ভাঙড়, 5 মে : দলের তরফে একাধিকবার গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারিও ছিল । তা সত্ত্বেও ভাঙড়ে ফের প্রকাশ্যে এল আরাবুল ইসলাম ও কাইজ়ার আহমেদের গোষ্ঠীকোন্দল । তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য আয়োজিত কর্মিসভায় এই বিবাদ প্রকাশ্যে আসে । যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, "এটা মান-অভিমানের বিষয় ।"
14 মে ভাঙড়ে নির্বাচনী জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সভার বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ হাতিশালায় একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি, আরাবুল ইসলাম সহ অন্যরা । স্বাভাবিক ছন্দেই সভা চলছিল । কিন্তু, কাইজ়ার আহমেদ সভাস্থানে যেতেই ছন্দপতন ঘটে । কাইজ়ার আসার পর আরাবুলকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম । কিন্তু, তা অস্বীকার করেন আরাবুল । একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি । সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন । রীতিমতো চিৎকার করতে থাকেন তিনি । পরে জেলা সভাপতির অনুরোধে সভাস্থানে থাকেন আরাবুল । তাঁকে শান্ত করতে মাথায় হাত বোলাতে থাকেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ।
কিন্তু, কী কারণে কাইজ়ারকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন আরাবুল ? সে প্রসঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য, আগে একাধিকবার আরাবুল সহ অন্য নেতাদের দলীয় সভায় হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন কাইজ়ার । কিন্তু, তাঁদের কার্যত দর্শকের ভূমিকায় রেখে নিজেই বক্তৃতা দিতেন । তা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরাবুল । আজ কাইজ়ার সভায় আসতে আরাবুল উত্তেজিত হয়ে পড়েন । যদিও বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভাশিস চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "এটা মান-অভিমানের বিষয় । যেভাবে বলতে চাইছিল হয়ত সেভাবে বলতে পারছিল না । তাই এই ঘটনা ঘটেছে । তারপর তো বলেছে । এটায় তো লুকোচুরির কিছু নেই । আরাবুল দলের স্বার্থে কাজ করেন । " যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের মুখে দুই দাপুটে নেতার এই কোন্দল তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে ।