ETV Bharat / bharat

Supreme Court on ED: আর্থিক তছরুপে গ্রেফতার করতে পারে ইডি, অধিকার বহাল সুপ্রিম কোর্টে - পিএমএলএ

আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলাগুলিতে ইডি (Enforcement Directorate)-এর তদন্ত, গ্রেফতার এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা রুজু হয়েছিল ৷ সেই আবেদন খারিজ করে ইডি-এর ক্ষমতা বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত ৷

Supreme Court upholds ED power to arrest under Money Laundering Act
Supreme Court on ED: আর্থিক তছরুপে ইডি-এর গ্রেফতারের অধিকার বহাল সুপ্রিম কোর্টে
author img

By

Published : Jul 27, 2022, 12:18 PM IST

Updated : Jul 27, 2022, 1:43 PM IST

নয়াদিল্লি, 27 জুলাই: আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ইডি (Enforcement Directorate)-এর তদন্ত, গ্রেফতার এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার বলবৎ রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷ 'আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন' (Money Laundering Act) বা পিএমএলএ (PMLA)-এর আওতায় আগেই এই ক্ষমতা পেয়েছিল ইডি (ED) ৷ যা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা রুজু করা হয় ৷ বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

এ দিন বিচারপতি এএম খানউইলকরের (Justice A M Khanwilkar) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ আবেদনকারীদের দাবি ছিল, আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি-কে দেওয়া গ্রেফতারির অধিকার-সহ বেশ কিছু ক্ষমতা লোপ করতে হবে ৷ একইসঙ্গে, মামলাকারীরা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের বিস্তারিত ব্যাখ্য়াও জানতে চেয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন: Sonia Gandhi at ED Office: জেরার তৃতীয় দিন ! প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএমএলএ-র 5, 8(4), 15, 17 এবং 19 নম্বর ধারার আওতায় ইডি-কে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ৷ সেই অনুসারে, আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত যেকোনও মামলার তদন্ত করতে পারে ইডি ৷ এবং এই সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতাতেই ইডি অভিযুক্তকে গ্রেফতার, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ৷ এছাড়াও, পিএমএলএ-র 45 নম্বর ধারার আওতায় অভিযুক্তের জামিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য 'জোড়া শর্ত' (twin conditions)-ও নিশ্চিত করেছে শীর্ষ আদালত ৷

এদিনের এই শুনানিতে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ইডি, এসএফআইও (SFIO) অর্থাৎ Serious Fraud Investigation Office এবং ডিআরআই (DRI) বা Directorate of Revenue Intelligence- আদতে পুলিশ নয় ৷ তাই তদন্ত চলাকালীন তারা যে বয়ান রেকর্ড করবে, তা 'বৈধ প্রমাণ' হিসাবেই গণ্য হবে ৷ আদালতের কথায়, "ভারতীয় দণ্ডবিধি ফৌজদারি ধারা অনুসারে, ইডি আধিকারিকরা কেউই পুলিশ নন ৷ তাই তাঁদের সামনে যে বয়ান রেকর্ড করা হবে, তা যেকোনও প্রমাণের মতোই বৈধ ৷"

একইসঙ্গে, আদালত এও জানিয়েছে যে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত যেকোনও মামলায় অভিযুক্তকে পাকড়াও করার সময় কোন কারণে তাঁকে ধরা হচ্ছে বা গ্রেফতার করা হচ্ছে, ইডি আধিকারিকরা তা প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য থাকবেন না ৷ এমনকী, অভিযুক্তকে অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি বা ECIR দেওয়াও বাধ্যতামূলক নয় ৷ কারণ, FIR আর ECIR এক জিনিস নয় ৷

নয়াদিল্লি, 27 জুলাই: আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ইডি (Enforcement Directorate)-এর তদন্ত, গ্রেফতার এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার বলবৎ রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷ 'আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন' (Money Laundering Act) বা পিএমএলএ (PMLA)-এর আওতায় আগেই এই ক্ষমতা পেয়েছিল ইডি (ED) ৷ যা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা রুজু করা হয় ৷ বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

এ দিন বিচারপতি এএম খানউইলকরের (Justice A M Khanwilkar) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ আবেদনকারীদের দাবি ছিল, আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি-কে দেওয়া গ্রেফতারির অধিকার-সহ বেশ কিছু ক্ষমতা লোপ করতে হবে ৷ একইসঙ্গে, মামলাকারীরা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের বিস্তারিত ব্যাখ্য়াও জানতে চেয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন: Sonia Gandhi at ED Office: জেরার তৃতীয় দিন ! প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএমএলএ-র 5, 8(4), 15, 17 এবং 19 নম্বর ধারার আওতায় ইডি-কে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ৷ সেই অনুসারে, আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত যেকোনও মামলার তদন্ত করতে পারে ইডি ৷ এবং এই সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতাতেই ইডি অভিযুক্তকে গ্রেফতার, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ৷ এছাড়াও, পিএমএলএ-র 45 নম্বর ধারার আওতায় অভিযুক্তের জামিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য 'জোড়া শর্ত' (twin conditions)-ও নিশ্চিত করেছে শীর্ষ আদালত ৷

এদিনের এই শুনানিতে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ইডি, এসএফআইও (SFIO) অর্থাৎ Serious Fraud Investigation Office এবং ডিআরআই (DRI) বা Directorate of Revenue Intelligence- আদতে পুলিশ নয় ৷ তাই তদন্ত চলাকালীন তারা যে বয়ান রেকর্ড করবে, তা 'বৈধ প্রমাণ' হিসাবেই গণ্য হবে ৷ আদালতের কথায়, "ভারতীয় দণ্ডবিধি ফৌজদারি ধারা অনুসারে, ইডি আধিকারিকরা কেউই পুলিশ নন ৷ তাই তাঁদের সামনে যে বয়ান রেকর্ড করা হবে, তা যেকোনও প্রমাণের মতোই বৈধ ৷"

একইসঙ্গে, আদালত এও জানিয়েছে যে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত যেকোনও মামলায় অভিযুক্তকে পাকড়াও করার সময় কোন কারণে তাঁকে ধরা হচ্ছে বা গ্রেফতার করা হচ্ছে, ইডি আধিকারিকরা তা প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য থাকবেন না ৷ এমনকী, অভিযুক্তকে অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি বা ECIR দেওয়াও বাধ্যতামূলক নয় ৷ কারণ, FIR আর ECIR এক জিনিস নয় ৷

Last Updated : Jul 27, 2022, 1:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.