ETV Bharat / bharat

Man Kills Live-in Partner: খুন করে সঙ্গিনীর দেহ সেপটিক ট্যাংকে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে যুবকের

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে নৃশংসভাবে সাত বছরের প্রেমের ইতি ৷ লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিলেন যুবক ৷ তার চারদিনের মাথায় অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে সারলেন তিনি ৷

Uttar Pradesh murder case
লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে দেহ
author img

By

Published : Jun 10, 2023, 6:48 PM IST

প্রয়াগরাজ, 10 জুন: দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব ৷ মুম্বইয়ে লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করে কুকারে সেদ্ধ করে মনোজ ৷ এরপর এবার প্রয়াগরাজে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয়, তাঁকে হত্যা করার মাত্র চারদিন পর অন্য মেয়েকে বিয়েও করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কাছে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে খুঁজতেও বের হয়েছে অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, তাদের সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার ওই যুবককে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তারপর মেয়েটিকে খুনের কথা জানায় সে। পরে অভিযুক্তের কথামতো পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে দেহ উদ্ধার করে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

প্রয়াগরাজের করছনা থানা এলাকার বাসিন্দা রাজকেশর চৌধুরি ৷ সাত বছর আগে আশিস ওরফে অরবিন্দ কুমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার । তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পায় এবং তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন । সাত বছর ধরে তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল । তবে ব্যঘাত ঘটে যখন আশিসের পরিবার অন্যত্র তাঁর বিয়ে ঠিক করেন । আশিসের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল 28 মে । এ খবর জানতে পেরে যান রাজকেশর ৷ তিনি এই বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করেন । আর সে জন্যই 24 মে আশিস তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং একটি সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে রাখে বলে অভিযোগ ।

আরও পড়ুন: লিভ-ইন পার্টনারের দেহ টুকরো করে কুকারে সেদ্ধ, হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রইল মায়ানগরী

দেহটি নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়: আশিস লিভ-ইন পার্টনার রাজকেশরকে 24 মে তারই একটি নির্মীয়মান বাড়িতে ডেকেছিলেন। যেখানে তিনি সঙ্গিনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে দেন বলে অভিযোগ । তারপর সেপটিক ট্যাংকে মৃতদেহের উপর বালি ও মাটি দিয়ে দেন । পরের দিন শ্রমিকদের ডেকে সেপটিক ট্যাংকে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় । যার কারণে কেউ জানতে পারেনি সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে থাকা দেহের কথা ।

মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে যুবক: পুলিশের দাবি, আশিস এতটাই চালাক যে রাজকেশরের পরিবার তাকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানালে তিনি নিজেও রাজকেশরের খোঁজ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এক সপ্তাহ আগে 30 মে রাজকেশর চৌধুরির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে করছনা থানায় গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ করেন তিনি । এক সপ্তাহ খোঁজাখুঁজির পরও পুলিশ রাজকেশরের কোনও হদিশ পায় না ৷ এরপরেই তাঁর প্রেমিক অর্থাৎ আশিসের উপর সন্দেহ হয় তাদের ৷ আশিসকে ধরে চাপ দিতেই কীভাবে সে মেয়েটিকে খুন করেছে ও কোথায় রাখা হয়েছে; অভিযুক্ত সব বলে দেন বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ফিরল শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ! দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক

খুনের কারণ কী: আশিস পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছিল রাজকেশর তাঁকে বিয়ে করতে দেবেন না । এই কারণে তিনি তাঁর সাত বছরের প্রেমে ইতি টানতে চান এবং লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের পরিকল্পনা করেন ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি রাজকেশরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন । এরপর কেউ বিষয়টি যাতে জানতে না পারে তাই তাঁর দেহটি সেপটিক ট্যাংকে রেখে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় ।

আরও পড়ুন: আমি শ্রদ্ধাকে খুনে করে টুকরো করেছি !' পলিগ্রাফে 'দোষ কবুল' আফতাবের

বাবার মৃত্যুর পর সংসার চালাতেন রাজকেশর: করছনা থানা এলাকার মহেভা কুঞ্জলভাইশ গ্রামে থাকতেন রাজকেশর ৷ তাঁর বাবা শালিগ্রাম বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন । বাবার মৃত্যুর পরই আশিসের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় রাজকেশরের । বাবার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের ভার ছিল রাজকেশর উপরই । তিনি বাড়িতে একটি সেলাই এমব্রয়ডারির কেন্দ্র খুলেছিলেন । নিজের উপার্জন দিয়ে ছোট বোনদের বিয়ে দিয়েছিলেন । রাজকেশরের পরিবারের সদস্যরাও আশিসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং লিভ-ইনের বিষয়ে জানতেন বলে সূত্রের খবর । কিন্তু আশিস যে তাঁকে হত্যা করবে সে কথা তাঁর পরিবার কোনওদিন ভাবতেও পারেনি ।

