নয়াদিল্লি/গাজিয়াবাদ, 7 ডিসেম্বর: যোগীরাজ্যের এক 'ভক্ত' ছাত্র মোহিত পাণ্ডে । যিনি অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের শ্রী দুধেশ্বরনাথ মঠ মন্দিরের শ্রী দুধেশ্বর বেদ বিদ্যাপীঠ সংস্থার ছাত্র মোহিত। নিজেদের বিদ্যাপীঠের ছাত্র এই সম্মান পাওয়ায় আচার্য-সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্যরা খুশি ৷
রাম মন্দিরের জন্য নির্বাচিত: এই মন্দির চত্বরে শ্রী দুধেশ্বর বেদ বিদ্যাপীঠও প্রতিষ্ঠিত ৷ যেখানে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন। বর্তমানে এখানে প্রায় 70 জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মন্দিরে পুরোহিত ও আচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার এই তালিকায় যোগ হল মোহিত পাণ্ডের নাম। আসলে, এখানে পড়াশুনা করা মোহিতকে অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বহু বছর ধরে এখানে বেদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে: তথ্য অনুযায়ী, রাম মন্দিরে পূজারি হিসেবে সেবা করার জন্য সারা দেশ থেকে প্রায় 3 হাজার ছাত্রের পুরোহিতের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। এরপর রাম মন্দিরের পুরোহিত হিসেবে 50 জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন মোহিত পাণ্ডেও। পুরোহিত হিসেবে কাজ শুরু করার আগে তাকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷ এরপর তাঁকে রাম মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। পীঠাধীশ্বর শ্রী মহন্ত নারায়ণ গিরি জানান, ভগবান দুধেশ্বরের কৃপায় মোহিত পাণ্ডেকে ভগবান রামের সেবা করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী এখানে বেদ ও আচার-অনুষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণ করেছে। শ্রী দুধেশ্বর বেদ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের বেদ শিক্ষা প্রদানের প্রক্রিয়া গত 23 বছর ধরে চলছে।
সাত বছর ধরে শিক্ষা নিয়েছেন মোহিত: এই ইনস্টিটিউটে আচার্য হিসেবে কর্মরত নিত্যানন্দ জানান, মোহিত প্রথমে সামবেদ অধ্যয়ন করেন এরপর তিনি ভেঙ্কটেশ্বর বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি বলেন, "মোহিত অত্যন্ত যোগ্য এবং আমাদের প্রচেষ্টা থাকে যে বেদ বিদ্যাপীঠে ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন নিজের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করে।" তিনি আরও জানান, মোহিত পাণ্ডে প্রায় 7 বছর ধরে এখানে ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানে শিক্ষা নিয়েছেন।
বেদ বিদ্যাপীঠের নিয়মকানুন কঠোর: নিত্যানন্দ বলেন, "বেদ বিদ্যাপীঠের নিয়মকানুন খুবই কড়া। একারণেই আজ এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করে তাঁদের জীবনে সাফল্য অর্জন করছেন। বেদ বিদ্যাপীঠে ছাত্ররা ভোট 4টা ঘুম থেকে ওঠে এবং রাত 10টার পর তাঁদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: