নয়াদিল্লি, 1 জুন : প্রকাশ্যে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরের কোন্দল ৷ তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর বিস্ফোরক রাজ্য়ের কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোৎ সিং সিধু ৷ মঙ্গলবার এই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ বৈঠকের পর সিধু জানান, তৃণমূল স্তরে পঞ্জাবের মানুষ যা বলতে চান, সেটাই হাইকম্য়ান্ডকে জানিয়ে এসেছেন তিনি ৷
বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছে পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরে ৷ যা মেটাতে পদক্ষেপ করতে হয় দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে ৷ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্ব তিন সদস্যদের একটি কমিটি গড়ে দেন তিনি ৷ যার বাকি দুই সদস্য হলেন দিল্লির প্রাক্তন সাংসদ জে পি আগরওয়াল এবং পঞ্জাবে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত ৷ মঙ্গলবার এই কমিটির মুখোমুখি হন সিধু ৷ বৈঠক চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ৷
বৈঠক সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নভজ্যোৎ ৷ তিনি বলেন, ‘‘হাইকম্য়ান্ডের নির্দেশেই আমি এই বৈঠকে যোগদান করেছি ৷ ওঁরা আমাকে পঞ্জাবের মানুষের সম্পর্কে যা প্রশ্ন করেছেন, আমি তার জবাব দিয়েছি ৷ পঞ্জাবের আমজনতার স্বর যাতে হাইকম্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছয়, আমি সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছি ৷ আমি মনে করি, গণতন্ত্রে মানুষ যে কর দেন, তার সুফল মানুষের কাছেই ফেরত আসা উচিত ৷ আমি সত্যিটা বলতে এসেছিলাম ৷ মানুষের শক্তি মানুষের কাছেই ফিরে আসা দরকার ৷’’ সিধুর মতে, সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু কখনই তাকে হারানো যায় না ৷
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর হল অফ শেম...এবার GDP নিয়ে টুইট-বাণ রাহুলের
প্রসঙ্গত, বেশি কিছু দিন ধরেই কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্জাব সরকার এবং রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না সিধুর ৷ অভিযোগ, নানা ইস্যুতে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন তিনি ৷ সেই বিবাদ মেটাতেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সনিয়া গান্ধিকে ৷ তবে তাতেও যে লাভ বিশেষ হয়নি, সিধুর এদিনের আচরণই তার প্রমাণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