এলুরু(অন্ধ্রপ্রদেশ), 15 জুলাই: মা নাকি মেয়েদের সবচেয়ে বড় বন্ধু ৷ দ্বিতীয় স্বামীকে দিয়ে মেয়েদেরকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক মায়ের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু জেলার পেদাপাদু মণ্ডলের একটি গ্রামে ৷ দুই মেয়ের মধ্যে একজন এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ৷ মেয়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিশা থানার পুলিশ মা ও তার দ্বিতীয় স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ।
একজন মা সবকিছু করতে পারে তার সন্তানের জন্য ৷ এমনটাই দস্তুর ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটল সম্পূর্ণ উলটো ৷ মা নিজের মেয়েদের স্বামীর কাছে 'বলি' দিল কেবল স্বার্থের জন্য ৷ কারণ দ্বিতীয় স্বামীকে কাছে রাখতে হবে তাকে ৷
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার দুই মেয়ে রয়েছে ৷ তিনি আর সন্তান নেবেন না বলে অস্ত্রোপচার করে নেন ৷ কিন্তু তারপর 2007 সালে তাঁর স্বামী অসুস্থতার কারণে মারা যান । এরপর তিনি তাঁর পিসির ছেলে সতীশকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন । ওই মহিলা আর মা হতেন পারবেন না জেনেও নাকি দ্বিতীয় স্বামী তাঁকে হুমকি দিতেন যে তিনি সন্তান চান ৷ আর সন্তান না-হলে অন্য কাউকে বিয়ে করবেন বলেও তিনি হঁশিয়ারি দেন ।
এই ঘটনার কয়েক বছরের মাধ্যমে মহিলার আগের পক্ষের দুই মেয়ে কিশোরী হয়ে যায় । এরপরেই মা তার স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে দুই মেয়েকে ৷ মহিলা তার মেয়েদের দ্বিতীয় স্বামীর লালসার স্বীকার হতে সাহায্য করে । স্বামীকে সে পরামর্শ দেয় অন্য বিয়ে না-করে তার মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে ৷ মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেই সতীশকে বাবা হওয়ার পরামর্শ দেয় ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: সন্তানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে মা! সন্দেহের বশে খুন করল স্বামী
সূত্রের খবর, স্বামী সতীশ তাতে রাজি হয়ে যান । বড় মেয়ে গর্ভবতী হয়ে যায় ৷ তবে প্রথমাবস্থায় ওই মেয়ের গর্ভপাত করানো হলেও পরবর্তীতে আবার গর্ভবতী হয় বড় মেয়ে ৷ একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় সে । সতীশ তখন জানায়, তার একটি ছেলে চাই ৷ তখন ছোট মেয়েকে স্বামীর কাছে পাঠায় ওই মহিলা। সেই মেয়েও গর্ভবতী হয় এবং বাড়িতেই সন্তান প্রসব করে । তবে মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় ছোট মেয়ে ৷ সেই সদ্যজাতকে খালে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এরপর একদিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোল বাধে ৷ যার কারণে মায়ের বাড়িতে গিয়ে থাকে ওই মহিলা ৷ তার অবর্তমানে দুই মেয়েকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে সতীশ ।
আরও পড়ুন: ‘পরকীয়ার কাঁটা’ মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মা ও মায়ের প্রেমিক
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে কন্যাদের রেখে চলে যাওয়ার পর তার ছোট মেয়ে এক যুবককে সব ঘটনা খুলে বলে । সেই যুবক মেয়েগুলির মামাকে পুরো বিষয়টি জানান । এরপরে সমস্ত আত্মীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে যায় ৷ তারা এলুরুতে এসে নির্যাতিতাদের নিয়ে দিশা থানায় অভিযোগ দায়ের করে । এই জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দিশার সিআই ইন্দ্রকুমার । আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছি ছি রব উঠেছে ৷ সকলে বলছে, 'মায়ের নামে কলঙ্ক ওই মহিলা' ৷ বর্তমানে ওই মহিলার বড় মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।