অমরোহা (উত্তরপ্রদেশ), 10 জানুয়ারি: শীতের হাত থেকে বাঁচতে ঘরে কয়লার উনুন জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বাড়ির সদস্যরা ৷ তার জেরে কয়লা থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হল পাঁচজনের ৷ দু'জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি ৷ বাকিদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের অমরোহায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
সোমবার রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল ৷ সেই কারণে অমরোহার সাইদঙ্গালী থানার অল্লিপুর ভূড় গ্রামের বাসিন্দা রহিসুদ্দিন রাতের খাবার খেয়ে কয়লার আগুন জ্বালিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন । কিন্তু মঙ্গলবার দিনভর পরিবারের কোনও সদস্যের দেখা না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা । তারা জানান, সারাদিন কেউই বাইরে আসেনি ৷ ঘরের দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷
তা দেখে প্রতিবেশীরা বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি ৷ এরপরই বিষয়টি সেই প্রতিবেশীরা এলাকার অন্য লোকজনদের জানায় । তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা রহিসুদ্দিনের বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন পুরো পরিবার অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে । স্থানীয়রাই সকলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে তাদের জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ । রহিসুদ্দিনের প্রতিবেশী জানান, নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। চিকিৎসকদর প্রাথমিক অনুমান, শ্বাস নিতে না পারার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। ঘরে একটি কয়লার উনুন রাখা ছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা । সমস্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন :