হায়দরাবাদ, 28 ডিসেম্বর: ডাক্তারি পড়ায় মেয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছিল ৷ তাই ডাক্তারি পড়ায় আপত্তি ছিল মায়ের ৷ মেয়ে কোনও কথা না শুনে পড়া চালিয়ে যাওয়ায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মঘাতী হলেন মহিলা ৷ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মেদচল জেলার পোচারাম আইটি করিডোর থানা এলাকায় । মৃতের নাম লাবণ্য (37) ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, পেদ্দাপল্লি জেলার সুলতানাবাদের এলাঙ্কি ভাস্করের 2004 সালে লাবণ্যকে বিয়ে করেন । তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে । মেয়ে শ্রীজা ও ছেলে অশ্বিত । শ্রীজা হায়দরাবাদে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পায় ৷ এরপরেই পরিবারটি মেয়ের পড়াশোনার জন্য পোচারামের সদভবন শহরে চলে আসে । কিন্তু মা চাননি তাঁর মেয়ে এমবিবিএস পড়ুক । তিনি বলতেন, মেয়ের শরীর ভালো নেই ৷ তাই তিনি চান না মেয়ে এত চাপযুক্ত পড়াশোনা করুক । এই নিয়ে অনেক সময় মেয়ে ও মায়ের মধ্যে ঝগড়া হত । এমনকী স্বামীর সঙ্গেও এই বিষয়ে বাক বিতণ্ডা হত লাবণ্যর ।
এরই মধ্যে ভাস্কর কয়েক মাস ধরে হনুমাকোন্ডায় গিয়ে একাই ব্যবসা সামলাতেন । তবে পরিবারের কাছে আসা-যাওয়া করতেন তিনি । চলতি মাসের 25 তারিখে তিনি বাড়িতে আসেন । তিনি তাঁর স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলেকে নিয়ে ভেমুলওয়াদা মন্দিরেও গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকে 26 তারিখে বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁরা । এরপর বাড়ি ফিরে আবারও মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয় । তারপরেই লাবণ্য কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যান । পাশের একটি পুকুরে দেহ মেলে তাঁর ৷ পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি বলে অনুমান পুলিশের । স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: