দিল্লি, 12 ফেব্রুয়ারি : রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী । পাশাপাশি তৃণমূলও ছাড়েন তিনি। আজ রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীন তিনি পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন । জানান, রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে । কিন্তু, এখানে কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, "দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমায় এখানে পাঠিয়েছে। রাজ্যে যে হিংসা চলছে তাতে কিছু করতে পারছি না। তাই আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার অন্তরাত্মা বলছে, যদি এখানে বসে থেকে কিছু না করতে পারি তাহলে আমার পদত্যাগ করাই ভালো। আমি পশ্চিমবঙ্গবাসীর হয়ে কাজ করে যাব।"
দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, " তৃণমূল মানে তৃণমূল স্তর । এটা আমাদের রাজ্যসভায় তৃণমূল স্তর থেকে কাউকে পাঠানোর সুযোগ করে দিল ।"
2014 সালে দীনেশ ত্রিবেদী ব্যারাকপুর আসন থেকে জিতেছিলেন । 2019-এ ওই আসনের দাবিদার ছিলেন অর্জুন সিং । তবে মমতা দীনেশকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন । এরপরই টিকিট না পেয়ে, বলা ভালো তৃণমূলে গুরুত্ব না পেয়ে বিজেপি-তে যান অর্জুন । বিজেপি থেকে অর্জুন দীনেশকে হারিয়ে দেন । পরে দীনেশকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন, রাজ্য়সভায় আজাদের উত্তরসূরি খাড়গে
বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তাপ তত বাড়ছে । বিশেষ করে শাসকদল থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতার গেরুয়া শিবিরে যোগ রীতিমতো চিন্তায় ফেলছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী দিয়ে শুরু হয় দলবদলের পালা । প্রথমে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ । তারপর দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান । এরপর একে একে মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । অনেক হেভিওয়েটই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন । এবার দীনেশ ত্রিবেদী । আজ রাজ্যসভায় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি । তাঁর এই ইস্তফায় বিজেপি যোগের জল্পনা শুরু হয়েছে।