমূলকর্মী সুশান্ত মাল। তিনি ময়না ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত জানান, বাকচায় তৃণমূলকর্মীকে মারধরের অভিযোগে দুই BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর বলেন, "ময়নার বাকচা BJP-র শক্ত ঘাঁটি। সেই কারণে, পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে বাকচায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই BJP কর্মীকে অস্ত্র কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক তথা BJP নেতা অলোক বেরার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।"

ময়না, ৬ এপ্রিল: অস্ত্র সহ দুই BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ানশাটার, একটি ৮ mm পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম বুদ্ধদেব মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ ওঝা। তাদের বাড়ি ক্ষিদিরপুর গ্রামে। তাদের আজ তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠায়। তবে BJP-র অভিযোগ ফাঁসানো হয়েছে তাদের কর্মীদের।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশ বাকচায় ঢুকে তল্লাশির নামে BJP কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার চালিয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ BJP নেতৃত্ব আজ দুপুরে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে বাকচার তেওয়ারি মোড়ে ছ’ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ গিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও আজ রাত থেকে বাকচা গ্রামে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় পাহারা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে BJP নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূলকর্মীদের মারধর করেছে BJP-র লোকজন। জখম হন তৃণমূলকর্মী সুশান্ত মাল। তিনি ময়না ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত জানান, বাকচায় তৃণমূলকর্মীকে মারধরের অভিযোগে দুই BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর বলেন, "ময়নার বাকচা BJP-র শক্ত ঘাঁটি। সেই কারণে, পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে বাকচায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই BJP কর্মীকে অস্ত্র কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক তথা BJP নেতা অলোক বেরার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.