ETV Bharat / bharat

Seema-Sachin 'Love' Story: 'প্রেমিকের জন্যই ভারতে', এটিএস-এর 13 প্রশ্নে আর কী বললেন পাক যুবতী ? - পাকিস্তানি যুবতী

উত্তরপ্রদেশ এটিএস গোয়েন্দারা পাক যুবতী সীমা হায়দারকে দু দিন জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ৷ তাঁকে যে 13টি প্রশ্ন করা হয়, তার জবাবে কী বললেন সীমা, দেখে নিন ৷

Seema-Sachin 'Love' Story
Seema-Sachin 'Love' Story
author img

By

Published : Jul 19, 2023, 7:19 PM IST

লখনউ, 19 জুলাই: পাকিস্তানি সীমা হায়দার গুলামকে দু দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের গোয়েন্দারা ৷ গত সোমবার ও মঙ্গলবার করাচির যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় 13টি প্রশ্ন করেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার দুই অফিসার এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার একজন অফিসার ৷

2019 সালে পাবজি খেলার সময় যোগাযোগ হয় সিন্ধু প্রদেশের করাচির বাসিন্দা সীমা গুলাম হায়দার এবং ভারতের শচীন মীনার ৷ আলাপ-পরিচিতি থেকে বন্ধুত্ব ও তারপর প্রেম ৷ 1,300 কিলোমিটারেরও বেশি দূরে দুই বৈরী দেশে বসবাসকারী দুজনের মধ্যে এই নাটকীয় প্রেমের গল্প সম্প্রতি সামনে আসে ৷ 30 বছরের সীমা ও 22 বছরের শচীন দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় থাকতেন ৷ সেখানে একটি প্রোভিশন স্টোর চালান শচীন । ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ এটিএস আধিকারিকরাও শচীন মীনাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন । সীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় 13টি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় ৷ তিনি কী উত্তর দিয়েছেন,দেখে নিন ৷

প্রশ্ন 1: দুটি পাসপোর্টের আসল কোনটি ?

সীমা: আমি গত দশ দিন ধরে বলে আসছি, আগে পাসপোর্টে শুধু সীমা লেখা ছিল, যার কারণে সমস্যায় পড়েছিলাম । যে কারণে দ্বিতীয় পাসপোর্টটি সীমা গোলাম হায়দারের নামে করা হয় । এ ছাড়া এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই ৷

প্রশ্ন 2: আপনার কোনও ভাই এবং কাকা আছেন, যিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে আছেন ? তাঁরা কি আপনাকে এখানে পাঠিয়েছেন নাকি আইএসআই আপনাকে ভারতে যেতে বলেছে ?

সীমা: আমি আমার ভাই আর কাকার সঙ্গে বছরের পর বছর দেখা করিনি আর এই আইএসআই কী ? গত কয়েকদিনে ভারতে এসে একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যখন আমাকে আইএসআই-এর এজেন্ট বলা হয়েছিল, তখন আমি এটি সম্পর্কে জানতে পারি । আমি শুধু শচীন মীনার জন্য নেপাল হয়ে ভারতে এসেছি ।

প্রশ্ন 3: এটা কীভাবে সম্ভব যে আপনি করাচিতে থাকতেন, আপনার পরিবারের সদস্যরা যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে রয়েছেন, আর আপনি আইএসআই সম্পর্কে শোনেননি ? আপনি একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং পাবজি-র মতো গেম খেলেন । তাহলে আইএসআই সম্পর্কে জানবেন না কীভাবে ?

সীমা: আমার অর্ধেক জীবন কেটেছে বাচ্চাদের লালন-পালনে এবং গত পাঁচ বছর ধরে আমি শুধু সময় কাটানোর জন্য পাবজি খেলতাম । এমন পরিস্থিতিতে আইএসআই-এর মতো কথা শোনার সময় ছিল না ।

প্রশ্ন 4: আপনি আইএসআই শব্দটি শোনার সময় পাননি ? পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া সত্ত্বেও আপনার ইংরেজি খুব ভালো !

