দিল্লি, 11 ফেব্রুয়ারি: সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ালে অথবা হিংসায় ইন্ধন দিলে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে৷ টুইটার নিয়ে যখন সরগরম দেশ ও রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই সংসদে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য়প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ৷
রাজ্যসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্য়াপ এবং লিঙ্কডইনের নাম উচ্চারণ করে রবি শংকর বলেন, ‘‘ভারতে আপনাদের লাখ লাখ ফলোয়ার আছে ৷ আপানারা বিনামূল্য়ে ব্য়বসা করে অর্থ উপার্জন করছেন, কিন্তু আপনাদের ভারতীয় সংবিধান ও আইন মেনে চলতে হবে ৷ আমরা সামাজিক মাধ্যমকে সম্মান করি ৷ সামাজিক মাধ্যম আমজনতাকে আরও শক্তিশালী করেছে ৷ ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচিতেও সামাজিক মাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে ৷ কিন্তু সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে কেউ যদি ভুয়ো তথ্য ছড়ান, হিংসায় মদত দেন, তাহলে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে৷’’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চাপে নতি স্বীকার, অ্য়াকাউন্টে কাঁচি টুইটারের
ভারতের মাটিতে বাকস্বাধীনতার সীমা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টুইটারের সঙ্গে দড়ি টানাটানি চলছে মোদি সরকারের ৷ সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে হিংসার পর 1 হাজার 300-রও বেশি টুইটার হ্য়ান্ডেল বন্ধ করার নির্দেশ দেয় দিল্লি৷ সরকারের দাবি, ওইসব অ্যাকাউন্টে ভুয়ো তথ্য এবং উসকানিমূলক মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে৷ সাংবাদিক, সমাজকর্মী থেকে রাজনীতিক, কেন্দ্রের নিশানা থেকে বাদ পড়েননি কেউই৷ এমনকী, এঁদের একাংশের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করা হয়েছে৷