ETV Bharat / briefs

ভাঙড়ে আরাবুল-কাইজ়ার কোন্দল, "মান-অভিমান" বললেন তৃণমূল জেলা সভাপতি - TMC

কাইজ়ার আহমেদ আসতেই সভাস্থান ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আরাবুল । পরে জেলা সভাপতির অনুরোধে সভাস্থানে থাকেন । তাঁকে শান্ত করতে মাথায় হাত বোলাতে থাকেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ।

ঘটনাস্থানের ছবি
author img

By

Published : May 5, 2019, 7:25 PM IST

ভাঙড়, 5 মে : দলের তরফে একাধিকবার গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারিও ছিল । তা সত্ত্বেও ভাঙড়ে ফের প্রকাশ্যে এল আরাবুল ইসলাম ও কাইজ়ার আহমেদের গোষ্ঠীকোন্দল । তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য আয়োজিত কর্মিসভায় এই বিবাদ প্রকাশ্যে আসে । যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, "এটা মান-অভিমানের বিষয় ।"

14 মে ভাঙড়ে নির্বাচনী জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সভার বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ হাতিশালায় একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি, আরাবুল ইসলাম সহ অন্যরা । স্বাভাবিক ছন্দেই সভা চলছিল । কিন্তু, কাইজ়ার আহমেদ সভাস্থানে যেতেই ছন্দপতন ঘটে । কাইজ়ার আসার পর আরাবুলকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম । কিন্তু, তা অস্বীকার করেন আরাবুল । একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি । সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন । রীতিমতো চিৎকার করতে থাকেন তিনি । পরে জেলা সভাপতির অনুরোধে সভাস্থানে থাকেন আরাবুল । তাঁকে শান্ত করতে মাথায় হাত বোলাতে থাকেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ।

কিন্তু, কী কারণে কাইজ়ারকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন আরাবুল ? সে প্রসঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য, আগে একাধিকবার আরাবুল সহ অন্য নেতাদের দলীয় সভায় হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন কাইজ়ার । কিন্তু, তাঁদের কার্যত দর্শকের ভূমিকায় রেখে নিজেই বক্তৃতা দিতেন । তা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরাবুল । আজ কাইজ়ার সভায় আসতে আরাবুল উত্তেজিত হয়ে পড়েন । যদিও বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভাশিস চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "এটা মান-অভিমানের বিষয় । যেভাবে বলতে চাইছিল হয়ত সেভাবে বলতে পারছিল না । তাই এই ঘটনা ঘটেছে । তারপর তো বলেছে । এটায় তো লুকোচুরির কিছু নেই । আরাবুল দলের স্বার্থে কাজ করেন । " যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের মুখে দুই দাপুটে নেতার এই কোন্দল তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে ।

ভাঙড়, 5 মে : দলের তরফে একাধিকবার গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারিও ছিল । তা সত্ত্বেও ভাঙড়ে ফের প্রকাশ্যে এল আরাবুল ইসলাম ও কাইজ়ার আহমেদের গোষ্ঠীকোন্দল । তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য আয়োজিত কর্মিসভায় এই বিবাদ প্রকাশ্যে আসে । যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, "এটা মান-অভিমানের বিষয় ।"

14 মে ভাঙড়ে নির্বাচনী জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সভার বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ হাতিশালায় একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি, আরাবুল ইসলাম সহ অন্যরা । স্বাভাবিক ছন্দেই সভা চলছিল । কিন্তু, কাইজ়ার আহমেদ সভাস্থানে যেতেই ছন্দপতন ঘটে । কাইজ়ার আসার পর আরাবুলকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম । কিন্তু, তা অস্বীকার করেন আরাবুল । একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি । সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন । রীতিমতো চিৎকার করতে থাকেন তিনি । পরে জেলা সভাপতির অনুরোধে সভাস্থানে থাকেন আরাবুল । তাঁকে শান্ত করতে মাথায় হাত বোলাতে থাকেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ।

