ETV Bharat / bharat

BF 7 Variant: করোনার বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে কেন ভারত এত সতর্ক ? - BF 7 Variant

চিনে (China) হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ 7 (BF 7) ৷ যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার ৷ ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে ৷ কিন্তু ভারত কেন এত উদ্বিগ্ন ?

BF 7 Variant
করোনার বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্ট
author img

By

Published : Dec 23, 2022, 1:07 PM IST

হায়দরাবাদ, 23 ডিসেম্বর: করোনার (Covid) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ 7 (BF 7) ৷ এই ভ্যারিয়্যান্টেই চিনে (China) ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ৷ ভারতীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এই ভ্যারিয়্যান্ট ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মাত্র চারজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে এখন থেকেই ভারত সরকার সতর্ক । এর আগে করোনার ডেল্টা (Delta) এবং ওমিক্রনের (Omicron) মতো ভ্যারিয়্যান্টের মোকাবিলা এই দেশে সফল ভাবে হয়েছিল ৷ তার পরও কেন এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে এত চিন্তিত সরকার ? কী এর বিশেষত্ব ?

বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্ট প্রধানত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করে ৷ যার মানে এটি বুক এবং গলাতে বেশি প্রভাব ফেলে । এগুলো ছাড়াও জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও ধরা পড়ছে । শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে গেলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে ৷ অনেকে আবার পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গগুলিরও সম্মুখীন হচ্ছেন ৷ এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ৷ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করানো উচিত ৷ এর ফলে ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ হবে ৷

গত কয়েকদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’শোর নিচে রয়েছে । স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন যে চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে অন্তত চারজন করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টে (Covid New Variant) আক্রান্ত হয়েছে এই দেশে ৷ এর মধ্যে গুজরাতে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন ৷ আর চতুর্থ আক্রান্তকে পাওয়া যায় ওড়িশায় ৷ স্বাস্থ্য দফতর সূত্র বলছে, এই চারজন রোগীই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ।

আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলির তুলনায়, এই বিএফ 7 এর তীব্রতা অনেক কম । কিন্তু খুব দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ে ৷ আর সেটাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে চিন্তার কারণ ৷ তাহলে দ্রুত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হবেন ৷ যদি ভারতে এটা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে ৷ তখন চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আরও কঠিন হয়ে যাবে ৷

করোনার প্রথম ঢেউ এসেছিল, সেই সময় চিন মোকাবিলা করতে খুবই সমস্যায় পড়েছিল ৷ কিন্তু এখন বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্টের জন্য তাদের আরও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে । সেই কারণেই ভারতের স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ৷ তাই আগে থেকেই সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে ৷

বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্টটি শুধু চিনে নয়, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে । তবে স্বস্তির বিষয় হল অন্যান্য দেশে চিনের মতো এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েনি ৷ ইংল্যান্ডে দু’মাস আগে এই ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ শুরু হয় ৷ কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় সেখানে তা ছড়িয়ে পড়েনি সেভাবে ৷

চিনের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম ৷ সেই কারণেই এই ভ্যারিয়্যান্টে সেখানকার মানুষ অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ আর ঠিকমতো টিকাকরণ না হওয়ায় একটা কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ বিএফ 7 নিয়ে সারা বিশ্বের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৷ রাজ্যগুলিকে কোভিড বিধিগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে । মানুষকে মাস্ক পরতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে ।

একই সঙ্গে আসন্ন উৎসবের মরশুমে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । কেন্দ্রের তরফে ভারত ও চিনের মধ্যে ফ্লাইটের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে 2 শতাংশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ নিয়ে সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মনসুখ মাণ্ডব্যর

হায়দরাবাদ, 23 ডিসেম্বর: করোনার (Covid) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ 7 (BF 7) ৷ এই ভ্যারিয়্যান্টেই চিনে (China) ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ৷ ভারতীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এই ভ্যারিয়্যান্ট ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মাত্র চারজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে এখন থেকেই ভারত সরকার সতর্ক । এর আগে করোনার ডেল্টা (Delta) এবং ওমিক্রনের (Omicron) মতো ভ্যারিয়্যান্টের মোকাবিলা এই দেশে সফল ভাবে হয়েছিল ৷ তার পরও কেন এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে এত চিন্তিত সরকার ? কী এর বিশেষত্ব ?

বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্ট প্রধানত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করে ৷ যার মানে এটি বুক এবং গলাতে বেশি প্রভাব ফেলে । এগুলো ছাড়াও জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও ধরা পড়ছে । শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে গেলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে ৷ অনেকে আবার পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গগুলিরও সম্মুখীন হচ্ছেন ৷ এর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ৷ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করানো উচিত ৷ এর ফলে ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ হবে ৷

গত কয়েকদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’শোর নিচে রয়েছে । স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন যে চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে অন্তত চারজন করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টে (Covid New Variant) আক্রান্ত হয়েছে এই দেশে ৷ এর মধ্যে গুজরাতে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন ৷ আর চতুর্থ আক্রান্তকে পাওয়া যায় ওড়িশায় ৷ স্বাস্থ্য দফতর সূত্র বলছে, এই চারজন রোগীই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ।

আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলির তুলনায়, এই বিএফ 7 এর তীব্রতা অনেক কম । কিন্তু খুব দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ে ৷ আর সেটাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে চিন্তার কারণ ৷ তাহলে দ্রুত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হবেন ৷ যদি ভারতে এটা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আগের ভ্যারিয়্যান্টগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে ৷ তখন চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আরও কঠিন হয়ে যাবে ৷

করোনার প্রথম ঢেউ এসেছিল, সেই সময় চিন মোকাবিলা করতে খুবই সমস্যায় পড়েছিল ৷ কিন্তু এখন বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্টের জন্য তাদের আরও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে । সেই কারণেই ভারতের স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ৷ তাই আগে থেকেই সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে ৷

বিএফ 7 ভ্যারিয়্যান্টটি শুধু চিনে নয়, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে । তবে স্বস্তির বিষয় হল অন্যান্য দেশে চিনের মতো এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েনি ৷ ইংল্যান্ডে দু’মাস আগে এই ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ শুরু হয় ৷ কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় সেখানে তা ছড়িয়ে পড়েনি সেভাবে ৷

চিনের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম ৷ সেই কারণেই এই ভ্যারিয়্যান্টে সেখানকার মানুষ অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ আর ঠিকমতো টিকাকরণ না হওয়ায় একটা কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ বিএফ 7 নিয়ে সারা বিশ্বের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৷ রাজ্যগুলিকে কোভিড বিধিগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে । মানুষকে মাস্ক পরতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে ।

একই সঙ্গে আসন্ন উৎসবের মরশুমে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । কেন্দ্রের তরফে ভারত ও চিনের মধ্যে ফ্লাইটের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে 2 শতাংশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ নিয়ে সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মনসুখ মাণ্ডব্যর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.