জৌনপুর (উত্তরপ্রদেশ), 11 এপ্রিল: 138 বছরের ব্যবধান শেষ হল সোমবার ! যার জন্য সুদূর ত্রিনিদাদ ও টোবাগো থেকে ভারতে আসতে হল সুনীতি মহারাজকে ! সুনীতির পূর্বপুরুষরা আদতে এই ভারতভূমেরই সন্তান ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে তাঁরা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় গিয়ে বসবাস শুরু করেন ৷ তারপর কেটে গিয়েছে 138 বছর ৷ সংশ্লিষ্ট পরিবারের বর্তমান সদস্যদের মধ্য়ে অন্যতম সুনীতি ৷ নিজের শিকড়ের সন্ধানে বেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার আদিপুর গ্রামে পৌঁছে যান তিনি ৷ সব কথা সামনে আসতেই সুনীতিকে নিয়ে কার্যত উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁর ভারতীয় আত্মীয়রা ৷
সোমবার সকালে প্রথমবারের জন্য এই গ্রামে পা রাখেন সুনীতি ৷ গ্রাম দেখে, গ্রামের মানুষকে দেখে তাঁর দু'চোখ জলে ভরে যায় ৷ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁর আত্মীয়রাও ৷ বহু দূর থেকে আসা ঘরের মেয়েকে একেবারে প্রথাগতভাবে বরণ করে নেন তাঁরা ৷ সুনীতি যখন গ্রামে ঢোকেন, সেই মুহূর্ত থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসব ৷ রীতিমতো ঢোল বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় ৷ গ্রামের মহিলারাই সুনীতিকে প্রদীপ দেখিয়ে বরণ করেন, তাঁর গলায় মালা পরিয়ে দেন ৷
আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম বিজেপি কর্মীর সঙ্গে 'স্পেশাল সেলফি' মোদির
জীবনে প্রথম দেখা ! স্বাভাবিকভাবেই আত্মীয়দের সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেন সুনীতি ৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে কথা ৷ এতগুলো বছর পরস্পরের থেকে দূরে থেকেও কীভাবে কাটালেন তাঁরা, সেই কথাই এক পক্ষ অন্য পক্ষকে জানান ৷ নিজের 'অভিযান' সম্পর্কে বলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সুনীতি ৷ তিনি বলেন, "আমার অনেকটাই বয়স হয়ে গিয়েছে ৷ তবুও নিজের কাছের মানুষগুলোকে দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না ৷ আমি সারাজীবন আমার পূর্বপুরুষদের সন্ধান করে গিয়েছি ৷ আমার পূর্বপুরুষদের গ্রাম খুঁজেছি ৷ অবশেষে, আজ আমি আমার সেই অভিযানে সফল হয়েছি ৷ আমার বহু বছরের সাধনা আজ পূর্ণ হয়েছে ৷ এই গ্রামে এসে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি ৷"