ETV Bharat / briefs

মন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্যেই লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ কৃষি বিল

পঞ্জাবে বাড়তে থাকা প্রতিবাদের জেরে কৃষি বিলগুলিকে কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী বলে ব্য়াখ্যা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল । এই ইশুতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি । কৃষি বিল সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বাড়ানো হয় লোকসভার অধিবেশনের সময়সীমা । চূড়ান্ত নাটকীয়তার শেষে বুধবার লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয় কৃষি বিল ।

Parliament
Parliament
author img

By

Published : Sep 17, 2020, 11:03 PM IST

Updated : Sep 18, 2020, 1:50 AM IST

দিল্লি, 17 সেপ্টেম্বর : চলছে সংসদের বাদল অধিবেশন । আজ চতুর্থ দিন । এবারের বাদল অধিবেশনে সবমিলিয়ে মোট 45 টি বিল ও 2 টি অর্থকরী বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা । দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল কেন্দ্রের । প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন বলে কথা । দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছিল শুভেচ্ছাবার্তা । কিন্তু বেলা গড়াতে না গড়াতেই হঠাৎ ছন্দপতন । কেন্দ্রের আনা কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী বলে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই । এই কৃষক বিরোধী বিলের কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল । এত সবকিছুর মধ্যেই লোকসভায় ধ্বনিভোটের মাধ্যমে পাশ হল কৃষি বিল ।

কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি সবে ঘোষণা হয়েছে । বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি শুরু হওয়ার মুহূর্তে । রাহুল গান্ধি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা তখন বিলের বিরোধীতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আর ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রের বিড়ম্বনা শতগুণে বাড়িয়ে এই বিলগুলিকে কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী বলে বসলেন শিরোমণি আকালি দলের নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল ।

এ দিন সংসদে বিলগুলির ঘোষণা করার পরেই হরসিমরতের স্বামী এবং অকালি দলের প্রধান সুখবীর বাদল বলেন, " কৃষি ক্ষেত্রে পঞ্জাব সরকারের 50 বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এই প্রস্তাবিত বিল ধ্বংস করবে ৷" প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই পঞ্জাব ও হরিয়াণায় "কৃষক বিরোধী" এই বিলগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল ।

BJP-র তরফে বলা হয়, বিলগুলি কৃষিক্ষেত্রে বড়-সড় আকারের সংস্কার নিয়ে আসবে । আকালি দল শুরুতে এই বিলের সমর্থনেই ছিল । কিন্তু পঞ্জাবে বাড়তে থাকা প্রতিবাদের জেরে বিলটি আপাতত স্থগিত রাখার জন্য কেন্দ্রকে আবেদন করেছিল আকালি দল । কিন্তু কেন্দ্র সংসদে এই বিলগুলি পেশ করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হয় না । এই কারণে নিজেদের সমর্থন তুলে নিতে বাধ্য হল আকালি দল । সুখবীর বাদল এই কৃষিসংক্রান্ত বিলগুলিকে কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দেন । তবে সরকার থেকে বেরিয়ে এলেও, আকালি দল বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করে যাবে বলে জানান সুখবীর বাদল ।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা, মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ হরসিমরত কউরের

এদিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং হরসিমরত কউর বাদলের এই পদত্যাগকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ ৷ তিনি এই পদত্যাগকে গিমিক বলে উল্লেখ করেছেন । বলেছেন, "পাঞ্জাবের কৃষকদের বোকা বানানোর কৌশল" ৷ অমরেন্দ্র সিংয়ের কথায়, "কৃষকদের প্রতি কোনও সমবেদনা থেকে এই পদত্যাগ করা হয়নি ৷ এর পিছনে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে ৷"

কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির এই কৃষি বিলের তীব্র বিরোধীতা করেছে । তাদের তরফে বারবার যেটা বলা হয়, সরকারের এই বিল মানলে খাদ্য সুরক্ষার শৃঙ্খল একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে, যা আদতে কৃষকদের ক্ষতি করবে । কৃষিজাত পণ্যের উপর থেকে কৃষকদের অধিকার হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করেছে বিরোধীরা ।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র আজ এই বিলের বিরোধীতা করে বলেন, "কৃষিক্ষেত্রের বিষয়ে এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার আবারও সেই কাজটিই করছে, যাতে তারা সিদ্ধহস্ত । নিজেদের এমনভাবে তুলে ধরছে, যেন তারা সংবিধানের বাইরে ।" পাশাপাশি, এই বিল পাশ হলে কৃষিজাত পণ্যের কালোবাজারি বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তৃণমূল ।

আরও পড়ুন : "মানুষ কি ভাবিজির পাঁপড় খেয়ে সুস্থ হয়েছেন ?", সংসদে BJP-কে আক্রমণ রাউতের

