কোচবিহার, 5 এপ্রিল: প্রতি বুথে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবিতে কোচবিহার জেলাজুড়ে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের। আজ বেলা বারোটা নাগাদ ভোটকর্মীদের এই বিক্ষোভের জেরে তাদের প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলা রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। ভোটকর্মীরা সেই সময় প্রাণ বাঁচাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছেড়ে চলে আসে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে এবার বুথের সংখ্যা 2000-এর উপর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র কয়েক কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। তাই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
আগামী 11 এপ্রিল কোচবিহারে লোকসভা আসনের নির্বাচন। কোচবিহার কেন্দ্রে 2010টি বুথ রয়েছে। ভোটের আর কয়েক দিন বাকি থাকলেও কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র তিন কম্পানি আধা সামরিক বাহিনী এসে পৌঁছেছে। ফলে ভোটকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারের বহু বুথে অশান্তি হয়। দুষ্কৃতীরা বুথকর্মী, প্রিজ়াইডিং অফিসারদের হুমকি দেয়। বোমাবাজি করে। ব্যালট বাক্স নিয়ে চম্পট দেয়। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য আগে থেকেই এবার ভোটকর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছে। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না পৌঁছানোয় ভোটকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে আজ বেশ কয়েক কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেলায় আসার কথা রয়েছে।
আজ ভোটের প্রশিক্ষণ নিতে এসে প্রতি বুথে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে ভোটকর্মীরা। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তোলে। কোচবিহার, তুফানগঞ্জ ও মাথাভাঙায় বিক্ষোভ দেখায় ভোটকর্মীরা। পাশাপাশি কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি মোড়ে তারা পথ অবরোধ করে। ভোটকর্মীদের বক্তব্য, এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আগামী ১০ এপ্রিল তারা ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাবে না।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের জেলাশাসক তথা কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন BJP নেতা মুকুল রায় এবং বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায়। আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে গোবিন্দ রায় বলেন, প্রতি বুথে এবং এরিয়া ডমিনেশনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছেন তাঁরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা প্রয়োজনে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন।
