জয়পুর, 13 অগস্ট: বাস এবং চারচাকা গাড়ির সংঘর্ষে প্রাণ গেল একই পরিবারের সাতজনের ৷ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই সাত জন ৷ পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুই নাবালক ৷ তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৷ শনিবার মধ্যরাতে ওই চারচাকা গাড়িটি সিকারের দিক থেকে আসছিল ৷ সেই সময় দিদওয়ানা জেলার বাঁথাদি গ্রামের তিত্রি চৌরাহায় একটি বাসের সঙ্গে ওই গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আহত দুই নাবালকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দিদওয়ানার সরকারি বাঙার হাসপাতাল থেকে জয়পুরে রেফার করা হয় ৷ পুলিশ আধিকারিক ধর্মচাঁদ পুনিয়া, (এসও) জানিয়েছেন, বাঁথাদি গ্রামের খুনখুনা থানার কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন, আহত দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজস্থানের বাঙার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখান থেকে তাদের জয়পুরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই চারচাকা গাড়ি করে সিকার থেকে নাগৌর যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। মাঝপথে বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে যাত্রী বোঝাই গাড়িটির। রাস্তায় একটি বাঁক ছিল যার কারণে চালকরা একে অন্যের গাড়িটি দেখতে পায়নি ৷ তার জেরেই সংঘর্ষ ৷ তদন্তের পরে বাকি কথা জানানো হবে।"
আরও পড়ুন: হিমাচলে গভীর খাদে পড়ল গাড়ি, মৃত 6 পুলিশকর্মী-সহ 7
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দিদওয়ানার বিধায়ক চেতন দুদি, দিদওয়ানার জেলা কালেক্টর সীতারাম জাট, অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর শেওরাম ভার্মা, ডেপুটি পুলিশ সুপার ধর্মচাঁদ পুনিয়া, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সিং যোধা হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসকদের চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এর আগে শনিবার, বিএসএফ কর্মীদের একটি ট্রাক রাজস্থানের সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল ৷ তাতে 16 জন জওয়ান ছিলেন। লাঙ্গটালা গ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় লরিটি। এর ফলে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। জখম হন আরও 13 জন। সরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে গাড়ি, সেনাবাহিনীতে কর্মরত নামখানার যুবকের মৃত্যু