গঞ্জাম (ওড়িশা), 26 জুন: মধ্যরাতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ৷ রবিবার একটি সরকারি বাস ও একটি বেসরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কেঁপে উঠল ওড়িশার গঞ্জাম জেলার দিগপণ্ডি এলাকা ৷ সংঘর্ষের একটি বাস ছিল বিয়েবাড়ির ও অন্যটি সরকারি ৷ ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে 12 জনের ৷ পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় প্রায় 8 জন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক নিহতদের পরিবার পিছু 3 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি ওড়িশা সরকার প্রত্যেক আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য 30 হাজার টাকা ঘোষণা করেছে।
নিহতরা হলেন- রমেশ প্রধান (62), সীতারাম প্রধান (60), সঞ্জয় মেদিন রে (50), ত্রিপতি প্রধান, আয়ুষ, সঙ্গীতা ডাকুয়া (25), সুগয়ানি (27), সিবানি প্রধান (27), লিটু নায়ক (40), দেবাংশু প্রধান (2 বছর), অলোক প্রধান (14), শুভেন্দু প্রধান (32) সকলেই গঞ্জাম জেলার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'টি বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন ৷ সংঘর্ষ এতটাই জোরালো ছিল যে দু'টি বাস একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে ৷ স্থানীয়রা তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ পুলিশ তড়িঘড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌঁছয় ৷ স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সরকারি বাসটি রায়গড়া থেকে ভুবনেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল ৷ অন্যদিকে, বেসরকারি বাসটি খান্দাদেউলি গ্রাম থেকে ব্রহ্মপুরের দিকে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনায় ওড়িশা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাস এবং প্রাইভেট বাসের সমস্ত যাত্রীকে ব্রহ্মপুর এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত সুভেন্দু প্রধান নামের এক যাত্রীকে কটক এসসিবি মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ দুর্ঘটনায় এসপি সারাভানা বিবেক বলেন, "রাত 1টার দিকে দু'টি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ৷ ব্রহ্মপুর দুর্ঘটনায় সরকারি ও বেসরকারি বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী নিহত ও আহত হয়েছেন। কী করে এই সংঘর্ষ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: করমণ্ডলের স্মৃতি উস্কে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা বাঁকুড়ায়