ETV Bharat / briefs

আত্মহত্যা করেছে কৃত্তিকা, কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ

কৃত্তিকার সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষিকাদের বয়ান অনুসারে, গতকাল সকালে প্রথম পাঁচটি ক্লাস স্বাভাবিকভাবেই করেছিল কৃত্তিকা । সেই সময় তাকে হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। ছ'নম্বর পিরিয়ডে 'মাথাব্যথা করছে' বলে সে ক্লাস থেকে বেরিয়ে সিকরুমের দিকে যায় ।

author img

By

Published : Jun 22, 2019, 9:41 PM IST

Updated : Jun 22, 2019, 11:39 PM IST

কৃত্তিকা পাল

কলকাতা, ২২ জুন: কৃত্তিকার মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ । চলছে তদন্ত । এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে সে আত্মহত্যাই করেছে । উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে হাতের লেখা কৃত্তিকারই বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা । যোধপুর পার্কের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন কৃত্তিকা নিজেই নিজের হাতে আঘাত করেছে । অন্য কেউ যদি হাতের শিরা কেটে দিত, তবে যে ধরনের চিহ্ন থাকে তা এক্ষেত্রে ছিল না। পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল ।

কৃত্তিকার সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার বয়ান অনুসারে, গতকাল সকাল থেকে প্রথম পাঁচটি ক্লাস স্বাভাবিকভাবেই করেছে কৃত্তিকা । সেই সময় তাকে হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। ছ'নম্বর পিরিয়েডে মাথাব্যথা করছে বলে সে ক্লাস থেকে সিকরুমের দিকে যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, বাথরুমে যাওয়ার সময় সে কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, ব্লেড এবং প্লাস্টিকের প্যাকেট লুকোনোর চেষ্টা করছিল সে। সুইসাইড নোটটিও সে বাথরুমে বসেই লিখেছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের । বাথরুমে উদ্ধার হয়েছে পেনও । সমস্ত পারিপার্শ্বিক বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে ধারণা, প্রথমে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে সুইসাইড নোট লেখে কৃত্তিকা । এরপর পেন্সিল কাটার ব্লেড দিয়ে প্রথমে হাতের শিরা কাটে । এরপরেই হয়ত নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে প্লাস্টিক পেঁচিয়ে নিয়েছিল ।

কৃত্তিকার বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কর্মসূত্রে হায়দারাবাদে থাকতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কলকাতায় ফিরতে তাঁর বেশ রাত হয়ে যায় । স্বাভাবিকভাবেই তখন পুলিশ তাঁর সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে, কৃত্তিকার মা মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন । কলকাতা পুলিশের এক সিনিয়র কর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, "ওর মা অনেকটাই ট্রমাটাইজড ছিল। তাই সেভাবে কথা বলা যায়নি । উনি শুধুমাত্র বলেছেন, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটে ভরতির বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে থাকত কৃত্তিকা । মাঝেমধ্যেই সে বলত, আদৌ সুযোগ পাবে কি না । তদন্তকারীরা বলছে, "কৃত্তিকার মাকে সুইসাইড নোট দেখিয়ে এখনই জিজ্ঞাসা করা সম্ভব নয় যে সেটা মেয়ের হাতের লেখা কি না । নোটটি হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টের কাছে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যদিও কৃত্তিকার শিক্ষক এবং সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে যে হাতের লেখা রয়েছে তা কৃত্তিকার ।"

কলকাতা, ২২ জুন: কৃত্তিকার মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ । চলছে তদন্ত । এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে সে আত্মহত্যাই করেছে । উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে হাতের লেখা কৃত্তিকারই বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা । যোধপুর পার্কের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন কৃত্তিকা নিজেই নিজের হাতে আঘাত করেছে । অন্য কেউ যদি হাতের শিরা কেটে দিত, তবে যে ধরনের চিহ্ন থাকে তা এক্ষেত্রে ছিল না। পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল ।

কৃত্তিকার সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার বয়ান অনুসারে, গতকাল সকাল থেকে প্রথম পাঁচটি ক্লাস স্বাভাবিকভাবেই করেছে কৃত্তিকা । সেই সময় তাকে হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। ছ'নম্বর পিরিয়েডে মাথাব্যথা করছে বলে সে ক্লাস থেকে সিকরুমের দিকে যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, বাথরুমে যাওয়ার সময় সে কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, ব্লেড এবং প্লাস্টিকের প্যাকেট লুকোনোর চেষ্টা করছিল সে। সুইসাইড নোটটিও সে বাথরুমে বসেই লিখেছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের । বাথরুমে উদ্ধার হয়েছে পেনও । সমস্ত পারিপার্শ্বিক বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে ধারণা, প্রথমে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে সুইসাইড নোট লেখে কৃত্তিকা । এরপর পেন্সিল কাটার ব্লেড দিয়ে প্রথমে হাতের শিরা কাটে । এরপরেই হয়ত নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে প্লাস্টিক পেঁচিয়ে নিয়েছিল ।

