লখনউ, 28 মে: লখনউয়ের চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ছবি সামনে এল ৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সন্দেহজনক ব্যক্তি অতি-সংবেদনশীল নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে ঢুকে পড়লেন বিমানবন্দরের রেস্ট্রিকটেড এলাকায় । এই খবর পেয়েই রানওয়ের দিকে ছুটে যান সিআইএসএফ কর্মীরা ৷
ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । তিনি সিআইএসএফ-এর জেরায় সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ায় তাঁকে সরোজিনী নগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । সিআইএসএফ-এর সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার সিং বলেছেন যে, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরোজিনী নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে 6টায় সিআইএসএফ কন্ট্রোল রুম এপ্রোন কন্ট্রোল থেকে একটি বার্তা পায় যে, একজন সন্দেহজন ব্যক্তি আট নম্বর বে-র কাছে যাচ্ছেন । সন্দেহভাজন তাঁর নাম প্রকাশ করেছেন সাদিক হুসেন হিসেবে ৷ বলেছেন, বারাণসীর আদমপুর বিশ্বেশ্বরগঞ্জের বাসিন্দা তিনি । যাত্রীর কাছে ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও নথি বা বোর্ডিং পাস পাওয়া যায়নি । অভিযুক্ত ব্যক্তি অননুমোদিতভাবে ঘরোয়া ভিজিটর পাস গেট দিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিলেন বলে সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে ৷ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি রুলস 1934, এয়ারক্রাফ্ট রুলস 2022 এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় । সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) কর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন লখনউ বিমানবন্দরে ৷
এ ছাড়া বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাও নিয়োজিত রয়েছে । বিমানবন্দরের ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফ-এর। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি কীভাবে অতি স্পর্শকাতর এলাকায় পৌঁছলেন ? এই বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে । সরোজিনী নগর থানার ইনচার্জ সন্তোষ কুমার আর্য বলেছেন যে, সিআইএসএফ কর্মী প্রদীপ কুমার সিংয়ের অভিযোগে বিমানবন্দরের সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশকারী সাদিক হুসেনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷
সাদিক হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি ছবি তুলতে সেখানে গিয়েছিলেন । বর্তমানে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় প্রবেশের অভিযোগে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকস্থলীতে 11 কোটি টাকার কোকেন, উদ্ধার 64 ক্যাপসুল