নয়াদিল্লি, 26 সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানি ও অন্যান্য কাজকর্মের লাইভ-স্ট্রিমিং-এর জন্য থাকবে আদালতের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ৷ আজ এ কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Live-streaming of SC Proceedings)৷ এই কাজের জন্য বর্তমানে ইউটিউব (YouTube) ব্যবহার করা হলেও তা যে সাময়িক, সেটা জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court to have own live-streaming platform)৷
সুপ্রিম কোর্টের প্রসিডিং-এর কপিরাইট ইউটিউবের মতো কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যায় না ৷ এই মর্মে আদালতে সওয়াল করছিলেন বিজেপি নেতা কেএন গোবিন্দাচার্যের আইনজীবী বিরাগ গুপ্তা ৷ তিনি বলেন, "ওয়েবকাস্টের পুরো কপিরাইট ইউটিউবের কাছে আছে ৷" তখনই প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, "এগুলি প্রাথমিক পর্যায় ৷ আমাদের অবশ্যই নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থাকবে ৷ আমরা এই বিষয়টি (কপিরাইট সমস্যা) গুরুত্ব দিয়ে দেখব ৷" প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা ৷ এ দিন গোবিন্দাচার্যের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের শুনানি 17 অক্টোবর তালিকাভুক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি ৷
2018 সালের একটি রায়দানের উল্লেখ করে এ দিন আইনজীবী বলেন, এটা বলা হয়েছিল যে, "এই আদালতে যে সব বিষয় রেকর্ড হচ্ছে, সম্প্রচার হচ্ছে, তা শুধুমাত্র এই আদালতের উপরই ন্যস্ত থাকা উচিত ৷" ইউটিউবের প্রসঙ্গ তুলে বলেন এই প্ল্যাটফর্মও সেই কপিরাইট পেয়ে যাচ্ছে ৷ সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আদালতের সব সদস্যদের নিয়ে হাওয়া বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, 27 সেপ্টেম্বর থেকে সব সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানির লাইভ-স্ট্রিমিং হবে ৷ 2018 সালে এই নিয়ে যে নজিরবিহীন রায়দান হয়েছিল, তার প্রায় চার বছর পর এটি বাস্তবায়িত হতে চলেছে ৷
আরও পড়ুন: মদের বোতলে সতর্কীকরণ ছবি ব্যবহারের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ইউটিউবের মাধ্যমে লাইভ-স্ট্রিম করতে পারে, পরে তা নিজেদের সার্ভারে টেনে নিতে পারে ৷ কোনও সমস্যা ছাড়াই মানুষ সুপ্রিম কোর্টের কাজকর্ম, শুনানি সরাসরি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন তাঁদের সেল ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ৷
26 অগস্ট, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথমবার সুপ্রিম কোর্ট একটি ওয়েবকাস্ট পোর্টালের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চের কার্যক্রম লাইভ-স্ট্রিম করেছে । বিচারপতি রামানা সেদিন পদত্যাগ করেন, সেই কারণে এটি একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছিল ।