বেজিং, 22 জুন : কোরোনা মহামারীতে ভারত "বিশ্বের ঔষধালয়" হিসেবে কাজ করছে। গতকাল একথা বলেন সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনেরাল ভ্লাদিমির নরভ। বলেন, কোরোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে ভারত ইতিমধ্যে 133 টি দেশকে ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছে। দেশের সরকার রোগ প্রতিরোধে জাতীয় স্তরে পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও তারা অন্যান্য দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যা ভারতের উদারতার প্রমাণ দেয়। এটি একটি প্রধান শক্তির উপযুক্ত ব্যবহার ও দায়িত্বশীলতার উদাহরণ।
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের অস্থায়ী আসনের নির্বাচনে জয়লাভ করে ভারত। ভারতের এই জয় সম্পর্কে তিনি বলেন, শক্তিশালী রাষ্ট্রসংঘের অঙ্গ হিসেবে ভারতের প্রবেশ সামান্য প্রতীকীর তুলনায় অনেক গভীর গুরুত্ব রাখে। আমি নিশ্চিত ভারতের দক্ষ বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসা পেশাদাররা বাকি বিশ্বের সঙ্গে কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের অধ্যয়ন এবং গবেষণায় অংশ নিয়ে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে। "
তিনি বলেন, "ভারত বর্তমানে জেনেরিক ওষুধের বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক হয়ে উঠেছে। মোট বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের 20 শতাংশ এবং ভ্যাকসিনগুলির বিশ্বব্যাপী চাহিদার 62 শতাংশ পূরণ করে ভারত। সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলি সহ বিভিন্ন দেশকে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উল্লেখ করে তিনি বলেন, "শেষ SCO সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমাদের সকলকে একজোট হয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।" তাঁর মতে, HEALTH শব্দটির প্রতিটি অক্ষর একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। H- স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা, E- অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, A- বিকল্প শক্তির উৎস, L- সাহিত্য ও সংস্কৃতি, T- সন্ত্রাসবাদ মুক্ত সমাজ এবং H- মানবিক সহযোগিতা। নরভ তাঁর বক্তব্য শেষে বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশনের ভূমিকা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে।