নয়াদিল্লি, 2 জুলাই: আপাতত এক সপ্তাহ সমাজকর্মী তিস্তা সেতলওয়াড়কে গ্রেফতার করতে পারবে না গুজরাত পুলিশ ৷ শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ৷ তিস্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন সন্ধ্যায় মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে ৷ সেই শুনানির শেষে এদিন এই নির্দেশ দেয় আদালত ৷ পাশাপাশি, গুজরাত হাইকোর্ট তিস্তার জামিন খারিজের যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই রায়েও এদিন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতে এই সুরক্ষাকবচ মেলার ফলে গোধরা হিংসা পরবর্তী মামলায় এখনই এই সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ ৷
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিস্তা সেতলওয়াড় ৷ কিন্তু এই বিষয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য হয় ৷ এরপর মামলাটি তিন বিচারপতির বেঞ্চে যায় ৷ তবে এরপরে প্রধানবিচারপতির নির্দেশের প্রেক্ষিতে এই মামলাটি অন্য বেঞ্চেও যেতে পারে বলেও খবর ৷
এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চান, গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিস্তা, হঠাৎ কী এমন প্রয়োজন পড়ল এখন তাঁকে তড়িঘড়ি পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার? আরও কিছুদিনের জন্য তিস্তা সেতলওয়াড়ের জামিন মঞ্জুর হলে কী মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে ? এই মন্তব্যও করেন বিচারপতিরা ৷ উল্লেখ্য, আদালতে গুজরাত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ৷
আরও পড়ুন: দেশের বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি, কটাক্ষ তৃণমূলের
বিচারপতি গাভাই এদিন মন্তব্য করেন, "হাইকোর্টের কাজে আমরা বিস্মিত ৷ হঠাৎ কী এমন জরুরী প্রয়োজন তৈরি হল? যখন একজন ব্যক্তি গত কয়েকমাস ধরে জামিনে রয়েছেন, তখন কী সেই ব্যক্তির অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আর এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো যায় না? আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি হাইকোর্টের জামিন না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয় ৷ তাঁকে আরও এক সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হচ্ছে ৷" এর আগে গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে তিস্তা সেতলওয়াড়ের জামিনে মুক্ত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ৷ এরপরেই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট ৷