ETV Bharat / bharat

26 বছর বয়সেই সাফল্যের চূড়ায় হিমাচলের প্রত্যন্ত গ্রামে শিখা - হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস

হিমাচলের চাম্বার মঙ্গনুহ গ্রামের একটি সরকারি স্কুল থেকে শুরু ৷ তারপর কলেজ ৷ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ এরই মধ্যে চলছিল হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের প্রস্তুতি ৷

হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
ছবি
author img

By

Published : Mar 25, 2021, 7:01 PM IST

চাম্বা, 25 মার্চ : 26 বছর আগে মেয়েকে কোলে নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন ৷ আজ 26 বছর পরে সেই মেয়েই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আধিকারিক হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৷ বাবার চোখ ছলছল ৷ মেয়েরও চোখে জল ৷ জড়িয়ে ধরলেন বাবাকে ৷ বাবাও বরণ করে নিলেন মেয়েকে ৷ আনন্দ আজ বাঁধ ভেঙেছে ৷

আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মাও ৷ বুকে জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে ৷ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বোনদের খুশিও তাঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট ৷

পরিবারের সবথেকে ছোট মেয়ে ৷ বোনেদের মধ্য সাত নম্বর ৷ পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভাল না ৷ কিন্তু স্বপ্নের উড়ানে চড়ার আশা কখনও ছাড়েননি ৷ মাত্র 26 বছর বয়সেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেলেন শিখা ৷ হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান দখল করেছেন শিখা ৷

চাম্বার মঙ্গনুহ গ্রামের শিখা এখন গোটা গ্রামের গর্ব ৷

হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
বাড়ি ফিরেই জড়িয়ে ধরেন বাবাকে, আনন্দ আজ বাঁধ ভেঙেছে

শিখা বলছেন, "আমি আজ খুব খুশি ৷ হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে চতুর্থ স্থান পেয়েছি ৷ আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে মেয়েরাও কম যায় না ৷ আমার বাবা আমাদের সবাইকে সমান সুযোগ দিয়েছেন ৷ তেমন আপনারাও আপনাদের মেয়েদের সমান সমান সুযোগ দিন ৷ তাঁদের পড়ান ৷"

আরও পড়ুন : একাধিক সমস্যা, অনলাইনে পড়াশোনা সম্ভব নয় পিছিয়ে পড়া জেলা নুহ-তে

শিখার শিক্ষাজীবনের শুরুটা হয়েছিল গ্রামেরই সরকারি স্কুল থেকে ৷ স্কুল অনেকটা দূরে ছিল বাড়ি থেকে ৷ কিন্ত তা কোনওদিন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি ৷ এরপর কলেজ থেকে কলাবিভাগে স্নাতক ৷ তারপর সিমলায় হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং সেখানেই এইচএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ৷

হিমাচলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা শিখার কাহিনী

শিখার এই সাফল্যে খুশি তাঁর মাও ৷ বলছেন, "আমার মেয়ে যে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে তার জন্য আজ আমি খুব গর্বিত ৷ আমরা খুবই গরিব ৷ আমরা যে পরিশ্রম করেছি, তা আজ সফল হল ৷"

ছলছল চোখে বাবাকে শিখার জড়িয়ে ধরার ছবি এটাই বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে পরিশ্রম যখন ফল দিতে শুরু করে, তখন তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না ৷ সেটা শুধু অনুভুতি দিয়েই বোঝা যায় ৷

শিখার বাবা সেনায় ছিলেন ৷ শিখার সাফল্যে তাঁর বাবার আজ গর্বের শেষ নেই ৷ ভাই বলছে, তাঁর দিদি পরিশ্রম করেই এই সাফল্য পেয়েছে ৷

শিখার বাবা বলছেন, "আমাদের খুব ছোট গ্রাম ৷ এখান থেকে শিশুরা পায়ে হেঁটেই স্কুলে যায় ৷ বাড়ি এসেও কাজ করতে হয় ৷ আমার সাত মেয়ে, এক ছেলে ৷ সবাই পড়াশুনো করেছে ৷ এখন তাঁদের মধ্যে পাঁচজন চাকরি করে ৷"

হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে শিখা

সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো শিখা আজ এলাকার মানুষদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ৷ যাঁরা তাঁদের মেয়েদের পড়াশোনা থেকে দূরে রাখার কথা ভাবেন, তাঁদের শিখার পরিবারের থেকে শেখা উচিত ৷ মেয়েদের যদি সমান সমান সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তাঁরাও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন ৷ আর যাঁরা পুত্র ও কন্যার মধ্যে ফারাক তৈরি করেন, তাঁদের জন্য এই দৃশ্য একটি উদাহরণ ৷

