রায়গঞ্জ, ১৮ এপ্রিল : ইসলামপুরে পাটাগাড়া এলাকায় বুথের 100 মিটারের মধ্যে অস্ত্র ও বোমা নিয়ে দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। এই ঘটনায় তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য পুলিশ অপদার্থ। তৃণমূল টাকা দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে।
সেলিম বলেন, "আমি যে বুথে ঢুকেছিলাম, সেখানে ভোট করানো হচ্ছিল। বুথের বাইরে ছিল মস্তানরা। বোমা, বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একটা মস্তানকেও ধরতে পারল না। আমি বুথের ভিতরে ছিলাম বলে হামলা চালানো হয়েছে। ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। প্রিসাইডিং অফিসারকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তাঁর ১০০ মিটারের মধ্যে মস্তানরা অস্ত্র ও বোমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি একা মাঠের মধ্যে দাড়িয়ে আছি। গতরাতে ভোটারদের টাকা দিয়েছে। আর আজ দেখে নিচ্ছে ভোট কাকে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ অপদার্থ। আমি বুথে যাওয়ার আধঘণ্টা পর পুলিশ যাচ্ছে। যে বুথগুলি তৃণমূল দখল করবে সেই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়নি। আমাদের ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে না। 100 মিটারের মধ্যে আটকে দিচ্ছে।
এদিকে, এর আগে মানিকপুরের একটি বুথে যান সেলিম। 29/4 নম্বর বুথে ছিল না পর্যাপ্ত আলো। EVM ঠিকভাবে ঘেরা ছিল না। আজ সকালে সেই বুথে যান রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তিনি পোলিং অফিসারদের আলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপর তিনি নিজে EVM-এর চারপাশ ঢেকে দেন।
মহম্মদ সেলিম বলেন, "কোনও জায়গায় EVM খারাপ। হেমতাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। কোথাও পোলিং এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। কদম্বগাছিতে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। তারই 50 গজের মধ্যে সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে শান্তপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানেই যাচ্ছি। অভিযোগের পরিমাণ কম। 3-4 শতাংশ বুথে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি।"