সীমা: আমি যা শিখেছি, আমি 2019 এর পরেই শিখেছি, যখন আমি পাবজি খেলা শুরু করি । আমি শিক্ষিত ছেলে এবং পুরুষদের সঙ্গে খেলতাম, তাই আমি তাঁদের কাছ থেকে ইংরেজি শিখতাম ।

এটি লক্ষণীয় যে, এটিএস অফিসার একটি পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে কয়েকটি লাইন লিখে সীমাকে পড়ার জন্য দিয়েছিলেন, সীমা সঙ্গে তা গড়গড় করে পড়ে দেন ৷

আরও পড়ুন: প্রেমের টানে অবৈধভাবে ভারতে আসা পাক মহিলার জেল হেফাজত, সঙ্গেই থাকবে 4 সন্তানও

প্রশ্ন 5: আপনি আপনার ভাষা উর্দু, আরবি, সিন্ধিতে কথা না বলে হিন্দিতে বলছেন । আর আপনি খুব ভালো ইংরেজিও বলছেন ৷ এর জন্য আপনাকে কে ট্রেনিং দিয়েছে ? সেখানে আপনাকে কি শুদ্ধ হিন্দিতে কথা বলতে বলা হয়েছিল, যাতে আপনি ভারতের মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন ? আমরা শুনেছি যে, আপনি উদ্বাস্তু এবং বিপর্যয়ের মতো শব্দগুলি খুব শুদ্ধভাবে বলেন ৷

সীমা: আমাকে কেউ শেখায়নি । আমি একাধিকবার বলেছি যে, আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র আমার ভালোবাসার জন্য । কেউ আমাকে ট্রেনিং দেয়নি, কেউ পাঠায়নি । শচীনের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি হিন্দি শিখেছি ।

প্রশ্ন 6: শচীন মীনা নিজেও ঠিকমতো হিন্দি বলতে পারেন না । তাঁর ভাষায় রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ছোঁয়া । আপনি যেটা বলছেন একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মতো, এটা কীভাবে সম্ভব ?

সীমা: উত্তর দেননি ।

প্রশ্ন 7: আপনি 4 জুলাই পুলিশকে বলেছিলেন যে, আপনি যখন বাসে নেপাল থেকে ভারতে এসেছিলেন, তখন আপনার মোবাইল কাজ করছিল না । তাই চালকের ফোন থেকে শচীনকে ফোন করেছিলেন । নয়ডা পুলিশ আপনার কাছ থেকে চারটি মোবাইল এবং চারটি সিম উদ্ধার করেছে । এতগুলো মোবাইল নিয়ে কী করছিলেন আর কেন ভাঙলেন ওগুলি ?

সীমা: নেপাল থেকে ভারতে আসার সময় আমার পাকিস্তান সিম কাজ করছিল না । আমি শচীনের কাছে এলে ও আমার জন্য একটি নতুন সিম নিয়ে আসে । মোবাইলটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে কারণ আমি চাইনি পাকিস্তানের লোকজন আমাকে ট্রেস করুক ।

প্রশ্ন 8: শচীন একটি সিম এনেছিলেন, বাকি সিমগুলো কীভাবে এল ?

সীমা: মনে নেই ।

প্রশ্ন 9: আপনি বিভিন্ন সেল ফোনে সমস্ত সিম রেখেছিলেন এবং সেগুলির মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চলছিল । আপনি এটিতে যে প্রোফাইল ফটোটি রেখেছেন তা অন্য কোনও মেয়ের । অন্যটিতে কাশ্মীরের পাহাড়ের ছবি রয়েছে । কার নির্দেশে এসব করছেন ?

