নয়াদিল্লি, 9 ডিসেম্বর: মুসলিম মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্দিষ্ট করা হোক । এই মর্মে শুক্রবার কেন্দ্রকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট । জাতীয় মহিলা কমিশনের দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই নোটিশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় । প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় আগামী 4 সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে (Uniform age of marriage for Muslim girls) ।
জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট গীতা লুথরা, অ্যাডভোকেট নীতিন সালুজা এবং অ্যাডভোকেট শিবানী লুথরা লোহিয়া । তাঁরা শুনানি চলাকালীন সওয়ালে জানান, দেশে মহিলাদের ক্ষেত্রে 18 এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে 21 বছরকে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স হিসেবে ধরা হয় । যদিও, মুসলিম সমাজে মেয়েরা কৈশোরে পা দিলেই তাদের বিবাহযোগ্যা বলে ধরে নেওয়া হয় । সাধারণক্ষেত্রে 15 বছরকে এক্ষেত্রে সীমা বলে ধরে নেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: 'স্বাধীন দেশে মুসলিম পুরুষদের 3-4টি বিয়ের অধিকার থাকতে পারে না', মত হিমন্তের
জাতীয় মহিলা কমিশনের মতে, এই বয়সে কাউকে বিয়ের পিঁড়িতে ঠেলে দেওয়া শুধুমাত্র স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক নয় । ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা উলঙ্ঘনও বটে । মুসলিম ব্যক্তিগত আইন, যা বয়ঃসন্ধিকালে বিয়ে করার অনুমতি দেয় । কিন্তু এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শাস্তিমূলক বিধানগুলিও রয়েছে :
- যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন, 2012 প্রণীত হয়েছে 18 বছরের কম বয়সি শিশুদের, বিশেষ করে মহিলাদের, যৌন নিপীড়ন, যৌন হয়রানি ইত্যাদি অপরাধ থেকে রক্ষা করার জন্য।
- আইপিসি একে অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের আওতাতেও সংজ্ঞায়িত করে । কারণ 18 বছরের কম বয়সি মেয়েরা নিজেদের সম্মতিতেও আইনের দৃষ্টিতে কোনও যৌন কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না ।
- 21 বছরের কম বয়সি পুরুষদের এবং 18 বছরের কম বয়সি মহিলাদের জন্য বিয়ে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, 2006 এর অধীনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন: মুসলিম আইনে বয়ঃসন্ধির মেয়েদের বিয়ের জন্য মা বাবার অনুমতির প্রয়োজন নেই, নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের