তেজপুর, 28 অগস্ট: মণিপুরে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে 3 হাজার 662 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ফের একবার মণিপুরকে অশান্ত করে তোলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে ৷ এই খবর পাওয়া মাত্র মণিপুর পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালায় মণিপুরের বিভিন্ন রাজ্যে ৷ 24 ঘণ্টার সেই বিশেষ অভিযান সাড়ে তিন হাজারের বেশি লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
মণিপুর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, একটি যৌথ অভিযানে 30টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং 16টি উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে ৷ প্রশাসনের দাবি, মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ৷ আইনশৃঙ্খলা কায়েম করতে সক্ষম হচ্ছে প্রশাসন ৷ কিন্তু, এরই মধ্যে পাহাড়ি গ্রাম ও প্রত্যন্ত বন্য এলাকায় এখনও অশান্তি জারি রয়েছে বলে খবর আসে ৷ বিভিন্ন গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে ৷
মূলত, মায়ানমার সীমান্তের এই গ্রামগুলিতেই পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ৷ রবিবার রাতে একটি গ্রামে 5টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা ৷ এই খবর পাওয়ার পরেই, মণিপুর পুলিশ এবং আধাসেনা যৌথ অভিযানে নামে ৷ পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে বিধানসভার অধিবেশন ডেকেছেন রাজ্যপাল অনুসইয়া উইকে ৷ সেখানে শাসক এবং বিরোধীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: ফের উত্তেজনা মণিপুরে, পাঁচটি বাড়িতে আগুন দুষ্কৃতীদের
অন্যদিকে, বাহিনীর যৌথ অভিযানে পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল, কাকচিং, থৌবাল, কাংপকপি এবং ফ্রিঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ মণিপুরের বিভিন্ন জেলার 127টি এলাকায় অভিযান চালায় বাহিনী এবং পুলিশ ৷ জাতীয় ও রাজ্য সড়কে প্রতিটি গাড়িতে চলে তল্লাশি ৷ এই অভিযানে বাহিনীর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং শতাধিক বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে চূড়াচাঁদপুর জেলা থেকে ৷ কাংপকপিতে নাকা-তল্লাশিতে দু’জনের থেকে 1টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বুলেট বাজেয়াপ্ত করেছে বাহিনী ৷ রবিবার পশ্চিম ইম্ফলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে 3টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও 105 রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, সেগুলি এক হাউস গার্ডের থেকে ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা ৷