দিল্লি, 13 নভেম্বর : তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে সেরাজ্য়ে আতশবাজি বিক্রি এবং পোড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ তবে, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজিই বানানো ও বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ পাশাপাশি, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতো দীপাবলি এবং গুরুপূরবে রাত 8টা থেকে 10 টা দু’ঘণ্টার বেশি বাজি পোড়ানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ৷ পাশাপাশি বায়ুতে দূষণের পরিমাণ কম আছে এমন জায়গাতেই এই বাজি পোড়ানো যাবে বলে নির্দেশে জানিয়েছে আদালত ৷
তেলাঙ্গানার বাজি প্রস্তুতকারী সংগঠনের তরফে আবেদনে বলা হয়, তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট একতরফাভাবে আতশবাজি বিক্রি ও পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৷ এমনকী ব্য়বসায়ীদের সেই মামলায় অংশ করা হয়নি ৷ বা তাদের মতামত শোনা হয়নি ৷ শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় বাজি সংগঠনের তরফ জানানো হয়, এই ব্য়বসার উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবনজীবিকা নির্ধারণ হয় ৷ শুধু তাই নয়, আতশবাজির ব্য়বসায় অনেক বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করে ব্য়বসায়ীরা ৷ ফলে আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তাদের বিশাল আর্থিক ক্ষতি হবে বলে আদালতে জানিয়েছে ব্য়বসায়ীরা ৷ এরপরেই তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে, শর্ত সাপেক্ষে গ্রিন আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
অন্য়দিকে কর্নাটক সরকারও তাদের আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তন এনেছে ৷ জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে পরিবেশ বান্ধব আতশবাজি বিক্রি এবং কেনার অনুমতি দিয়েছে ইয়েদুরাপ্পা সরকার ৷ তবে, তা কেবলমাত্র সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকান থেকেই বিক্রি বা কেনা যাবে ৷ কর্নাটক সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রিন আতশবাজিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্য়বহার করা হয় না ৷ এমনকী এই ধরনের বাজি জাতীয় পরিবেশ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ল্য়াবে পরীক্ষা করেই তৈরি করা হয় ৷ মোটের উপর কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সবরকমভাবে সজাগ থাকতে চাইছে সব রাজ্য় সরকারই ৷