প্রয়াগরাজ, 10 জুন: দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব ৷ মুম্বইয়ে লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করে কুকারে সেদ্ধ করে মনোজ ৷ এরপর এবার প্রয়াগরাজে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয়, তাঁকে হত্যা করার মাত্র চারদিন পর অন্য মেয়েকে বিয়েও করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কাছে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে খুঁজতেও বের হয়েছে অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, তাদের সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার ওই যুবককে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তারপর মেয়েটিকে খুনের কথা জানায় সে। পরে অভিযুক্তের কথামতো পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে দেহ উদ্ধার করে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

প্রয়াগরাজের করছনা থানা এলাকার বাসিন্দা রাজকেশর চৌধুরি ৷ সাত বছর আগে আশিস ওরফে অরবিন্দ কুমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার । তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পায় এবং তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন । সাত বছর ধরে তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল । তবে ব্যঘাত ঘটে যখন আশিসের পরিবার অন্যত্র তাঁর বিয়ে ঠিক করেন । আশিসের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল 28 মে । এ খবর জানতে পেরে যান রাজকেশর ৷ তিনি এই বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করেন । আর সে জন্যই 24 মে আশিস তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং একটি সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে রাখে বলে অভিযোগ ।

আরও পড়ুন: লিভ-ইন পার্টনারের দেহ টুকরো করে কুকারে সেদ্ধ, হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রইল মায়ানগরী

দেহটি নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়: আশিস লিভ-ইন পার্টনার রাজকেশরকে 24 মে তারই একটি নির্মীয়মান বাড়িতে ডেকেছিলেন। যেখানে তিনি সঙ্গিনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে দেন বলে অভিযোগ । তারপর সেপটিক ট্যাংকে মৃতদেহের উপর বালি ও মাটি দিয়ে দেন । পরের দিন শ্রমিকদের ডেকে সেপটিক ট্যাংকে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় । যার কারণে কেউ জানতে পারেনি সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে থাকা দেহের কথা ।

মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে যুবক: পুলিশের দাবি, আশিস এতটাই চালাক যে রাজকেশরের পরিবার তাকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানালে তিনি নিজেও রাজকেশরের খোঁজ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এক সপ্তাহ আগে 30 মে রাজকেশর চৌধুরির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে করছনা থানায় গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ করেন তিনি । এক সপ্তাহ খোঁজাখুঁজির পরও পুলিশ রাজকেশরের কোনও হদিশ পায় না ৷ এরপরেই তাঁর প্রেমিক অর্থাৎ আশিসের উপর সন্দেহ হয় তাদের ৷ আশিসকে ধরে চাপ দিতেই কীভাবে সে মেয়েটিকে খুন করেছে ও কোথায় রাখা হয়েছে; অভিযুক্ত সব বলে দেন বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ফিরল শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ! দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক

খুনের কারণ কী: আশিস পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছিল রাজকেশর তাঁকে বিয়ে করতে দেবেন না । এই কারণে তিনি তাঁর সাত বছরের প্রেমে ইতি টানতে চান এবং লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের পরিকল্পনা করেন ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি রাজকেশরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন । এরপর কেউ বিষয়টি যাতে জানতে না পারে তাই তাঁর দেহটি সেপটিক ট্যাংকে রেখে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় ।

আরও পড়ুন: আমি শ্রদ্ধাকে খুনে করে টুকরো করেছি !' পলিগ্রাফে 'দোষ কবুল' আফতাবের

বাবার মৃত্যুর পর সংসার চালাতেন রাজকেশর: করছনা থানা এলাকার মহেভা কুঞ্জলভাইশ গ্রামে থাকতেন রাজকেশর ৷ তাঁর বাবা শালিগ্রাম বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন । বাবার মৃত্যুর পরই আশিসের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় রাজকেশরের । বাবার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের ভার ছিল রাজকেশর উপরই । তিনি বাড়িতে একটি সেলাই এমব্রয়ডারির কেন্দ্র খুলেছিলেন । নিজের উপার্জন দিয়ে ছোট বোনদের বিয়ে দিয়েছিলেন । রাজকেশরের পরিবারের সদস্যরাও আশিসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং লিভ-ইনের বিষয়ে জানতেন বলে সূত্রের খবর । কিন্তু আশিস যে তাঁকে হত্যা করবে সে কথা তাঁর পরিবার কোনওদিন ভাবতেও পারেনি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.