ETV Bharat / briefs

নারদ, সারদার টাকায় থাইল্যান্ড থেকে সোনা আসছে বাংলায় : নির্মলা সীতারমন

author img

By

Published : Apr 25, 2019, 5:57 AM IST

Updated : Apr 25, 2019, 10:49 PM IST

দিলীপ ঘোষের সমর্থনে গতকাল খড়গপুরে সভা করলেন BJP নেত্রী নির্মলা সীতারমন। সভামঞ্চ থেকে TMC-কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, "জঙ্গি মৃত্যুর ঘটনা সব দেশ স্বীকার করলেও শুধুমাত্র দিদি প্রমাণ চাইছেন। বাংলার জন্য এটা নিন্দাজনক । "

নির্মলা সীতারমন

খড়গপুর, 25 এপ্রিল: পাকিস্তানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার স্কুল উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । পাকিস্তানের ওই স্কুলে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে দেওয়া হতো জঙ্গি গড়ে ওঠার শিক্ষা । সেই স্কুলকে আমরা বিমানহানায় ধ্বংস করে দিয়েছি ।" গতকাল খড়গপুর সভায় এসে এ কথা বলেন BJP নেত্রী নির্মলা সীতারমন । সভায় নিজের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন তিনি । বলেন, "বিমানহানায় জঙ্গিদের খতম করেছে ভারতীয় সেনা । সারা বিশ্ব ভারতকে অভিবাদন জানিয়েছে । অথচ তখন বাংলার দিদিমণির চোখে জঙ্গিদের জন্য জল । জঙ্গি মৃত্যুর ঘটনা সব দেশ স্বীকার করলেও শুধুমাত্র দিদি প্রমাণ চাইছেন ।"

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর সমর্থনে গতকাল খড়গপুরে সভা করতে আসেন নির্মলা সীতারামন । ধ্যান সিং সোহন পাল মাঠে এই সভা হয়। সভায় নির্মলা সীতারমন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ , দলের জেলা সভাপতি সমিত দাস প্রমুখ । সভায় নির্মলা সীতারমন বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জবাব দিন, তিনি কি জঙ্গিদের সঙ্গে থাকতে চান, না ভারতবাসীর সঙ্গে?" তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেসের যুব সংগঠন রয়েছে। BJP-র যুব মোর্চা আছে । কিন্তু তৃণমূলের আছে শুধু সিন্ডিকেট।"

রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, "এত নারদ-সারদা কাণ্ড ঘটেছে। এসবের জন্য সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না বাংলার পুলিশ । সিন্ডিকেটের লোকজন পুলিশের উর্দি পরে সোনা পাচারে যুক্ত। দিদির ভাইপোর স্ত্রীকে অতি সহজে বিমানবন্দর থেকে বের করে এনেছে । সোনার বাংলা দিদির, সোনা আসছে অন্য কোথা থেকে । দীর্ঘ 34 বছর ধরে এখানে রাজত্ব করা কমিউনিস্টদের দেখানো পথই অনুসরণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এখানে সোনার বাংলা বলে দিদি চেঁচাচ্ছেন। অথচ সোনার বাংলা এখন সোনা চুরির বাংলা । TMC মানে T-তে তুষ্টিকরণ, M-এ মাফিয়ারাজ ও C-তে করাপসন অর্থাৎ দুর্নীতি। থাইল্যান্ড থেকে সোনা আনে তৃণমূলের সিন্ডিকেটের ছেলেরা । নেতাজির পরিবারের সদস্যদেরও ছাড়ছে না ওরা । তাদের সদস্যদের কাছেও তোলা তুলতে যাচ্ছে । পরিবর্তন দিদির শুধু মনে এসেছে, তাই তিনি এখন সোনা আর টাকা চাইছেন । "

শুনুন নির্মলা সীতারমনের বক্তব্য

নির্মলা সীতারমন আরও বলেন, "আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের যাবতীয় সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছেন দিদিমণি। যাতে মোদির স্বপ্নের প্রকল্পের সুবিধা বাংলার জনগণ না পায় । এটাই ওর মূল চেষ্টা । তা ছাড়া চাষিদের জন্য কিষাণ যোজনার টাকাও আনতে দিচ্ছে না দিদি । যাতে কিষাণরা সঠিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ বিকাশ যোজনার টাকা না পায় । দিদির উপর কেউ যদি প্রশ্ন করে তাঁর বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে । দিদিমণির গণতন্ত্রের উপর কোনও ভরসা নেই । তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও দল বা প্রার্থীকে তিনি দাঁড়াতে দিতে চান না । জনগণকে অনুরোধ করব ভয় পাবেন না । ভয়কে জয় করে 12 মে নিজের ভোট নিজে দিন । যদি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান তাহলে আর কোনও দিনই আপনারা ভোট দিতে পারবেন না । এবারে যদি ভোট না দিতে পারেন তাহলে আর কোনদিনই পারবেন না । এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিন্দি ছাড়াও তেলুগু ভাষায় বক্তব্য রাখেন খড়গপুরের তেলুগু ভাষাভাষীদের উদ্দেশে ।

খড়গপুর, 25 এপ্রিল: পাকিস্তানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার স্কুল উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । পাকিস্তানের ওই স্কুলে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে দেওয়া হতো জঙ্গি গড়ে ওঠার শিক্ষা । সেই স্কুলকে আমরা বিমানহানায় ধ্বংস করে দিয়েছি ।" গতকাল খড়গপুর সভায় এসে এ কথা বলেন BJP নেত্রী নির্মলা সীতারমন । সভায় নিজের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন তিনি । বলেন, "বিমানহানায় জঙ্গিদের খতম করেছে ভারতীয় সেনা । সারা বিশ্ব ভারতকে অভিবাদন জানিয়েছে । অথচ তখন বাংলার দিদিমণির চোখে জঙ্গিদের জন্য জল । জঙ্গি মৃত্যুর ঘটনা সব দেশ স্বীকার করলেও শুধুমাত্র দিদি প্রমাণ চাইছেন ।"

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর সমর্থনে গতকাল খড়গপুরে সভা করতে আসেন নির্মলা সীতারামন । ধ্যান সিং সোহন পাল মাঠে এই সভা হয়। সভায় নির্মলা সীতারমন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ , দলের জেলা সভাপতি সমিত দাস প্রমুখ । সভায় নির্মলা সীতারমন বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জবাব দিন, তিনি কি জঙ্গিদের সঙ্গে থাকতে চান, না ভারতবাসীর সঙ্গে?" তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেসের যুব সংগঠন রয়েছে। BJP-র যুব মোর্চা আছে । কিন্তু তৃণমূলের আছে শুধু সিন্ডিকেট।"

রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, "এত নারদ-সারদা কাণ্ড ঘটেছে। এসবের জন্য সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না বাংলার পুলিশ । সিন্ডিকেটের লোকজন পুলিশের উর্দি পরে সোনা পাচারে যুক্ত। দিদির ভাইপোর স্ত্রীকে অতি সহজে বিমানবন্দর থেকে বের করে এনেছে । সোনার বাংলা দিদির, সোনা আসছে অন্য কোথা থেকে । দীর্ঘ 34 বছর ধরে এখানে রাজত্ব করা কমিউনিস্টদের দেখানো পথই অনুসরণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এখানে সোনার বাংলা বলে দিদি চেঁচাচ্ছেন। অথচ সোনার বাংলা এখন সোনা চুরির বাংলা । TMC মানে T-তে তুষ্টিকরণ, M-এ মাফিয়ারাজ ও C-তে করাপসন অর্থাৎ দুর্নীতি। থাইল্যান্ড থেকে সোনা আনে তৃণমূলের সিন্ডিকেটের ছেলেরা । নেতাজির পরিবারের সদস্যদেরও ছাড়ছে না ওরা । তাদের সদস্যদের কাছেও তোলা তুলতে যাচ্ছে । পরিবর্তন দিদির শুধু মনে এসেছে, তাই তিনি এখন সোনা আর টাকা চাইছেন । "

শুনুন নির্মলা সীতারমনের বক্তব্য

নির্মলা সীতারমন আরও বলেন, "আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের যাবতীয় সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছেন দিদিমণি। যাতে মোদির স্বপ্নের প্রকল্পের সুবিধা বাংলার জনগণ না পায় । এটাই ওর মূল চেষ্টা । তা ছাড়া চাষিদের জন্য কিষাণ যোজনার টাকাও আনতে দিচ্ছে না দিদি । যাতে কিষাণরা সঠিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ বিকাশ যোজনার টাকা না পায় । দিদির উপর কেউ যদি প্রশ্ন করে তাঁর বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে । দিদিমণির গণতন্ত্রের উপর কোনও ভরসা নেই । তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও দল বা প্রার্থীকে তিনি দাঁড়াতে দিতে চান না । জনগণকে অনুরোধ করব ভয় পাবেন না । ভয়কে জয় করে 12 মে নিজের ভোট নিজে দিন । যদি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান তাহলে আর কোনও দিনই আপনারা ভোট দিতে পারবেন না । এবারে যদি ভোট না দিতে পারেন তাহলে আর কোনদিনই পারবেন না । এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিন্দি ছাড়াও তেলুগু ভাষায় বক্তব্য রাখেন খড়গপুরের তেলুগু ভাষাভাষীদের উদ্দেশে ।

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
Last Updated : Apr 25, 2019, 10:49 PM IST

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.