গাজিয়াবাদ, 24 ডিসেম্বর: আবারও নির্মম পরিণতি প্রেমের । আবারও সঙ্গীকে 'খুন'। আবারও দেহ লোপাটের নিখুঁত পরিকল্পনা। ঘটনাস্থল গাজিয়াবাদ । দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walker murder case) খুন করে 35 টুকরো করেছিল প্রেমিক আফতাব । তারপর 18 দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সেই টুকরোগুলি ফেলেছিল সে। প্রায় 6 মাস বাদে সবটা জানাজানি হয় । গ্রেফতার হয় আফতাব । গাজিয়াবাদের ঘটনায় 'খুনি' প্রেমিকের শ্রীঘরে যেতে সময় লেগে গেল 7 মাস (Ghaziabad man allegedly killed his live-in partner) ।
পুলিশ জানিয়েছে, রমন নামে এক যুবকের সঙ্গে গাজিয়াবাদে থাকতেন ওই তরুণী । বয়স প্রায় 35। দীর্ঘদিন 'লিভ ইন' সম্পর্কে থাকার পর রমনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব করেন তরুণী । কিন্তু রমন রাজি হয়নি । নানা কারণ দেখিয়ে বিয়ের বিষয়টি খারিজ করে দিচ্ছিল। কিন্তু মে মাস নাগাদ আর দেরি করতে চাননি তরুণী। দ্রুত বিয়ের দাবি জানান। এরপরই তাঁকে খুন হতে হয় বলে মনে করে গাজিয়াবাদ পুলিশ । তদন্তকারীদের অনুমান, দেহ লোপাটের ব্যাপারে আফতাবের মতোই কৌশল নিয়েছিল রমন । অন্য কোথাও খুন করে তরুণীর দেহ নিয়ে যায় হিমাচল প্রদেশের কুলুতে । সেখানেই দেহ ফেলে রেখে চলে আসে । 26 মে অজ্ঞাত পরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক গোটা কাজটি করে গাজিয়াবাদে ফিরে আসে রমন । তরুণীর সঙ্গে যে বাড়িতে থাকত সেখানেই থাকতে শুরু করে । ভবখানা এমন যেন কিছুই হয়নি । দেখতে দেখতে কয়েক মাস কেটে যায় । প্রায় 7 মাস পর এ নিয়ে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয় । এই দীর্ঘ সময়ে মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তরুণীর বাবা । মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয় । একটু একটু করে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় তদন্তকারীদের কাছে । রমনের সন্ধান করে তাকে আটক করা হয় । টানা জেরার পর অবশেষে রমন অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় বলে খবর পুলিশ সূত্রে ।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, শবরীমালার পথে মৃত 8 পুণ্যার্থী !