নয়াদিল্লি, 22 ডিসেম্বর: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় (Shraddha Murder Case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawalla) তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন (Aftab Withdraws Bail Plea)৷ আজ দিল্লির সাকেত আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি ছিল । বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে হাজির করা হয় । তখনই জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন আফতাব । তাঁর আইনজীবী জানান, সংশোধনাগারে গিয়ে তিনি আফতাবের সঙ্গে 50 মিনিট কথা বলেন । এরপর আবার আদালতে আসেন তিনি । কিন্তু এরই মধ্যে আফতাব বিচারককে বলেন, তিনি তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করতে চান ।
লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং দেহ টুকরো টুকরো করে লোপাট করার ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা ৷ 17 ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির সময় দিল্লির একটি আদালতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন, কিন্তু তিনি জানেন না যে তাঁর পক্ষে একটি জামিনের আবেদন করা হবে । আজ সকাল 10টা 10 মিনিটে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অতিরিক্ত দায়রা জজ বৃন্দা কুমারীর আদালতে হাজির করা হয় আফতাবকে । এরপর বেলা 11টায় তাঁকে আবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির হতে বলেন বিচারক ৷ তখনই বিচারককে আফতাব বলেন, তিনি জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করতে চান ৷
এর আগে, অভিযুক্ত আফতাবকে 1 ডিসেম্বর দিল্লির তিহাড় জেল থেকে নারকো টেস্টের জন্য রোহিণীর আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখানে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে দুই ঘণ্টা নারকো পরীক্ষা করা হয় তাঁর । এর আগে রোহিণীর এফএসএল অফিসে পাঁচবার আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছে । এই সময় আফতাবের উপর উত্তেজিত জনতার হামলার আশঙ্কায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার আগে আফতাব আমেরিকান ক্রাইম শো ডেক্সটার-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক ফিল্ম ও শো দেখেছিলেন । প্রমাণ লোপাটের জন্য আফতাব গুগলে রক্ত পরিষ্কার করার উপায়ও খুঁজে পেয়েছিলেন । এর পরই তিনি শ্রদ্ধাকে হত্যা করেন এবং করাত দিয়ে তাঁর দেহ কেটে 35টি টুকরো করে ফেলেন । এরপর ফ্রিজ কিনে এনে সেখানে রাখা হয় দেহাংশগুলি । দুর্গন্ধ আটকাতে ধূপকাঠি ব্যবহৃত হয় । 18 দিন ধরে প্রতি রাতে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি জঙ্গলে ফেলে আসতেন আফতাব ৷