সীমা: আমি হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ছবি পোস্ট করিনি, কমিউনিকেশন টুলও ব্যবহার করি না ।

প্রশ্ন 10: দুবাই হয়ে নেপালে আসতে অবশ্যই অনেক টাকা খরচ হয়েছে । এত টাকা এল কোথা থেকে ? আপনি নিজে ভাড়ায় থাকেন । আপনার স্বামীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো নয়, আপনি আপনার ভাইয়ের সঙ্গে বছরের পর বছর দেখা করেননি, তাহলে আপনি কীভাবে টাকা পেলেন ? কেউ যদি আপনাকে সাহায্য করে থাকে, সত্য প্রকাশ করুন, আমরা আপনাকে পাকিস্তান বা জেলে পাঠাব না । আপনাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব ।

আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সাহায্য ! বরখাস্ত 3 সরকারি আধিকারিক

সীমা: দুই ট্রিপেই মোট সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে । আমার নামে একটা বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলাম । আমি ওই বাড়িতে থাকতাম না । আমি আমার গয়না বিক্রি করে আমার স্বামী গোলামকে দুবাই পাঠাই । আমি বারবার বলেছি, কেউ আমাকে ভারতে আসতে সাহায্য করেনি ।

প্রশ্ন 11: আপনি কি শচীন ছাড়া ভারতে অন্য কাউকে চেনেন ?

সীমা: হ্যাঁ, কিন্তু ঠিকমতো না । আমি যখন পাকিস্তানে ছিলাম, শচীনকে জানার আগে, আমি আমার সময় কাটানোর জন্য পাবজি এবং ফেসবুকের মাধ্যমে কয়েকটি ছেলের সঙ্গে চ্যাট করতাম । প্রথম দিকে, আমি শচীনকে নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু বলিনি, এবং ও আমাকে কিছু বলেনি ।

প্রশ্ন 12: আপনি সারা জীবন কী করেছেন ? আপনার আসল বয়স কত ?

সীমা: আমার বয়স মাত্র 27 বছর । পাসপোর্টে নিশ্চয়ই কিছু ভুল হয়েছে ।

প্রশ্ন 13: ভারতে আসার জন্য আপনার আসল উদ্দেশ্য কী ?

সীমা: আমি আমার চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে পাকিস্তান থেকে এসেছি শুধুমাত্র শচীনের জন্য । বর্তমানে যা ঘটছে সে রকম কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয়েছিল ৷ সেই কারণে আমি আর শচীন একটা ভাড়া বাড়িতে থাকতাম । আমি এ বার এসব নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ৷

সীমা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন যে তিনি কেবল তাঁর সময় কাটানোর জন্য পাবজি খেলতেন । সূত্র আরও জানিয়েছে যে, সীমার জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং ইউপি এটিএস এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে । সূত্র আরও জানিয়েছে যে, এটিএস সীমার কোনও উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ।

লখনউ, 19 জুলাই: পাকিস্তানি সীমা হায়দার গুলামকে দু দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের গোয়েন্দারা ৷ গত সোমবার ও মঙ্গলবার করাচির যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় 13টি প্রশ্ন করেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার দুই অফিসার এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার একজন অফিসার ৷

2019 সালে পাবজি খেলার সময় যোগাযোগ হয় সিন্ধু প্রদেশের করাচির বাসিন্দা সীমা গুলাম হায়দার এবং ভারতের শচীন মীনার ৷ আলাপ-পরিচিতি থেকে বন্ধুত্ব ও তারপর প্রেম ৷ 1,300 কিলোমিটারেরও বেশি দূরে দুই বৈরী দেশে বসবাসকারী দুজনের মধ্যে এই নাটকীয় প্রেমের গল্প সম্প্রতি সামনে আসে ৷ 30 বছরের সীমা ও 22 বছরের শচীন দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় থাকতেন ৷ সেখানে একটি প্রোভিশন স্টোর চালান শচীন । ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ এটিএস আধিকারিকরাও শচীন মীনাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন । সীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় 13টি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় ৷ তিনি কী উত্তর দিয়েছেন,দেখে নিন ৷

প্রশ্ন 1: দুটি পাসপোর্টের আসল কোনটি ?

সীমা: আমি গত দশ দিন ধরে বলে আসছি, আগে পাসপোর্টে শুধু সীমা লেখা ছিল, যার কারণে সমস্যায় পড়েছিলাম । যে কারণে দ্বিতীয় পাসপোর্টটি সীমা গোলাম হায়দারের নামে করা হয় । এ ছাড়া এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই ৷

প্রশ্ন 2: আপনার কোনও ভাই এবং কাকা আছেন, যিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে আছেন ? তাঁরা কি আপনাকে এখানে পাঠিয়েছেন নাকি আইএসআই আপনাকে ভারতে যেতে বলেছে ?

সীমা: আমি আমার ভাই আর কাকার সঙ্গে বছরের পর বছর দেখা করিনি আর এই আইএসআই কী ? গত কয়েকদিনে ভারতে এসে একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যখন আমাকে আইএসআই-এর এজেন্ট বলা হয়েছিল, তখন আমি এটি সম্পর্কে জানতে পারি । আমি শুধু শচীন মীনার জন্য নেপাল হয়ে ভারতে এসেছি ।

প্রশ্ন 3: এটা কীভাবে সম্ভব যে আপনি করাচিতে থাকতেন, আপনার পরিবারের সদস্যরা যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে রয়েছেন, আর আপনি আইএসআই সম্পর্কে শোনেননি ? আপনি একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং পাবজি-র মতো গেম খেলেন । তাহলে আইএসআই সম্পর্কে জানবেন না কীভাবে ?

সীমা: আমার অর্ধেক জীবন কেটেছে বাচ্চাদের লালন-পালনে এবং গত পাঁচ বছর ধরে আমি শুধু সময় কাটানোর জন্য পাবজি খেলতাম । এমন পরিস্থিতিতে আইএসআই-এর মতো কথা শোনার সময় ছিল না ।

প্রশ্ন 4: আপনি আইএসআই শব্দটি শোনার সময় পাননি ? পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া সত্ত্বেও আপনার ইংরেজি খুব ভালো !

সীমা: আমি যা শিখেছি, আমি 2019 এর পরেই শিখেছি, যখন আমি পাবজি খেলা শুরু করি । আমি শিক্ষিত ছেলে এবং পুরুষদের সঙ্গে খেলতাম, তাই আমি তাঁদের কাছ থেকে ইংরেজি শিখতাম ।

এটি লক্ষণীয় যে, এটিএস অফিসার একটি পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে কয়েকটি লাইন লিখে সীমাকে পড়ার জন্য দিয়েছিলেন, সীমা সঙ্গে তা গড়গড় করে পড়ে দেন ৷

আরও পড়ুন: প্রেমের টানে অবৈধভাবে ভারতে আসা পাক মহিলার জেল হেফাজত, সঙ্গেই থাকবে 4 সন্তানও

প্রশ্ন 5: আপনি আপনার ভাষা উর্দু, আরবি, সিন্ধিতে কথা না বলে হিন্দিতে বলছেন । আর আপনি খুব ভালো ইংরেজিও বলছেন ৷ এর জন্য আপনাকে কে ট্রেনিং দিয়েছে ? সেখানে আপনাকে কি শুদ্ধ হিন্দিতে কথা বলতে বলা হয়েছিল, যাতে আপনি ভারতের মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন ? আমরা শুনেছি যে, আপনি উদ্বাস্তু এবং বিপর্যয়ের মতো শব্দগুলি খুব শুদ্ধভাবে বলেন ৷

সীমা: আমাকে কেউ শেখায়নি । আমি একাধিকবার বলেছি যে, আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র আমার ভালোবাসার জন্য । কেউ আমাকে ট্রেনিং দেয়নি, কেউ পাঠায়নি । শচীনের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি হিন্দি শিখেছি ।

প্রশ্ন 6: শচীন মীনা নিজেও ঠিকমতো হিন্দি বলতে পারেন না । তাঁর ভাষায় রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ছোঁয়া । আপনি যেটা বলছেন একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মতো, এটা কীভাবে সম্ভব ?

সীমা: উত্তর দেননি ।

প্রশ্ন 7: আপনি 4 জুলাই পুলিশকে বলেছিলেন যে, আপনি যখন বাসে নেপাল থেকে ভারতে এসেছিলেন, তখন আপনার মোবাইল কাজ করছিল না । তাই চালকের ফোন থেকে শচীনকে ফোন করেছিলেন । নয়ডা পুলিশ আপনার কাছ থেকে চারটি মোবাইল এবং চারটি সিম উদ্ধার করেছে । এতগুলো মোবাইল নিয়ে কী করছিলেন আর কেন ভাঙলেন ওগুলি ?

