পৌরি (উত্তরাখণ্ড), 4 সেপ্টেম্বর: উত্তরাখণ্ডে এই বর্ষায় বৃষ্টি, ধস এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পাহাড়ি রাজ্যে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ একাধিক রাস্তা ৷ বাড়ি ভেঙে পড়েছে বহু ৷ জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত ৷ রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে মৃতদেহ সৎকারের জন্য কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হচ্ছে ৷
ভারী বর্ষণে ধ্বংসস্তূপে ঢেকে রাস্তা: উত্তরাখণ্ডের পৌরি জেলায় গ্রামীণ রাস্তাগুলোর অবস্থা এতই খারাপ যে সেখানে কোনও যানবাহন ঢুকছে না ৷ শবদেহ কাঁধে নিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আরও কোনও উপায় নেই ৷ রবিবার পৌরির বাসিন্দা মুকন্দি লাল মারা যান। পৌরি-কোটদ্বার হাইওয়ের এর শ্মশানে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ৷ প্রায় 5 থেকে 7 কিমি পথ হেঁটে তাঁরা জলপাদেবী শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
রাস্তা অবরোধের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ: এনিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ৷ রিংওয়াদসিউন বেল্টের চামালি, রিংওয়াদ, তাচওয়াদ, দিউ-সহ কয়েকটি গ্রামবাসীরা এনিয়ে পিডব্লিউডি'র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ৷ স্থানীয় বাসিন্দা ডিএন শাহ জানান, এই এলাকাটি রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সাতপাল মহারাজের। কিন্তু সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী মহারাজের এলাকায় রাস্তার এমন করুণ অবস্থা ৷ পিডব্লিউডি আধিকারিকদের জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ৷
কয়েক সপ্তাহ আগে, ভারী বৃষ্টির জেরে গঙ্গা-সহ বেশ কয়েকটি নদীতে জলস্ফীতির ঘটনা ঘটেছিল উত্তরাখণ্ডে । এর ফলে তৈরি হয়েছিল বন্যা পরিস্থিতি। যোশীমঠে একাধিক এলাকায় ধস নেমেছিল। দিনের পর দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল উত্তরাখণ্ড ও পাশের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে। মৌসম ভবনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছিল একাধিক সতর্কতা ৷
আরও পড়ুন: ফোন করেও মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স, মাঝরাস্তায় সন্তানের জন্ম দিলেন রঞ্জিতা