কলকাতা, 16 নভেম্বর: টাটা স্টিল চেজ ইন্ডিয়ার ষষ্ঠ সংস্করণে ফের সেরার শিরোপা ম্যাগনাস কার্লসেনের ৷ ব়্যাপিড দাবায় সর্বোচ্চ নয় পয়েন্টের মধ্যে সাড়ে সাত পয়েন্ট পেয়ে খেতাব জিতলেন ম্যাগনাস কার্লসেন। 2019 সালের পর কলকাতায় খেলতে এসেই ফের খেতাব ৷ শুক্রবার ব়্যাপিড দাবার শেষ দিনে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দিলেন না নরওয়ের কিংবদন্তি। 'সিটি অফ জয়'-এ প্রতিযোগিতার ব়্যাপিড ইভেন্টে রানার্স ভারতের আর প্রজ্ঞানন্দ। তাঁর অর্জিত পয়েন্ট সাড়ে পাঁচ। একই পয়েন্ট সত্ত্বেও ওয়েসলে সো'কে টাইব্রেকারে পিছনে ফেলেন ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার।
তবে পাঁচ বছর পর ভারত এসে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে আকর্ষণের মধ্যমণি ম্যাগনাস কার্লসেন। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেতাব জিতে জানান, প্রথম এবং শেষ ম্যাচ খেলার সময় চাপে ছিলেন। বাকি ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষকে সামলাতে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশ্ব দাবার সব খেতাব জয়ের পরেও মোটিভেশনের উৎস কী? আর্লিং হালান্ডের দেশের কিংবদন্তি জানান, নতুন প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ সামলানোই তাঁকে বারংবার টেনে নিয়ে আসে। ব়্যাপিড এবং ব্লিৎজে খেললেও ক্লাসিক্যাল দাবায় অংশ নিতে অনিচ্ছুক তিনি। প্রশ্নটি উঠতেই তাঁর সোজাসাপ্টা উত্তর, "ক্লাসিক্যাল দাবার খেলার ধরনটা আমার পছন্দ নয়।" 2019 সালের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে টাটা স্টিল চেজে ব়্যাপিডের পর ব্লিৎজেও খেতাবে চোখ তাঁর ৷ যা শুরু হল শনিবার থেকেই ৷
কিংবদন্তি জয়ের পর এও জানান যে, ভারত বিশেষ করে কলকাতায় খেলতে আসার অন্যতম কারন খাদ্যসম্ভার। ভারতীয় খাবারের রকমফের তাঁকে আকর্ষিত করে। পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে কার্লসেনের মতে ফেভারিট ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ডি গুকেশ। কারণ, গত কয়েকমাস ধরে গুকেশ দারুন ফর্মে রয়েছেন। তবে চিনের ডিং লিরেনকেও দৌড়ে রাখছেন কার্লসেন। চলতি মাসের শেষে সিঙ্গাপুরে বসছে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানেই মুখোমুখি হবেন ডি গুকেশ এবং ডিং লিরেন।
বিশ্ব দাবা এর আগে সুপার কম্পিউটার বনাম সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারদের লড়াই দেখেছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে দাবাড়ুরা তৈরি হচ্ছেন। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন কার্লসেন। তিনি জানান, কৃত্রিম মেধার মাধ্যমে দাবায় অনেক নতুন চাল, আক্রমণ ও রক্ষণের বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে, যা শিক্ষণীয়। পাঁচ বছর আগেও এই বৈচিত্র্য পাওয়া যায়নি।