সীমা: নেপাল থেকে ভারতে আসার সময় আমার পাকিস্তান সিম কাজ করছিল না । আমি শচীনের কাছে এলে ও আমার জন্য একটি নতুন সিম নিয়ে আসে । মোবাইলটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে কারণ আমি চাইনি পাকিস্তানের লোকজন আমাকে ট্রেস করুক ।

প্রশ্ন 8: শচীন একটি সিম এনেছিলেন, বাকি সিমগুলো কীভাবে এল ?

সীমা: মনে নেই ।

প্রশ্ন 9: আপনি বিভিন্ন সেল ফোনে সমস্ত সিম রেখেছিলেন এবং সেগুলির মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চলছিল । আপনি এটিতে যে প্রোফাইল ফটোটি রেখেছেন তা অন্য কোনও মেয়ের । অন্যটিতে কাশ্মীরের পাহাড়ের ছবি রয়েছে । কার নির্দেশে এসব করছেন ?

সীমা: আমি হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ছবি পোস্ট করিনি, কমিউনিকেশন টুলও ব্যবহার করি না ।

প্রশ্ন 10: দুবাই হয়ে নেপালে আসতে অবশ্যই অনেক টাকা খরচ হয়েছে । এত টাকা এল কোথা থেকে ? আপনি নিজে ভাড়ায় থাকেন । আপনার স্বামীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো নয়, আপনি আপনার ভাইয়ের সঙ্গে বছরের পর বছর দেখা করেননি, তাহলে আপনি কীভাবে টাকা পেলেন ? কেউ যদি আপনাকে সাহায্য করে থাকে, সত্য প্রকাশ করুন, আমরা আপনাকে পাকিস্তান বা জেলে পাঠাব না । আপনাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব ।

আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সাহায্য ! বরখাস্ত 3 সরকারি আধিকারিক

সীমা: দুই ট্রিপেই মোট সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে । আমার নামে একটা বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলাম । আমি ওই বাড়িতে থাকতাম না । আমি আমার গয়না বিক্রি করে আমার স্বামী গোলামকে দুবাই পাঠাই । আমি বারবার বলেছি, কেউ আমাকে ভারতে আসতে সাহায্য করেনি ।

প্রশ্ন 11: আপনি কি শচীন ছাড়া ভারতে অন্য কাউকে চেনেন ?

সীমা: হ্যাঁ, কিন্তু ঠিকমতো না । আমি যখন পাকিস্তানে ছিলাম, শচীনকে জানার আগে, আমি আমার সময় কাটানোর জন্য পাবজি এবং ফেসবুকের মাধ্যমে কয়েকটি ছেলের সঙ্গে চ্যাট করতাম । প্রথম দিকে, আমি শচীনকে নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু বলিনি, এবং ও আমাকে কিছু বলেনি ।

প্রশ্ন 12: আপনি সারা জীবন কী করেছেন ? আপনার আসল বয়স কত ?

সীমা: আমার বয়স মাত্র 27 বছর । পাসপোর্টে নিশ্চয়ই কিছু ভুল হয়েছে ।

প্রশ্ন 13: ভারতে আসার জন্য আপনার আসল উদ্দেশ্য কী ?

সীমা: আমি আমার চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে পাকিস্তান থেকে এসেছি শুধুমাত্র শচীনের জন্য । বর্তমানে যা ঘটছে সে রকম কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয়েছিল ৷ সেই কারণে আমি আর শচীন একটা ভাড়া বাড়িতে থাকতাম । আমি এ বার এসব নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ৷

সীমা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন যে তিনি কেবল তাঁর সময় কাটানোর জন্য পাবজি খেলতেন । সূত্র আরও জানিয়েছে যে, সীমার জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং ইউপি এটিএস এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে । সূত্র আরও জানিয়েছে যে, এটিএস সীমার কোনও উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.