ETV Bharat / briefs

কীভাবে 24 ঘণ্টায় রাজ‍্যে কোরোনায় আক্রান্ত 344 ? আশঙ্কায় চিকিৎসকরা - corona

শেষ 24 ঘণ্টায় রাজ্যে এক লাফে বেড়ে গেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । 28 মে রাজ্যে একদিনে সর্বাধিক 208 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছিল । আর, গতকাল একদিনে সর্বাধিক 344 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল । কীভাবে 24 ঘণ্টায় এই সংখ্যাটা এতটা বেড়ে গেল তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের ।

photo
photo
author img

By

Published : May 29, 2020, 8:23 AM IST

কলকাতা, 29 মে : COVID-19 নির্ণয়ের গাইডলাইন না মেনে এবং পরিকল্পিতভাবে টেস্ট না করে একদিনে এ রাজ্যে সর্বাধিক 344 জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল । কারণ, কমিউনিটির মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে COVID-19। এমনই বলছে এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ । এখনই আরও সতর্ক, সক্রিয় না হলে দিন 15-র মধ্যে এ রাজ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি এই চিকিৎসকরা । অন্যদিকে বেসরকারি চিকিৎসকের একাংশ বলছে, এমন হওয়ারই ছিল ।

28 মে এ রাজ্যে একদিনে সর্বাধিক 208 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছিল । আর, গতকাল একদিনে সর্বাধিক 344 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল । 208 থেকে লাফিয়ে 344 ! কীভাবে 24 ঘণ্টায় এত বেশি সংখ্যক COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল ? COVID-19 নির্ণয়ের জন্য টেস্টের সংখ্যা বেশি হয়েছে, যার জেরে 1 দিনে এত বেশি সংখ্যক COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল এই রাজ্যে ?

রাজ‍্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "টেস্টের সংখ্যা বেশি বলে, কেন হবে ? আমরা মনে করি না, টেস্ট বাড়ছে বলে ফিগার বাড়ছে । টেস্ট যা হচ্ছে, তা পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে না । কারণ, যে গাইডলাইন রয়েছে, সেই গাইডলাইন অনুযায়ী টেস্ট হওয়া প্রয়োজন । যদি গ্রিন জো়নে বেশি টেস্ট করা হয়, তা হলে বেশি নেগেটিভ পাওয়া যাবে । যদি রেড জো়ন, কনটেনমেন্ট জো়নে বেশি টেস্ট করা হয়, তা হলে বেশি সংখ্যক পজ়েটিভ কেস ধরা পড়বে । যেখানে যেমন টেস্ট করার কথা, তেমন টেস্ট হচ্ছে না ।" তিনি আরও বলেন, " রিপিট টেস্ট কত হচ্ছে, সেটাও আমরা জানি না। যত সংখ্যক টেস্টের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে কতগুলি রিপিট টেস্ট, কতগুলি কোয়ারাটিনের টেস্ট, এগুলির কোনওটাই আমরা জানি না । উপসর্গ রয়েছে, এই রকম কতজন মানুষের টেস্ট হচ্ছে ? CMR-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, এই বিষয়ে যতক্ষণ না জানা সম্ভব হচ্ছে, ততক্ষণ টেস্টের ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কি না বলা সম্ভব নয় ।" একই সঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, " টেস্ট বেড়েছে, কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয় । টেস্টের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাকলক রয়ে গেছে । 7-8 দিন আগে সংগৃহীত নমুনার রিপোর্ট এখন আসছে ।"

তিনি বলেন, " একদিনে এই সংখ্যা বৃদ্ধির একটাই কারণ, COVID-19 কমিউনিটির মধ্যে রয়ে গেছে। ফলে, আমাদের আরও সতর্ক হওয়া দরকার । আরও অনেক বেশি সক্রিয় ভাবে আমাদের কাজ করা দরকার । অন্যথা আমরা টাইম বোমার উপর বসে আছি । 15 দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে কোন ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে।"

অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, " কমিউনিটির মধ্যে COVID-19 ছড়িয়ে রয়েছে । আরও ছড়িয়ে পড়বে । কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব কেন্দ্র অথবা রাজ্য, কোনও সরকারই নিচ্ছে না । পরিযায়ী শ্রমিকরা কমিউনিটির মধ্যে মিশছেন । এর ফলে রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই কমিউনিটির মধ্যে উপসর্গহীন রোগীরাও রয়েছেন । উপসর্গহীন রোগীদের থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ।" এ দিকে, এ রাজ‍্যের চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক, চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, "এটা হওয়ারই ছিল। এত মানুষ আসছেন, তাঁদেরকে আসতেও হবে । এটা তো জীবন আর, জীবিকার সমস্যা ।

