নয়াদিল্লি, 2 অগস্ট : ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, পুলিশ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের আওতাধীন ৷ আর সেই কারণেই 2015 সালের সেই নির্দেশিকা, যার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 66এ ধারার বিলুপ্তি ঘটানো হয়েছিল, তা কার্যকর করারও দায়িত্ব রাজ্য ও তার অধীনস্ত সংস্থাগুলির উপর বর্তায় ৷ কেন্দ্রকে তার পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন : 5 অগস্ট পেগাসাস কাণ্ডের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
একটি অলাভজনক সংস্থার করা মামলার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে তার এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ ওই অলাভজনক সংস্থার অভিযোগ ছিল, রাজ্যগুলি যাতে বিলুপ্ত হওয়া আইন আর প্রয়োগ না করে, তা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার ৷ যা কার্যত অস্বীকার করেছে কেন্দ্র ৷ পাশাপাশি, এই বিষয়ে আদালতের কাছে হলফনামা জমা দিয়ে নিজেদের বক্তব্যও পেশ করেছে তারা ৷ এখানে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যে ধারার কথা বলা হয়েছে, তা কার্যকর করা হলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় আপত্তিকর বার্তা পোস্ট করার জন্য কোনও ব্যক্তির সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ৷ এমনকী, তাকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে ৷ কিন্তু এখন আর সেই ধারা নেই ৷
আরও পড়ুন : Pegasus spyware : মোদি সরকারের ভূমিকা কী, পেগাসাস বিতর্কে তদন্তের দাবিতে শীর্ষ আদালতে দুই সাংবাদিক
বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের (Justice R F Nariman) নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছে ৷ এজলাসে কেন্দ্রের তরফে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, সাইবার অপরাধের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রাজ্য়ের আইনরক্ষাকারী সংস্থাগুলিকেই ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের কোথাও যাতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 66এ ধারায় কোনও অভিযোগ দায়ের না করা হয়, সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব ও প্রশাসকদের ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