তবে এতসব নাটকীয়তার পরেও আজ লোকসভায় পাশ হয়ে গেল কৃষি বিল । কৃষি বিলের বিরোধীতা এবং তার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের কারণে অতিরিক্ত সময় অধিবেশন চালু থাকল লোকসভায় । সাধারণভাবে লোকসভায় সন্ধে 7 টা পর্যন্ত অধিবেশন চালু থাকার কথা । কিন্তু আজ কৃষি সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনার কারণে 8 টা পর্যন্ত চালু থাকে অধিবেশন ।

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বিলের পক্ষে বলেন, 2009-10 সালে UPA সরকারের আমলে কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল 1200 কোটি টাকা । এখন তা 1 লাখ 34 হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে । সমস্ত নাটকীয়তার মধ্যেও আজ ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সংসদে পাশ হয় কৃষি বিল ।

এদিকে বকেয়া GST মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজ সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল-সহ অন্য়ান্য বিরোধী দলগুলি । তবে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন না কংগ্রেসের নেতারা । বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তৃণমূল ছাড়াও আম আদমি পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি, NCP ও DMK-র সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু আজ বিরোধীদের বিক্ষোভে তথাকথিত প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের কাউকে কেন দেখা গেল না ? বিক্ষোভ শেষে এ-প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, "কংগ্রেসকে নিয়ে বিভিন্ন দলের কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই তাদের ডাকা হয়নি। " তাঁর কথায়, রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস সেভাবে কিছু করছে না , আর সংসদে পাশে চাইছে । এমনটা হতে পারে না । বিরোধীরা কোন পথে এগোবে, সেটা সবসময় কংগ্রেসই ঠিক করবে, এটা হতে দেওয়া যায় না । অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল যে কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছে, তা আজ তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ।

আরও পড়ুন : পৃথিবীর কোনও শক্তি সেনাকে টহলদারি থেকে সরাতে পারবে না : রাজনাথ

কিছুদিন আগেই যেসব রাজ্যে BJP বিরোধী দলগুলি সরকারে রয়েছে, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি । বৈঠকের আহ্বায়ক সোনিয়া হলেও আদতে বৈঠক পরিচালনার ব্যাটন তিনি তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর হাতে । কিন্তু তারপর হঠাৎ কী এমন হল, যাতে এমন ছন্দপতন । সেই উত্তরই খুঁজছে রাজনৈতিক মহল ।

সবমিলিয়ে আজকের জোড়া ছন্দপতন সংসদে । একদিকে কৃষি বিল ইশুতে BJP-আকালি দলের ছন্দপতন । অন্যদিকে কংগ্রেস-তৃণমূল দূরত্ব । আকালি দল যদিও বলেছে তারা বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করবে, তবে আগামীদিনে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় সেইদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ।

দিল্লি, 17 সেপ্টেম্বর : চলছে সংসদের বাদল অধিবেশন । আজ চতুর্থ দিন । এবারের বাদল অধিবেশনে সবমিলিয়ে মোট 45 টি বিল ও 2 টি অর্থকরী বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা । দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল কেন্দ্রের । প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন বলে কথা । দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছিল শুভেচ্ছাবার্তা । কিন্তু বেলা গড়াতে না গড়াতেই হঠাৎ ছন্দপতন । কেন্দ্রের আনা কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী বলে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই । এই কৃষক বিরোধী বিলের কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল । এত সবকিছুর মধ্যেই লোকসভায় ধ্বনিভোটের মাধ্যমে পাশ হল কৃষি বিল ।

কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি সবে ঘোষণা হয়েছে । বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি শুরু হওয়ার মুহূর্তে । রাহুল গান্ধি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা তখন বিলের বিরোধীতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আর ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রের বিড়ম্বনা শতগুণে বাড়িয়ে এই বিলগুলিকে কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী বলে বসলেন শিরোমণি আকালি দলের নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল ।

এ দিন সংসদে বিলগুলির ঘোষণা করার পরেই হরসিমরতের স্বামী এবং অকালি দলের প্রধান সুখবীর বাদল বলেন, " কৃষি ক্ষেত্রে পঞ্জাব সরকারের 50 বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এই প্রস্তাবিত বিল ধ্বংস করবে ৷" প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই পঞ্জাব ও হরিয়াণায় "কৃষক বিরোধী" এই বিলগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল ।

BJP-র তরফে বলা হয়, বিলগুলি কৃষিক্ষেত্রে বড়-সড় আকারের সংস্কার নিয়ে আসবে । আকালি দল শুরুতে এই বিলের সমর্থনেই ছিল । কিন্তু পঞ্জাবে বাড়তে থাকা প্রতিবাদের জেরে বিলটি আপাতত স্থগিত রাখার জন্য কেন্দ্রকে আবেদন করেছিল আকালি দল । কিন্তু কেন্দ্র সংসদে এই বিলগুলি পেশ করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হয় না । এই কারণে নিজেদের সমর্থন তুলে নিতে বাধ্য হল আকালি দল । সুখবীর বাদল এই কৃষিসংক্রান্ত বিলগুলিকে কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দেন । তবে সরকার থেকে বেরিয়ে এলেও, আকালি দল বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করে যাবে বলে জানান সুখবীর বাদল ।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা, মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ হরসিমরত কউরের

এদিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং হরসিমরত কউর বাদলের এই পদত্যাগকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ ৷ তিনি এই পদত্যাগকে গিমিক বলে উল্লেখ করেছেন । বলেছেন, "পাঞ্জাবের কৃষকদের বোকা বানানোর কৌশল" ৷ অমরেন্দ্র সিংয়ের কথায়, "কৃষকদের প্রতি কোনও সমবেদনা থেকে এই পদত্যাগ করা হয়নি ৷ এর পিছনে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে ৷"

কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির এই কৃষি বিলের তীব্র বিরোধীতা করেছে । তাদের তরফে বারবার যেটা বলা হয়, সরকারের এই বিল মানলে খাদ্য সুরক্ষার শৃঙ্খল একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে, যা আদতে কৃষকদের ক্ষতি করবে । কৃষিজাত পণ্যের উপর থেকে কৃষকদের অধিকার হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করেছে বিরোধীরা ।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র আজ এই বিলের বিরোধীতা করে বলেন, "কৃষিক্ষেত্রের বিষয়ে এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার আবারও সেই কাজটিই করছে, যাতে তারা সিদ্ধহস্ত । নিজেদের এমনভাবে তুলে ধরছে, যেন তারা সংবিধানের বাইরে ।" পাশাপাশি, এই বিল পাশ হলে কৃষিজাত পণ্যের কালোবাজারি বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তৃণমূল ।

আরও পড়ুন : "মানুষ কি ভাবিজির পাঁপড় খেয়ে সুস্থ হয়েছেন ?", সংসদে BJP-কে আক্রমণ রাউতের

তবে এতসব নাটকীয়তার পরেও আজ লোকসভায় পাশ হয়ে গেল কৃষি বিল । কৃষি বিলের বিরোধীতা এবং তার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের কারণে অতিরিক্ত সময় অধিবেশন চালু থাকল লোকসভায় । সাধারণভাবে লোকসভায় সন্ধে 7 টা পর্যন্ত অধিবেশন চালু থাকার কথা । কিন্তু আজ কৃষি সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনার কারণে 8 টা পর্যন্ত চালু থাকে অধিবেশন ।

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বিলের পক্ষে বলেন, 2009-10 সালে UPA সরকারের আমলে কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল 1200 কোটি টাকা । এখন তা 1 লাখ 34 হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে । সমস্ত নাটকীয়তার মধ্যেও আজ ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সংসদে পাশ হয় কৃষি বিল ।

এদিকে বকেয়া GST মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজ সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল-সহ অন্য়ান্য বিরোধী দলগুলি । তবে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন না কংগ্রেসের নেতারা । বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তৃণমূল ছাড়াও আম আদমি পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি, NCP ও DMK-র সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু আজ বিরোধীদের বিক্ষোভে তথাকথিত প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের কাউকে কেন দেখা গেল না ? বিক্ষোভ শেষে এ-প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, "কংগ্রেসকে নিয়ে বিভিন্ন দলের কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই তাদের ডাকা হয়নি। " তাঁর কথায়, রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস সেভাবে কিছু করছে না , আর সংসদে পাশে চাইছে । এমনটা হতে পারে না । বিরোধীরা কোন পথে এগোবে, সেটা সবসময় কংগ্রেসই ঠিক করবে, এটা হতে দেওয়া যায় না । অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল যে কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছে, তা আজ তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ।

আরও পড়ুন : পৃথিবীর কোনও শক্তি সেনাকে টহলদারি থেকে সরাতে পারবে না : রাজনাথ

কিছুদিন আগেই যেসব রাজ্যে BJP বিরোধী দলগুলি সরকারে রয়েছে, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি । বৈঠকের আহ্বায়ক সোনিয়া হলেও আদতে বৈঠক পরিচালনার ব্যাটন তিনি তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর হাতে । কিন্তু তারপর হঠাৎ কী এমন হল, যাতে এমন ছন্দপতন । সেই উত্তরই খুঁজছে রাজনৈতিক মহল ।

সবমিলিয়ে আজকের জোড়া ছন্দপতন সংসদে । একদিকে কৃষি বিল ইশুতে BJP-আকালি দলের ছন্দপতন । অন্যদিকে কংগ্রেস-তৃণমূল দূরত্ব । আকালি দল যদিও বলেছে তারা বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করবে, তবে আগামীদিনে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় সেইদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ।

Last Updated : Sep 18, 2020, 1:50 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.