নয়াদিল্লি, 13 নভেম্বর: দূষণ সামাল দিতে এবার লকডাউন হতে পারে রাজধানীতে । অন্তত সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তেমনই সুপারিশ পাঠানো হল । বাতাসকে বিষমুক্ত করতে হলে অন্তত দু’দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হোক বলে মত শীর্ষ আদালতের ৷
আইনি নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দীপাবলিতে দেদার বাজির তাণ্ডব চলেছে । গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পড়শি রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানো । তাতে ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা রাজধানী । বিষাক্ত বাতাসের জেরে শ্বাসকষ্ট, গলা খুসখুস-সহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে ।
আরও পড়ুন: Luizinho Faleiro : রাজ্যসভার শূন্য আসনে গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরোর নাম ঘোষণা তৃণমূলের
এমন পরিস্থিতিতে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শনিবার কেন্দ্রকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেয় আদালত । প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দিল্লির বাতাসের গুণমান ক্ষতিকর পর্যায়ে নেমে গিয়েছে । আগামী দু’-তিন দিনে তা আরও নীচে নামবে । তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে ।
সরকারের তরফে আদালতে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা 500 থেকে কী ভাবে 200-তে নামিয়ে আনা সম্ভব, আমাদের বোঝান ৷ দ্রুত ব্যবস্থা নিন ৷ দু’দিনের লকডাউন বা অন্য কোনও উপায় ভাবতে পারেন কি ? মানুষ বাঁচবেন কী ভাবে ? আপাতত কিছু একটা করুন ৷ দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের কথা তার পর ভাবা যাবে ৷’’
কোভিডের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাস দু‘য়েক আগে স্কুল খুলেছে রাজধানীতে । কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে খুদে পড়ুয়াদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়াই উচিত নয় বলে মনে করছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, 18 নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র । এর আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার যে ধোঁয়া পরিষ্কারের টাওয়ার বসানো এবং নির্গমণ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত ।
সেই পরিস্থিতিতেই শনিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন কেজরিওয়াল । উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া, পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রায়-সহ সরকারের প্রায় সব মন্ত্রীই থাকবেন তাতে । বৈঠক শেষে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে পারে ।