হায়দরাবাদ, 24 জুন : গত কয়েকদিন ধরেই ডামাডোল চলছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ৷ গত 12 ঘণ্টায় এখানকার রাজনীতি এক বড় বাঁক নিয়েছে ৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা ধীরে হলেও মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক যুদ্ধ মারাঠি অস্মিতা বা অহমিকার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ যেখানে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে মারাঠি পরিচয় ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রাণের মন্তব্য ও তার প্রেক্ষিতে শরদ পাওয়ারের সাংবাদিক বৈঠক এই বিবাদে নয়া মাত্রা যোগ করেছে ৷ রাণের টুইটকে হাতিয়ার করে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত সরাসরি প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে ৷ নারায়ণ রাণের মন্তব্য তাঁরা সমর্থন করেন কি না, তা জানতে চেয়েছেন রাউত (Sanjay Raut questioned Modi-Shah for doing politics in Maharashtra using Marathi card) ৷
মহারাষ্ট্রে বর্তমানে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকার চলছে ৷ যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ৷ শিবসেনার অন্দরের কোন্দলের ফলে এই সরকারের পতনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৷ জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে সম্প্রতি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা যে কাজ করছেন তা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়ে ৷ বিদ্রোহীদের এর ফল ভোগ করতে হবে বলেও ইঙ্গিত দেন পাওয়ার ৷
শরদ পাওয়ারের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রাণে বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেন ৷ সেই টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, বিধায়কদের হুমকি দিয়েছেন শরদ পাওয়ার ৷ অভিযোগ, হুমকির সুরে রাণে পালটা বলেন, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা যদি বিধানসভায় কোনও নিগ্রহের স্বীকার হন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে শরদ পাওয়ারকে ৷
টুইটে তিনি লেখেন, "মাননীয় শরদ পাওয়ার বিদ্রোহী বিধায়কদের হুমকি দিচ্ছেন, বলছেন বিধানসভার কক্ষে এসে শক্তি দেখাও ৷ বিদ্রোহীরা যাবেন ও নিজেদের পছন্দ মতো ভোট দেবেন ৷ কিন্তু তাঁরা আক্রান্ত হলে এর ফল খারাপ হবে ৷" নারায়ণ রাণের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সঞ্জয় রাউত বলেন, "সরকার থাকবে অথবা চলে যাবে ৷ কিন্তু রাণের বক্তব্যই কি বিজেপির আসল অবস্থান ৷ তাহলে সেটা স্পষ্ট করা হোক ৷ শরদ পাওয়ারকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে তা মহারাষ্ট্র মেনে নেবে না ৷ প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত ৷"
-
माननीय शरद पवार साहेब या सर्वांना धमक्या देत आहेत, 'सभागृहात येऊन दाखवा', ते येणारच आहेत. ते येणार आणि त्यांच्या मनाप्रमाणे मतदान करणार. त्यांच्या केसालाही धक्का लावल्यास घर गाठणे कठिण होईल.
— Narayan Rane (@MeNarayanRane) June 23, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">माननीय शरद पवार साहेब या सर्वांना धमक्या देत आहेत, 'सभागृहात येऊन दाखवा', ते येणारच आहेत. ते येणार आणि त्यांच्या मनाप्रमाणे मतदान करणार. त्यांच्या केसालाही धक्का लावल्यास घर गाठणे कठिण होईल.
— Narayan Rane (@MeNarayanRane) June 23, 2022माननीय शरद पवार साहेब या सर्वांना धमक्या देत आहेत, 'सभागृहात येऊन दाखवा', ते येणारच आहेत. ते येणार आणि त्यांच्या मनाप्रमाणे मतदान करणार. त्यांच्या केसालाही धक्का लावल्यास घर गाठणे कठिण होईल.
— Narayan Rane (@MeNarayanRane) June 23, 2022
আরও পড়ুন : 'একটি সর্বভারতীয় দল সমর্থন করছে আমাদের', শিন্ডের ইঙ্গিত কি গেরুয়া শিবিরের দিকে ?
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শরদ পাওয়ারের প্রসঙ্গ টেনে এবার মহারাষ্ট্রের এই বিবাদে কেন্দ্র সরকারকেও টেনে আনতে চাইছে শিবসেনা ৷ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রসঙ্গ টেনে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বহিরাগত প্রবেশের বিষয়টিও রাউত তুলে ধরতে চাইলেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ মারাঠি মানুষ ও তাঁদের অস্মিতার কথা তুলে এভাবেই শিবসেনা আবেগের রাজনীতি করতে চাইছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা ৷