চাম্বা, 25 মার্চ : 26 বছর আগে মেয়েকে কোলে নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন ৷ আজ 26 বছর পরে সেই মেয়েই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আধিকারিক হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৷ বাবার চোখ ছলছল ৷ মেয়েরও চোখে জল ৷ জড়িয়ে ধরলেন বাবাকে ৷ বাবাও বরণ করে নিলেন মেয়েকে ৷ আনন্দ আজ বাঁধ ভেঙেছে ৷

আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মাও ৷ বুকে জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে ৷ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বোনদের খুশিও তাঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট ৷

পরিবারের সবথেকে ছোট মেয়ে ৷ বোনেদের মধ্য সাত নম্বর ৷ পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভাল না ৷ কিন্তু স্বপ্নের উড়ানে চড়ার আশা কখনও ছাড়েননি ৷ মাত্র 26 বছর বয়সেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেলেন শিখা ৷ হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান দখল করেছেন শিখা ৷

চাম্বার মঙ্গনুহ গ্রামের শিখা এখন গোটা গ্রামের গর্ব ৷

হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
বাড়ি ফিরেই জড়িয়ে ধরেন বাবাকে, আনন্দ আজ বাঁধ ভেঙেছে

শিখা বলছেন, "আমি আজ খুব খুশি ৷ হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে চতুর্থ স্থান পেয়েছি ৷ আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে মেয়েরাও কম যায় না ৷ আমার বাবা আমাদের সবাইকে সমান সুযোগ দিয়েছেন ৷ তেমন আপনারাও আপনাদের মেয়েদের সমান সমান সুযোগ দিন ৷ তাঁদের পড়ান ৷"

আরও পড়ুন : একাধিক সমস্যা, অনলাইনে পড়াশোনা সম্ভব নয় পিছিয়ে পড়া জেলা নুহ-তে

শিখার শিক্ষাজীবনের শুরুটা হয়েছিল গ্রামেরই সরকারি স্কুল থেকে ৷ স্কুল অনেকটা দূরে ছিল বাড়ি থেকে ৷ কিন্ত তা কোনওদিন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি ৷ এরপর কলেজ থেকে কলাবিভাগে স্নাতক ৷ তারপর সিমলায় হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং সেখানেই এইচএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ৷

হিমাচলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা শিখার কাহিনী

শিখার এই সাফল্যে খুশি তাঁর মাও ৷ বলছেন, "আমার মেয়ে যে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে তার জন্য আজ আমি খুব গর্বিত ৷ আমরা খুবই গরিব ৷ আমরা যে পরিশ্রম করেছি, তা আজ সফল হল ৷"

ছলছল চোখে বাবাকে শিখার জড়িয়ে ধরার ছবি এটাই বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে পরিশ্রম যখন ফল দিতে শুরু করে, তখন তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না ৷ সেটা শুধু অনুভুতি দিয়েই বোঝা যায় ৷

শিখার বাবা সেনায় ছিলেন ৷ শিখার সাফল্যে তাঁর বাবার আজ গর্বের শেষ নেই ৷ ভাই বলছে, তাঁর দিদি পরিশ্রম করেই এই সাফল্য পেয়েছে ৷

শিখার বাবা বলছেন, "আমাদের খুব ছোট গ্রাম ৷ এখান থেকে শিশুরা পায়ে হেঁটেই স্কুলে যায় ৷ বাড়ি এসেও কাজ করতে হয় ৷ আমার সাত মেয়ে, এক ছেলে ৷ সবাই পড়াশুনো করেছে ৷ এখন তাঁদের মধ্যে পাঁচজন চাকরি করে ৷"

হিমাচল প্রদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে শিখা

সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো শিখা আজ এলাকার মানুষদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ৷ যাঁরা তাঁদের মেয়েদের পড়াশোনা থেকে দূরে রাখার কথা ভাবেন, তাঁদের শিখার পরিবারের থেকে শেখা উচিত ৷ মেয়েদের যদি সমান সমান সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তাঁরাও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন ৷ আর যাঁরা পুত্র ও কন্যার মধ্যে ফারাক তৈরি করেন, তাঁদের জন্য এই দৃশ্য একটি উদাহরণ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.