ETV Bharat / bharat

Right to Marry: পছন্দের মানুষকে বিয়ে করা সাংবিধানিক অধিকার, বাধা দিতে পারে না পরিবারও: দিল্লি হাইকোর্ট

Delhi High Court on Right to marry: নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করাটা একজন প্রাপ্তবয়স্কের সাংবিধানিক অধিকার ৷ সে ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে না পরিবারও ৷ জানাল দিল্লি হাইকোর্ট ৷

Right to Marry
পছন্দের মানুষকে বিয়ে করা সাংবিধানিক অধিকার
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 26, 2023, 5:42 PM IST

নয়াদিল্লি, 26 অক্টোবর: বিয়ের পর পারিবারিক হুমকির মুখে পড়ায় এক দম্পতিকে পুলিশি সুরক্ষা প্রদান করার অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ আদালত বলেছে যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি নিজের পছন্দের একজনকে বিয়ে করতে চান তবে সেই অধিকার অস্বীকার করা যাবে না এবং এটি সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত ৷ এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এ ধরনের বৈবাহিক বন্ধনে আপত্তি করতে পারেন না ।

সাম্প্রতিক আদেশে বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা বলেন যে, রাজ্য তার নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অধীনে রয়েছে এবং হাইকোর্ট একটি সাংবিধানিক আদালত হওয়ায় দম্পতির সাংবিধানিক অধিকারকে আরও সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করা হবে ৷ আদালতের কথায়, "আবেদনকারীদের তাঁদের নিজের পছন্দের একজনকে বিয়ে করার অধিকার সংবিধানের অধীনে অনির্দিষ্ট এবং সুরক্ষিত, যা কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না ৷"

পুলিশির সুরক্ষার জন্য আবেদনকারী দম্পতি যে আর্জি জানিয়েছিলেন সে বিষয়ে আদালত বলেছে, "আবেদনকারীদের মধ্যে বিয়ের বাস্তবতা এবং তাঁরা যে প্রাপ্তবয়স্ক সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই । কেউ, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এই ধরনের সম্পর্ক বা আবেদনকারীদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের বিষয়ে আপত্তি করতে পারেন না ৷" আবেদনকারীরা জানিয়েছেন যে, তাঁরা এপ্রিলে বাবা-মায়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেন ৷ তারপর থেকে তাঁরা সুখে বসবাস করছেন ৷ তবে তখন থেকেই পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে আবেদনকারী মহিলার মায়ের হুমকির মধ্যে কাটাতে হচ্ছে তাঁদের ৷

আরও পড়ুন: 'বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়া প্রেম করে বিয়ে নিষিদ্ধ', সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটকের গ্রাম পঞ্চায়েত

আদালত উভয় আবেদনকারীকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য এবং পিতামাতা বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তাঁদের কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে পর্যায়ক্রমে তাঁদের উপর নজর রাখতে বলেছে ।

আদালতের নির্দেশ, "যদি আবেদনকারীরা মেমোতে দেখানো স্থান ব্যতীত অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে থাকেন, তাহলে তদন্তকারী আধিকারিক আবেদনকারীদের আবাসিক ঠিকানার উপর আঞ্চলিক এক্তিয়ার রয়েছে এমন সংশ্লিষ্ট থানার এসএইচওকে বিষয়টি জানাবেন, যাতে তিনিও আদালতের নির্দেশকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন ৷"

আদালত আরও বলেছে যে, আবেদনকারীরা তাঁদের বর্তমান আবাসিক ঠিকানার পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে কর্মক্ষেত্রের ঠিকানাও প্রকাশ করবেন ৷ তবে অফিসার সেই ঠিকানাগুলি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করবেন না ৷ (সংবাদসংস্থা পিটিআই)

নয়াদিল্লি, 26 অক্টোবর: বিয়ের পর পারিবারিক হুমকির মুখে পড়ায় এক দম্পতিকে পুলিশি সুরক্ষা প্রদান করার অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ আদালত বলেছে যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি নিজের পছন্দের একজনকে বিয়ে করতে চান তবে সেই অধিকার অস্বীকার করা যাবে না এবং এটি সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত ৷ এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এ ধরনের বৈবাহিক বন্ধনে আপত্তি করতে পারেন না ।

সাম্প্রতিক আদেশে বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা বলেন যে, রাজ্য তার নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অধীনে রয়েছে এবং হাইকোর্ট একটি সাংবিধানিক আদালত হওয়ায় দম্পতির সাংবিধানিক অধিকারকে আরও সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করা হবে ৷ আদালতের কথায়, "আবেদনকারীদের তাঁদের নিজের পছন্দের একজনকে বিয়ে করার অধিকার সংবিধানের অধীনে অনির্দিষ্ট এবং সুরক্ষিত, যা কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না ৷"

পুলিশির সুরক্ষার জন্য আবেদনকারী দম্পতি যে আর্জি জানিয়েছিলেন সে বিষয়ে আদালত বলেছে, "আবেদনকারীদের মধ্যে বিয়ের বাস্তবতা এবং তাঁরা যে প্রাপ্তবয়স্ক সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই । কেউ, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও এই ধরনের সম্পর্ক বা আবেদনকারীদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের বিষয়ে আপত্তি করতে পারেন না ৷" আবেদনকারীরা জানিয়েছেন যে, তাঁরা এপ্রিলে বাবা-মায়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেন ৷ তারপর থেকে তাঁরা সুখে বসবাস করছেন ৷ তবে তখন থেকেই পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে আবেদনকারী মহিলার মায়ের হুমকির মধ্যে কাটাতে হচ্ছে তাঁদের ৷

আরও পড়ুন: 'বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়া প্রেম করে বিয়ে নিষিদ্ধ', সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটকের গ্রাম পঞ্চায়েত

আদালত উভয় আবেদনকারীকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য এবং পিতামাতা বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তাঁদের কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে পর্যায়ক্রমে তাঁদের উপর নজর রাখতে বলেছে ।

আদালতের নির্দেশ, "যদি আবেদনকারীরা মেমোতে দেখানো স্থান ব্যতীত অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে থাকেন, তাহলে তদন্তকারী আধিকারিক আবেদনকারীদের আবাসিক ঠিকানার উপর আঞ্চলিক এক্তিয়ার রয়েছে এমন সংশ্লিষ্ট থানার এসএইচওকে বিষয়টি জানাবেন, যাতে তিনিও আদালতের নির্দেশকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন ৷"

আদালত আরও বলেছে যে, আবেদনকারীরা তাঁদের বর্তমান আবাসিক ঠিকানার পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে কর্মক্ষেত্রের ঠিকানাও প্রকাশ করবেন ৷ তবে অফিসার সেই ঠিকানাগুলি কোনও অননুমোদিত ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করবেন না ৷ (সংবাদসংস্থা পিটিআই)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.