কলকাতা, 29 মে : COVID-19 নির্ণয়ের গাইডলাইন না মেনে এবং পরিকল্পিতভাবে টেস্ট না করে একদিনে এ রাজ্যে সর্বাধিক 344 জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল । কারণ, কমিউনিটির মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে COVID-19। এমনই বলছে এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ । এখনই আরও সতর্ক, সক্রিয় না হলে দিন 15-র মধ্যে এ রাজ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি এই চিকিৎসকরা । অন্যদিকে বেসরকারি চিকিৎসকের একাংশ বলছে, এমন হওয়ারই ছিল ।

28 মে এ রাজ্যে একদিনে সর্বাধিক 208 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছিল । আর, গতকাল একদিনে সর্বাধিক 344 জন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল । 208 থেকে লাফিয়ে 344 ! কীভাবে 24 ঘণ্টায় এত বেশি সংখ্যক COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল ? COVID-19 নির্ণয়ের জন্য টেস্টের সংখ্যা বেশি হয়েছে, যার জেরে 1 দিনে এত বেশি সংখ্যক COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল এই রাজ্যে ?

রাজ‍্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "টেস্টের সংখ্যা বেশি বলে, কেন হবে ? আমরা মনে করি না, টেস্ট বাড়ছে বলে ফিগার বাড়ছে । টেস্ট যা হচ্ছে, তা পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে না । কারণ, যে গাইডলাইন রয়েছে, সেই গাইডলাইন অনুযায়ী টেস্ট হওয়া প্রয়োজন । যদি গ্রিন জো়নে বেশি টেস্ট করা হয়, তা হলে বেশি নেগেটিভ পাওয়া যাবে । যদি রেড জো়ন, কনটেনমেন্ট জো়নে বেশি টেস্ট করা হয়, তা হলে বেশি সংখ্যক পজ়েটিভ কেস ধরা পড়বে । যেখানে যেমন টেস্ট করার কথা, তেমন টেস্ট হচ্ছে না ।" তিনি আরও বলেন, " রিপিট টেস্ট কত হচ্ছে, সেটাও আমরা জানি না। যত সংখ্যক টেস্টের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে কতগুলি রিপিট টেস্ট, কতগুলি কোয়ারাটিনের টেস্ট, এগুলির কোনওটাই আমরা জানি না । উপসর্গ রয়েছে, এই রকম কতজন মানুষের টেস্ট হচ্ছে ? CMR-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, এই বিষয়ে যতক্ষণ না জানা সম্ভব হচ্ছে, ততক্ষণ টেস্টের ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কি না বলা সম্ভব নয় ।" একই সঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, " টেস্ট বেড়েছে, কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয় । টেস্টের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাকলক রয়ে গেছে । 7-8 দিন আগে সংগৃহীত নমুনার রিপোর্ট এখন আসছে ।"

তিনি বলেন, " একদিনে এই সংখ্যা বৃদ্ধির একটাই কারণ, COVID-19 কমিউনিটির মধ্যে রয়ে গেছে। ফলে, আমাদের আরও সতর্ক হওয়া দরকার । আরও অনেক বেশি সক্রিয় ভাবে আমাদের কাজ করা দরকার । অন্যথা আমরা টাইম বোমার উপর বসে আছি । 15 দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে কোন ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে।"

অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, " কমিউনিটির মধ্যে COVID-19 ছড়িয়ে রয়েছে । আরও ছড়িয়ে পড়বে । কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব কেন্দ্র অথবা রাজ্য, কোনও সরকারই নিচ্ছে না । পরিযায়ী শ্রমিকরা কমিউনিটির মধ্যে মিশছেন । এর ফলে রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই কমিউনিটির মধ্যে উপসর্গহীন রোগীরাও রয়েছেন । উপসর্গহীন রোগীদের থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ।" এ দিকে, এ রাজ‍্যের চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক, চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, "এটা হওয়ারই ছিল। এত মানুষ আসছেন, তাঁদেরকে আসতেও হবে । এটা তো জীবন আর, জীবিকার সমস্যা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.