ভুবনেশ্বর, 6 জুন: এখনও কাটেনি ওড়িশার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ ৷ আজও বেড়েছে মৃতের সংখ্যা ৷ এরই মধ্যে ওড়িশাতেই ফের আতঙ্ক ছড়াল একটি ট্রেনকে ঘিরে ৷ মঙ্গলবার দুপুরে সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের এসি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে ট্রেনে হুলুস্থুল বাঁধে ৷ সঙ্গে সঙ্গে রেলের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয় ৷ এরপর ওড়িশার ব্রহ্মপুর রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে ৷
ধোঁয়া তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও যাত্রীদের আতঙ্ক তাতে কাটেনি ৷ তাঁরা আবার বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন বিকল হওয়ার আশঙ্কায় সেই কোচে উঠতে আপত্তি জানান । কোচটি বদলে দেওয়ার দাবি জানান যাত্রীরা ৷
মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকজন যাত্রী প্রথমে সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের বি-5 কোচে ধোঁয়া লক্ষ্য করেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সতর্ক করেন রেলের আধিকারিকদের ৷ এর পরে ওড়িশার ব্রহ্মপুর রেলওয়ে স্টেশনে ওই ট্রেনটিকে থামানো হলে বেশিরভাগ যাত্রীই সেই কোচ থেকে নেমে পড়েন ৷ রেলের আধিকারিকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর ধোঁয়াকে বাগে আনতে সক্ষম হন ৷ তবে রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, সেই কামরায় উঠতে অস্বীকার করেন যাত্রীরা ৷
ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে জোনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "এটি জানা গিয়েছে যে, ব্রহ্মপুর স্টেশনের কাছে সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের কোচ নং বি-5-এ একটি ছোট বৈদ্যুতিক সমস্যা হয়েছে । কর্তব্যরত কর্মীরা অবিলম্বে সমস্যাটির দিকে নজর দেন এবং সেটির সংশোধন করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: আরও তিনজনের মৃত্যু, বালাসোর বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 278
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার একটি মালগাড়ি-সহ তিনটি ট্রেন ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ওড়িশায় ৷ সেই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ৷ সবমিলিয়ে সেই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 278 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আজই জখম আরও তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়েছে ৷ ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন 1100-রও বেশি মানুষ ৷