কৃত্তিকার বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কর্মসূত্রে হায়দারাবাদে থাকতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কলকাতায় ফিরতে তাঁর বেশ রাত হয়ে যায় । স্বাভাবিকভাবেই তখন পুলিশ তাঁর সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে, কৃত্তিকার মা মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন । কলকাতা পুলিশের এক সিনিয়র কর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, "ওর মা অনেকটাই ট্রমাটাইজড ছিল। তাই সেভাবে কথা বলা যায়নি । উনি শুধুমাত্র বলেছেন, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটে ভরতির বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে থাকত কৃত্তিকা । মাঝেমধ্যেই সে বলত, আদৌ সুযোগ পাবে কি না । তদন্তকারীরা বলছে, "কৃত্তিকার মাকে সুইসাইড নোট দেখিয়ে এখনই জিজ্ঞাসা করা সম্ভব নয় যে সেটা মেয়ের হাতের লেখা কি না । নোটটি হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টের কাছে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যদিও কৃত্তিকার শিক্ষক এবং সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে যে হাতের লেখা রয়েছে তা কৃত্তিকার ।"

Intro:কলকাতা, ২২ জুন: অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত। তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, আত্মহত্যা করেছিলেন নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কৃতি ছাত্রী কৃত্তিকা পাল। সূত্র জানাচ্ছে, যোধপুর পার্কের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে যে অপিনিয়ন দিয়েছেন, তাতে ওই কিশোরীর হাতের আঘাত নিজেই করেছেন। অন্য কেউ যদি হাতের শিরা কেটে দেয়, তবে যে ধরনের চিহ্ন থাকে তা এটি ছিল না। পাশাপাশি, পুলিশ জানতে পেরেছে বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সঙ্গে পাওয়া সুইসাইড নোটের হাতের লেখাও কৃত্তিকারই বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। Body:জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে পাঁচটি ক্লাস সে স্বাভাবিকভাবেই করেছে। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই সময় তাকে হাসি খুশি দেখাচ্ছিল। ছ'নম্বর পিরিয়ডে “মাথাব্যথা করছে" বলে সে ক্লাস থেকে সিকরুমের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, বাথরুমে যাওয়ার সময় কিছুটা পাল্টে গিয়েছিল তার চোখ-মুখ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাথরুমে যাওয়ার সময় সে কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, ব্লেড এবং প্লাস্টিকের প্যাকেটে লুকোনোর চেষ্টা করছিল সে। সুইসাইড নোটটিও সে বাথরুমে বসেই লিখেছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। বাথরুমে উদ্ধার হয়েছে পেনও। সমস্ত পারিপার্শ্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, বাথরুমের দরজা বন্ধ করে সুইসাইড নোট লেখার পর, পেন্সিল কাটার ব্লেড দিয়ে প্রথমে হাতের শিরা কাটে কৃত্তিকা। পরে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে প্লাস্টিক পেঁচিয়ে নেয়। যদিও ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই বোঝা যাবে রক্তক্ষরণ নাকি শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। আদৌ সে আত্মহত্যা করেছে নাকি এই মৃত্যুর পেছনে আছে অন্য কিছু।

এখন প্রশ্ন হল কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন কৃত্তিকা?

জানা গেছে ওই কিশোরীর বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কর্মসূত্রে হায়দারাবাদে থাকতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তেলেঙ্গানার রাজধানী থেকে শহরে ফিরতে তার বেশ রাত হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তখন পুলিশ তার সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে, ওই কিশোরীর মা মেয়ের মৃত্যুশোকে একেবারেই সুস্থ ছিলেন না। কলকাতা পুলিশের এক সিনিয়র কর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, “ ওর মা অনেকটাই ট্রমাটাইজড ছিল। তাই ইন্টারোগেশন যেটাকে বলে সেটা করা যায়নি। অনেক কথাবার্তা বলার পরে উনি শুধুমাত্র বলেছেন, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট ভর্তির বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে থাকত কৃত্তিকা। মাঝেমধ্যেই সে বলতো, আদৌ সুযোগ পাবে কিনা। যদিও তার বাবা অভয় দিতেন। বলতেন ওই পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া কোনও ব্যাপারই নয় কৃত্তিকার কাছে। আমরা শুধুমাত্র ওই কথাটুকুই বলতে পেরেছি। প্রতিকার সুইসাইড-নোট টুকুও দেখিয়ে, তারই হাতের লেখা কিনা তাও জিজ্ঞাসা করা সেই মুহূর্তে সম্ভব ছিল না। ওই নোট হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টের কাছে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যদিও শিক্ষক এবং সহপাঠীরা জানিয়েছেন ওই হাতের লেখা তারই।" Conclusion:সূত্র জানাচ্ছে, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটে সুযোগ পাওয়ার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল দশম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকা। এই প্রস্তুতির জন্যই সে এতটাই মানসিক চাপে ছিল যে, মাঝেমধ্যে রাত্রে ঘুমোতো না পর্যন্ত। তবে তিন পাতা সুইসাইড নোটের বেশ কয়েকটি বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তার বাবা যদি, আইএসআইয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার বিষয়ে সাহস দিত, তবে কেন সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্বের কথা লিখেছে? কি এমন ঘটেছিল যার জন্য তার বাবা-মার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল? কেন সে একাকীত্বে ভুগত? পাশাপাশি কৃত্তিকার কল লিস্ট চেক করছে তদন্তকারীরা। এর মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে চলছে পুলিশি তৎপরতা।
Last Updated : Jun 22, 2019, 11:39 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.