গোপালগঞ্জ, 23 অক্টোবর: বিহারের রাজা দল পুজো প্যান্ডেলে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই নারী এবং এক শিশু রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় 10 জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতদের দ্রুত সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। রাজা দল পুজো প্যান্ডেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। ভিড়ের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানাচ্ছে পুলিশ । যদিও প্রশাসনের তরফে এই ঘটনা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি ৷
জানা গিয়েছে, রাজা দলের পুজো প্যান্ডেলের গেটের কিছুদূরে ভিড়ের মধ্যে পড়ে একটি শিশু চাপা পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে যাওয়ার সময় লোকজন একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে । হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এরই মধ্য়ে দুই বৃদ্ধাও ওই ভিড়ের মধ্যে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই এক শিশু-সহ দুই বৃদ্ধার মৃত্যু হয় । অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে খবর।
নিহতরা হলেন আশ কুমার (5), উর্মিলা দেবী (55) এবং শান্তি দেবী । আহতদের মধ্যে শুভম কুমারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাকে গোরক্ষপুরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে । এছাড়া রানি কুমারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার স্বর্ণ প্রভাত বলেন, “রাজা দলের প্যান্ডেলের গেট থেকে অল্প দূরে ভিড়ের মধ্যে একটি শিশু পড়ে গিয়ে চাপা পড়ে যায় । তাকে বাঁচাতে যাওয়ার সময় লোকজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায় । পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই বৃদ্ধা ভিড়ের মধ্যে চাপা পড়ে মারা যান। অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।''
নবমীর কারণে রাজা দল পুজো প্যান্ডেলে ভক্তদের চাপ বেড়ে গিয়েছিল। সুগার মিল রোডে বিপুল ভিড়ও হয়েছিল। ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পদদলিত হওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে এক শিশু ও দুই নারী আহত হয়েছেন। পদদলিত হয়ে আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। সবাইকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুজো কমিটি ও প্রশাসনের লোকজন সদর হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
আরও পড়ুন: পণের দাবিতে অত্যাচার ! স্ত্রীকে তিন তলা থেকে 'ধাক্কা' স্বামীর
গুজরাতের শ্রুতি মন্দিরের আদলে এখানে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল বিপুল সংখ্যক মানুষ। এর মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে দর্শনা নিষিদ্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।