কিন্তু, কী কারণে কাইজ়ারকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন আরাবুল ? সে প্রসঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য, আগে একাধিকবার আরাবুল সহ অন্য নেতাদের দলীয় সভায় হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন কাইজ়ার । কিন্তু, তাঁদের কার্যত দর্শকের ভূমিকায় রেখে নিজেই বক্তৃতা দিতেন । তা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরাবুল । আজ কাইজ়ার সভায় আসতে আরাবুল উত্তেজিত হয়ে পড়েন । যদিও বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভাশিস চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "এটা মান-অভিমানের বিষয় । যেভাবে বলতে চাইছিল হয়ত সেভাবে বলতে পারছিল না । তাই এই ঘটনা ঘটেছে । তারপর তো বলেছে । এটায় তো লুকোচুরির কিছু নেই । আরাবুল দলের স্বার্থে কাজ করেন । " যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের মুখে দুই দাপুটে নেতার এই কোন্দল তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে ।

Intro:আবারও ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। জেলা সভাপতির সামনেই ঘটে গোটা ঘটনাটি। কর্মী সভা ছেড়ে আরাবুল ইসলাম বেড়িয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।Body:আগামী 14 ই মে ভাঙড়ে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা নিয়েই কার্যত এদিন ভাঙড়ের হাতিশালাতে এক দলীয় কর্মী সভার আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। নীয়ম মেনেই এগিয়ে যাচ্ছিল আলোচনা সভা, হঠাৎই বাদ সাধে কাইজার আহমেদের উপস্থিতি। কাইজার আহমেদের উপস্থিতির পর বক্তব্য রাখার জন্য আরাবুল ইসলাম কে অনুরোধ করা হলে প্রথমে তা অস্বীকার করে। ভাঙড় 2 ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম কয়েক বার অনুরোধ করে কিন্ত আরাবুল ইসলাম তবু কিছু বলতে চাইনি। পরে বিরক্তি প্রকাশ করে টেবিল ছেড়ে উঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে দলীয় অন্য নেতারা আরাবুলকে চিয়ারে বসার জন্য অনুরোধ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরাবুল ইসলাম চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে।


পরবর্তীতে অহিদুল, হাকিমূল এমনকি শুভাশিস চক্রবর্তী অনুরোধে কার্যত মাথা ঠান্ডা করেন আরাবুল ইসলাম। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মমতা ব্যানার্জীর সভা কোথায় হবে তা ঠিক করার জন্য হাতিশালা সিক্সলেন ময়দান, ইনফোসিস মাঠ এবং ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার মাঠ পরিদর্শন করেন শুভাশিস চক্রবর্তী সহ সকল নেতা নেতৃত্ব।Conclusion:তৃণমূল সূত্রে খবর দলীয় নেতা কাউজার তার এলাকার মিটিংয়ে কয়েকবার আরাবুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম সহ নান্নু হোসেনকে আমন্ত্রণ জানায়। দলীয় নেতার আমন্ত্রণে এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা গেলে তাদেরকে বারবার অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। মঞ্চে তুলে নিয়ে তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সামনে আরাবুল ইসলাম সহ বাকি অন্য নেতাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতেন না কাউজার আহমেদ। কাঠের পুতুলের মতন চুপচাপ বসিয়ে রাখতেন। এতেই অপমানিত হয় আরাবুল ইসলাম সহ ভাঙড় 2 ব্লক এর নেতৃত্বে। এদিন হাতিশালা তে তৃণমূলের কর্মী সভায় কাউজার আহমেদকে দেখেই রেগে গিয়েছিল আরাবুল। আর তার ফলেই কর্মীসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্যোগে পুনরায় আরাবুল ইসলাম শুভাশিস চক্রবর্তী পাশে বসেন। সেই সময় আরাবুল ইসলামের মাথায় এবং বুকে হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যায় শুভাশিস চক্রবর্তীকে। তাকে ঠান্ডা থাকার জন্য অনুরোধ করেন শুভাশিস বাবু। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবার জন্য মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে শুভাশিস বাবু জানান এখানে রাগ অভিমানের কিছু হয়নি আরাবুল ইসলাম যেভাবে বলতে চাইছিল হয়তো সেভাবে বলতে পারছিল না তাই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর ভোটের মুখে এমন ঘটনা ঘটায় এর প্রভাব ভোট বাক্সে পড়বে কিনা সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.